logo
  • মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

ট্রাম্পকে ফের নোবেল প্রাইজে মনোনয়ন দিতে চান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ

ছবি: সংগৃহীত

  ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৪১


পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, শান্তির জন্য ট্রাম্পের “বিশেষ অবদান” পাকিস্তান সবসময়ই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। এই বক্তব্য আসে এক দিন পর, যখন ট্রাম্প কাতার, মিসর ও তুরস্কের নেতাদের সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত এক ঘোষণাপত্রে সই করেন। এর আগে ইসরায়েল ও হামাস বন্দি বিনিময় সম্পন্ন করে।


শেহবাজ শরিফ মিসরের শারম এল-শেখ শহরে অনুষ্ঠিত ওই শান্তি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বিশেষভাবে তাঁর এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের নাম উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানান।


নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে শেহবাজ লেখেন, “গাজা শান্তি সম্মেলন শেষে দেশে ফেরার পথে আমি অনুভব করছি, এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে পারে। পাকিস্তান কেন এতে গভীরভাবে যুক্ত ছিল, সেটিও স্পষ্ট করতে চাই।”


তিনি বলেন, পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার ছিল “গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধ করা”, যা তিনি অন্য দেশগুলোর সঙ্গে একযোগে জোর দিয়ে তুলে ধরেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করবেন— এবং তিনি তাঁর কথা রেখেছেন। এ জন্য আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।”


শেহবাজ আরও বলেন, “শান্তির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনন্য অবদানের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানিয়ে যাব।”

তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা, মর্যাদা ও সমৃদ্ধিই পাকিস্তানের মূল উদ্বেগ।

১৯৬৭ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে (আল কুদস আল শরিফ) রাজধানী করে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই মধ্যপ্রাচ্যে পাকিস্তানের নীতির ভিত্তি।” গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ ও তাঁর “প্রিয় ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির”-এর প্রশংসা করেন, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁদের ভূমিকার জন্য।
নিজ বক্তব্যে শেহবাজ ট্রাম্প ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “আজকের দিন আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন, কারণ শান্তি এসেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবিরাম প্রচেষ্টার ফলে। তিনি সত্যিকারের এক শান্তির মানুষ, যিনি দিন-রাত পরিশ্রম করে এই বিশ্বকে শান্তি ও সমৃদ্ধির জায়গা করে তুলেছেন।”


প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ আরও বলেন, তিনি ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিতে চান।
তিনি বলেন, “পাকিস্তান পূর্বে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছিল, কারণ তিনি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছিলেন এবং একটি অস্ত্রবিরতি স্থাপন করেছিলেন। আজ আবারও আমি তাঁকে মনোনয়ন দিতে চাই— কারণ আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, তিনি সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী।”


শেহবাজ যোগ করেন, “তিনি শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, মধ্যপ্রাচ্যেও লাখো মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন। গাজায় আজ তাঁর নেতৃত্বে শান্তি এসেছে, যা মানবতার বিজয়।”

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আরও পড়ুন
‘ঐতিহাসিক দিন’ উপলক্ষ্যে ইসরায়েলের পথে ট্রাম্প
বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
এক বছরে চারবার সংশোধন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন
বাংলাদেশের কন্যারা ঝুঁকির মুখে: বাড়ছে শিশু ধর্ষণ ও সহিংসতা
12