logo
  • বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
সাদমান ইসলাম পেয়েছেন ৬ষ্ঠ ফিফটি
রেকর্ড পারিশ্রমিকে ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি।
রেকর্ড পারিশ্রমিকে জুনেই ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। এমনই খবর দিয়েছেন বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন। তবে সব কিছু নির্ভর করছে রিয়াল মাদ্রিদ কবে বিদায় জানায় আনচেলত্তিকে। আর্সেনালের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের পরই আসলে কার্লো আনচেলত্তির খুটি নড়বেড়ে হয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদে। কোপা দেল রে'র ফাইনালে এল ক্লাসিকো হারের মধ্য দিয়ে যা পৌছায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। এখন কেবল বাকি বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর, ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের সঙ্গে একটা বোঝাপড়ায় পৌছেঁছেন কার্লো। দু-পক্ষের মাঝে হয়ে গেছে আনুষ্ঠানিক বৈঠক। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম 'দ্য অ্যাথলেটিক’ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এক বছরের চুক্তিতে ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নেবেন কার্লো। তার মেয়াদ হবে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। এখন সুতোটা কেবল ঝুলে আছে রিয়াল মাদ্রিদের অ্যাক্সিট প্ল্যানের ওপর। এদিকে বিশ্বখ্যাত সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছেন আসছে জুনের শুরুতেই ব্রাজিল ফুটবলের ডাগআউটে দেখা যাবে ইতালিয়ান এই সুপার কোচের। চার জুন কনমেবল অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে সেলেসাও। সেই ম্যাচেই অভিষেক হতে পারে আনচেলত্তির।
জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করা মানতে পারছেন না শহিদ আফ্রিদি
পাঁচ গোলে জিতে ইপিএল ঘরে তুলল লিভারপুল
টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হলো পেসার তানজিম হাসান সাকিব
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
কোপা দেল রে-তে আবারও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিল বার্সেলোনা
স্প্যানিশ ফুটবলের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা কোপা দেল রে-তে আবারও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিল বার্সেলোনা।  এক রুদ্ধশ্বাস রোমাঞ্চকর ‘এল ক্লাসিকো’ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিল বার্সেলোনা। অতিরিক্ত সময়ের জুলস কুন্দের অসাধারণ গোলে নিশ্চিত হয় কাতালানদের জয়। এই শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে বার্সা আবারও প্রমাণ করলো কেন তাদের ‘কোপার রাজা’ বলা হয়।  বার্সেলোনার সর্বোচ্চ ৩২টি শিরোপার পর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অ্যাথলেটিক বিলবাও, যাদের শিরোপা সংখ্যা ২৪। তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ কোপা দেল রে জিতেছে ২০ বার। গত এক দশকে কোপা দেল রে-তে বার্সেলোনার আধিপত্য চোখে পড়ার মতো। ২০১৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এই ১০ বছরে তারা জিতেছে ছয়বার—২০১৫, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮, ২০২১ এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালে। ২১শ শতকে প্রথমবারের মতো বার্সেলোনা কোপা দেল রে জিতে ২০০৯ সালে, পেপ গার্দিওলার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ‘সেক্সটুপল’ জয়ের বছরেই। ২০১২ সালে আসে দ্বিতীয় শিরোপা। এরপর লুইস এনরিকের অধীনে টানা তিন বছর (২০১৫-২০১৭), এরনেস্তো ভালভার্দের অধীনে ২০১৮, রোনাল্ড কোমানর নেতৃত্বে ২০২১ এবং সর্বশেষ হান্সি ফ্লিকের অধীনে ২০২৫ সালে শিরোপা জয় করে বার্সা। ২০শ শতকে বার্সেলোনা বিভিন্ন নামে পরিচিত কোপা দেল রে প্রতিযোগিতায় মোট ২৪ বার শিরোপা জেতে। এই সময়ে তারা শিরোপা জেতে যথাক্রমে—১৯১০, ১৯১২, ১৯১৩, ১৯২০, ১৯২২, ১৯২৫, ১৯২৬, ১৯২৮, ১৯৪২, ১৯৫১, ১৯৫২, ১৯৫৩, ১৯৫৭, ১৯৫৯, ১৯৬৩, ১৯৬৮, ১৯৭১, ১৯৭৮, ১৯৮১, ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৭ ও ১৯৯৮।
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিটের সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে আল-নাসর
জাপানি ক্লাব ইয়োকোহামা এফ মারিনোসকে ৪-১ গোলে হারিয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিটের সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে আল-নাসর। শনিবার রাতে প্রিন্স আবদুল্লাহ আল ফয়সাল স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি ক্লাবটির হয়ে জোড়া গোল করেছেন দলের নতুন সেনসেশন জন ডুরান। বাকি দুই গোল করেছেন রোনালদো ও সাদিও মানে। ইয়োকোহামার একমাত্র গোলটি করেছেন কোটা ওয়াতানাবে, যিনি পরে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে আল নাসর। ২৭ মিনিটে সাদিও মানের ক্রসে ইয়োকোহামার ডিফেন্ডার থমাস ডেং আত্মঘাতী ভুল করলে বল থেকে সহজেই গোল করেন জন ডুরান। চার মিনিট পর আবারও আল নাসরের উদযাপন—ওটাভিওর পাসে মানের নিখুঁত শট গোলে পরিণত হয়। ৩৮ মিনিটে নিজে গোলের দেখা পান রোনালদো। মার্সেলো ব্রোজোভিচের শট ফিরিয়ে দিলে বল বাতাসে উঠে যায়, আর কাছ থেকে ভলিতে দারুণভাবে লক্ষ্যভেদ করেন পর্তুগিজ তারকা। চলতি মৌসুমে সৌদি প্রো লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো, এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিটেও ৭ ম্যাচে করেছেন ৮ গোল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার গোল করেন ডুরান। যদিও ৫২ মিনিটে কোটো ওয়াতানাবের গোলে ব্যবধান কিছুটা কমায় ইয়োকোহামা। তবে ম্যাচের বাকিটা সময় নিয়ন্ত্রণে রাখে আল নাসর। ৬৬ মিনিটে রোনালদোকে তুলে নেন কোচ স্তেফানো পিওলি, সেমিফাইনালের আগে তাকে বিশ্রাম দিতে। শেষদিকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে ওয়াতানাবে মাঠ ছাড়লে দশজন নিয়ে খেলে শেষ করতে হয় ইয়োকোহামাকে। এবার সেমিফাইনালে আল নাসরের প্রতিপক্ষ কাতারের আল সাদ অথবা জাপানের কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলের মধ্যে থেকে বিজয়ী দল। অন্য সেমিতে মুখোমুখি হবে আল হিলাল ও আল আহলি।
কোপা দেল রে’র রোমাঞ্চকর ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিল বার্সেলোনা
কোপা দেল রে’র রোমাঞ্চকর ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিল বার্সেলোনা। অতিরিক্ত সময়ের জুলস কুন্দের অসাধারণ গোলে নিশ্চিত হয় কাতালানদের জয়। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে স্পেনের এস্তাদিও দে লা কার্তুজায় অনুষ্ঠিত হয় কোপা দেল রে’র ফাইনাল। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ২-২ গোলে। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে জুলস কুন্দের দুর্দান্ত গোলে জয় নিশ্চিত করে বার্সেলোনা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় বার্সেলোনা। ১২ মিনিটে পেদ্রির দূরপাল্লার শটে এগিয়ে যায় তারা। রিয়াল মাদ্রিদ প্রথমার্ধে তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি।।  দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচে ফিরে আসে। ৭০ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ফ্রি-কিক থেকে গোল করে সমতা ফেরান। এরপর ৭৪ মিনিটে আর্দা গুলারের কর্নার থেকে চৌয়ামেনি গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন। ৮৩ মিনিটে ইয়ামালের পাস থেকে ফেরান তোরেস গোল করে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান। এই গোলটি রিয়াল গোলরক্ষক কোর্তোয়া ও রুডিগার এর ভুলে সম্ভব হয়।  ১১৫ মিনিটে রিয়ালের অর্ধে মদ্রিচের পাসপেতে গিয়ে ব্রাহিম দিয়াজ হোঁচটখান। এই সুযোগে দ্রুত বল দখল করে জুলস কুন্দে ছুটে এসে নেয় এক জোরালো শট— যা ঠেকাতে ব্যর্থ হন কোর্তোয়া। গোল লাইনের বল জালে জড়াতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে বার্সা শিবির। এটি চলতি মৌসুমেবার্সেলোনার দ্বিতীয় শিরোপা, এর আগে স্প্যানিশ সুপার কাপেও রিয়ালকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল তারা। এ জয়ে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে বার্সার শিরোপার সংখ্যা দাঁড়াল ৩২-এ, যা সর্বোচ্চ।
কোপা ইতালিয়া থেকে বিদায় ইন্টার মিলান
চলমান মৌসুমে উড়ন্ত ফর্মে থাকা ইন্টার মিলানকে কোপা ইতালিয়া থেকে বিদায় করে দিয়েছে তাদেরই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলান। দ্বিতীয় লেগে ইন্টারকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে আসরের নিশ্চিত করেছে তারা। বুধবার রাতে ইন্টারকে ৩-০ গোলে হারানোর ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনালে পৌঁছে মিলান।  ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে জেমিনেজের ক্রস থেকে হেডে গোল করেন লুকা ইয়োভিচ। দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে কাছ থেকে ব্যবধান বাড়ান এই সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধের ৮৫তম মিনিটে ডি-বক্সে বাঁ দিক থেকে বাম পায়ের শটে ইন্টারের জালে বল জড়ান ডাচ মিডফিল্ডার রেইনডার্স। এ নিয়ে এসি মিলানের বিপক্ষে শেষ পাঁচ ম্যাচে জয়হীন ইন্টার। এ মৌসুমে ইতালিয়ান সেরি-আতে মিলানের কাছে এক ম্যাচে হার ও এক ম্যাচে ড্র করেছে তারা। গত জানুয়ারিতে ইতালিয়ান সুপার কাপের ফাইনালেও ইন্টারকে হারিয়ে ট্রফি উঁচিয়ে ধরে এসি মিলান। আর এবার কোপা ইতালিয়ানের প্রথম লেগে ড্র করার পর দ্বিতীয় লেগে উড়ে গেল ইনজাঘির দল।   এমন ভরাডুবির ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার জন্য খুব বেশি সময়ও পাচ্ছে না ইন্টার মিলান। আগামী রবিবার সেরি-আতে রোমার বিপক্ষে লড়বেন লাউতারো মার্তিনেজরা। লিগের শেষ ম্যাচেও ইন্টার হেরেছে বোলোগনার বিপক্ষে। এর তিন দিন পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বার্সেলোনার বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা।
লা লিগায় মায়োর্কার বিপক্ষে কষ্টার্জিত ১-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা
লা লিগায় মায়োর্কার বিপক্ষে কষ্টার্জিত ১-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছে ফ্লিকের দল। রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ফের ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে বার্সেলোনা।  ৩৩ ম‍্যাচে ২৪ জয় ও চার ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৭৬। ৩২ ম‍্যাচে ররিয়ালের ৬৯। মায়োর্কার বিপক্ষে বার্সেলোনার দাপটের চিত্র পরিসংখ্যানেও স্পষ্ট। ৭৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন‍্য ৪০টি শট নেয় বার্সেলোনা। এর ১৩টি ছিল লক্ষ‍্যে, যার ১২টি ঠেকিয়ে দেন মায়োর্কা গোলরক্ষক লিও রোমান। অন‍্য দিকে সফরকারীরা চার শটের কোনোটিই লক্ষ‍্যে রাখতে পারেনি। সেলতা ভিগোর বিপক্ষে ৪-৩ গোলে জয় পাওয়া ম‍্যাচ থেকে ৭টি পরিবর্তন আনেন ফ্লিক। ছয় মাসের মধ‍্যে প্রথমবার শুরুর একাদশে নামেন আনসু ফাতি। বাইরে থাকেন রাফিনিয়াসহ প্রথম পছন্দের বেশ কয়েকজন। ঘরের মাঠে দ্বাদশ মিনিটে প্রথম বড় সুযোগ পায় বার্সেলোনা। ডি বক্সের বাইরে থেকে ফেররান তরেসের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক রোমান। ফিরতি বলে লামিনে ইয়ামালের শটও ব‍্যর্থ করে দেন তিনি। সাত মিনিট পর এক্তর ফোর্তের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান রোমান। কর্নারে হেড লক্ষ‍্যে রাখতে পারেননি তরেস। তিনি ছেড়ে দিলেই সুযোগ পেতেন রোনাল্দ আরাউহো, পেছনে আরও ভালো জায়গায় ছিলেন উরুগুয়ে ডিফেন্ডার। ২৭তম মিনিটে ইয়ামালের দুর্দান্তে পাসে সুযোগ পান ওলমো। স্প‍্যানিশ মিডফিল্ডারের শট ঝাপিয়ে ব‍্যর্থ করে দেন মায়োর্কা গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর গাভির শট মায়োর্কার একজনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে পোস্টে লেগে ফেরে। পরের মিনিটে ইয়ামালের শট রোমান ঝাঁপিয়ে ফেরানোর পর বিপজ্জনক জায়গা বল পেয়ে যান আরাউহো। কিন্তু তিনি শট লক্ষ‍্যে রাখতে পারেননি। ৩১তম মিনিটে এরিক গার্সিয়ার শট পা দিয়ে ঠেকান মায়োর্কা গোলরক্ষক। ফিরতি বলে ওলমোর শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। ৪১তম মিনিটে ১৫ সেকেন্ডের মধ‍্যে বার্সেলোনার চারটি শট ঠেকিয়ে দেয় মায়োর্কা। দুটি সেভ করেন গোলরক্ষক, বাকি দুটি ব্লক করেন দুই জন ডিফেন্ডার। তিন মিনিট পর পেদ্রির ডিফেন্স চেরা পাসে বল পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে শট লক্ষ‍্যে রাখতে পারেননি ফাতি। ৪৫তম মিনিটে বার্সেলোনার জালে বল পাঠায় মায়োর্কা। কিন্তু অফসাইডের জন‍্য মেলেনি গোল। প্রথমার্ধে গোলের জন‍্য ২৪টি শট নেয় বার্সোলনা, এর ছয়টি ছিল লক্ষ‍্যে। তবুও মেলেনি গোল। মায়োর্কা গোলের জন‍্য এই সময়ে কোনো শটই করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই শেষ হয় বার্সেলোনার অপেক্ষা। বিরতির পর নিজেদের প্রথম আক্রমণেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। গার্সিয়ার কাছ থেকে ডি বক্সে বল পান ওলমো। ব্লক করে পা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মায়োর্কা ডিফেন্ডার। তার পায়ের ওপর দিয়ে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন স্প‍্যানিশ মিডফিল্ডার। ৫০তম মিনিটে ফাতির গতিময় শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান রোমান। পাঁচ মিনিট পর হুয়ান মোহিকার ফ্রি কিকে আন্তোনিও রাইয়োর হেড বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট ঘেঁষে। গোলের জন‍্য ম‍্যাচে এটাই মায়োর্কার প্রথম শট। ৭৯তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ইয়ামাল। পেদ্রির রক্ষণ চেরা পাসে গোলরক্ষককে একা পান স্প‍্যানিশ তারকা। কিন্তু রোমানকে পার করতে পারেননি তিনি। পরের মিনিটে পাউ ভিক্তরের গতিময় শট ফেরান মায়োর্কা গোলরক্ষক। পরে ইয়ামালের শটও ব‍্যর্থ করে দেন তিনি। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ফের ভিক্তরের শট ফেরান রোমান। বাকি সময়ে বল দখলে রেখে কাটিয়ে দিয়ে জয়ের স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। ৩৩ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার সাতে আছে মায়োর্কা।
রবার্ট লেভানডফস্কিকে হারিয়ে হয়ত বড় ধাক্কাই খেতে যাচ্ছে বার্সা
গত ম্যাচে মাংসপেশির অস্বস্তিতে মাঠ ছাড়ার পর থেকেই গুঞ্জন ছিল, রবার্ট লেভানডফস্কিকে হারিয়ে হয়ত বড় ধাক্কাই খেতে যাচ্ছে বার্সা। সেই শঙ্কাটাই সত্যি হলো। ইনজুরির কারণে অন্তত ৩ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হচ্ছে তাকে। যে কারণে মিস করতে হবে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন সেমিফাইনালের প্রথম লেগেও।  মৌসুমের এই পর্যায়ে এসে লেভানডফস্কিকে না পাওয়া বলতে গেলে বড় এক ধাক্কা বার্সার জন্য। চলতি মৌসুমে ৪০ গোল করে ফেলেছেন বার্সেলোনার পোলিশ স্ট্রাইকার। দলও আছে দারুণ ছন্দে। লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সঙ্গে কোপা দেল রে’ শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে আছে বার্সা। আর এই সময়ে এসে তাদের খেলতে হবে বড় সব ম্যাচ।   কিন্তু ইনজুরিতে থাকায় এই স্ট্রাইকার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ২৬ এপ্রিল রাতের কোপা দেল রে’র ফাইনালে খেলতে পারছেন না। বার্সেলোনা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, লেভানডফস্কি তার বাঁ পায়ের উরুর মাংসপেশির ইনজুরিতে পড়েছেন। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে কতদিন তিনি মাঠের বাইরে থাকবেন সে বিষয়ে ক্লাব থেকে কিছু নিশ্চিত করা হয়নি। বার্সার কোচ হ্যান্সি ফ্লিকও কোনো পরিষ্কার আভাস দেননি লেভানডফস্কিকে নিয়ে।  বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক এই স্ট্রাইকার অবশ্য এই সময়ে মৌসুমের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচই মিস করবেন তিনি। কোপা দেল রে ফাইনাল ছাড়াও রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ১১ মে’র এল ক্লাসিকোয় তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ১ ও ১১ মে তারিখের সেমিফাইনালেও খেলতে পারবেন না তিনি। 
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করেছেন সংস্থাটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সরফরাজ হাসান সিদ্দিকী
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) থেকে পদত্যাগ করেছেন সংস্থাটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সরফরাজ হাসান সিদ্দিকী। বাফুফে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করছে, যা গত ১০ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে পদত্যাগপত্র গৃহীত হলেও দুই পক্ষের শর্ত অনুযায়ী আরও তিন মাস বাফুফেতে থাকবেন সরফরাজ। এই অর্ন্তবর্তী সময়ে তিনি মূলত দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবেন। বাফুফের ব্যাংকিং সংক্রান্ত বিষয়াবলি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিফা, এএফসি ও সাফের সঙ্গে সরফরাজের পরিবর্তে আর্থিক যোগাযোগ করবেন ফিন্যান্স বিভাগের আরেক কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার নির্বাহী কমিটির সকল কর্মকর্তাকে এক বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন। বাফুফের প্রশাসনিক প্রধান নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক। তার পরেই অবস্থান প্রধান অর্থ কর্মকর্তার (সিএফও)। বিদেশি কোচিং স্টাফের বাইরে এই দুই প্রশাসনিক পদের জন্য বাফুফেকে মাসে প্রায় আট লাখ টাকা খরচ করতে হয়। গত কয়েক বছর ধরে বাফুফে প্রধান অর্থ কর্মকর্তাকে নিয়ে ভুগছে। ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। এরপর বাফুফে আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করে। সেই তদন্ত কমিটির কাজের মধ্যেই জুন-জুলাই মাসে তৎকালীন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন পদত্যাগ করেন। এর কয়েক মাস পরই সরফরাজ হাসানকে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন কাজী সালাউদ্দিন (বাফুফের সাবেক সভাপতি)।
2Error!: SQLSTATE[23000]: Integrity constraint violation: 1062 Duplicate entry '0' for key 'news_id'