logo
  • মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২

শিরোনাম

  •     ১৯৪৭ থেকে আজ পর্যন্ত কারও কষ্টের জন্য বিনা শর্তে ক্ষমাপ্রার্থী” — টকশোতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
  •     আমীর খসরু নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি
  •     ছলছুতোয় রাজধানীর সড়ক অবরোধ করলেই অ্যাকশন
  •     ‘যুদ্ধের ইতি আমরাই টানব’ - ট্রাম্পকে কড়া হুশিয়ারি ইরানের
  •     ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প
কোভিডের আঘাত ফের বাড়ছে: ২৪ ঘণ্টায় ২ মৃত্যু, শনাক্ত ১৮
সাহরি ও ইফতার / রোজার খাদ্যাভ্যাস এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা
রমজান মাসে খাবারের অভ্যাসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসে, যা শরীরের বিপাকীয় (ম্যাটাবলিক) কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে। এই পরিবর্তনগুলি মেনে চলতে সঠিক খাবার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু দীর্ঘ সময় ধরে না খেয়ে থাকা আমাদের শরীরের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। বিশেষত, সাহরি এবং ইফতারের সময় সঠিক খাবার নির্বাচন শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোজা পালন সহজ করতে সাহায্য করে। সাহরি: দীর্ঘস্থায়ী শক্তির জন্য কী খাবেন? ১. কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট: কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট (যেমন: ওটস, ব্রাউন রাইস, শিম, আলু) ধীরে হজম হয় এবং রক্তে গ্লুকোজের স্তর স্থিতিশীল রাখে, ফলে সারাদিন কর্মক্ষম থাকা সহজ হয়। এটি শরীরকে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি প্রদান করে এবং সারা দিন ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। ২. প্রোটিন ও ফাইবার: প্রোটিন (যেমন: ডিম, দই, মুরগি, মাংস, মাছ) শরীরের পেশির গঠন বজায় রাখে, যা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। ফাইবার (যেমন শাকসবজি, ছোলা, ফল) হজমশক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে। ৩. পানি ও ইলেকট্রোলাইট: পানি (যেমন: ডাবের পানি, লেবুর শরবত) শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করে। সাহরিতে পর্যাপ্ত পানি না পান করলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, এবং রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এজন্য সাহরিতে পর্যাপ্ত পানি ও খনিজ উপাদান গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। ইফতার: দ্রুত শক্তি পুনরুদ্ধার ও সঠিক খাবার নির্বাচন ১. খেজুর: খেজুরে সহজে হজমযোগ্য গ্লুকোজ থাকে, যা দ্রুত রক্তে শর্করার স্তর বাড়িয়ে শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। খেজুরের পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফাইবার স্নায়ুতন্ত্র ও হজমে সাহায্য করে। ২. হালকা ও তরল খাবার: দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার পর হালকা ও সহজপাচ্য খাবার (যেমন: ডাবের পানি, লেবু-গুড়ের শরবত, ফল) খেলে হজমতন্ত্র স্বাভাবিকভাবে সক্রিয় হয়। ভারী বা ভাজাপোড়া খাবার খেলে অ্যাসিডিটি এবং বদহজম হতে পারে। ৩. ছোলা ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার: ছোলা, দই, ডাল, মাছ, বা মুরগি শরীরে প্রোটিন ও প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড সরবরাহ করে, যা পেশি শক্তিশালী রাখে এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়া, ছোলায় কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) থাকে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ৪. ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার ক্ষতিকর: অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল বাড়াতে পারে। অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার (যেমন জিলাপি, রসগোল্লা) রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়, যা পরবর্তীতে ক্লান্তি সৃষ্টি করে। রাতের খাবার: পরিপূর্ণ পুষ্টির ভারসাম্য ১. কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফাইবার: লাল চালের ভাত, আটার রুটি, ডাল, শাকসবজি, মাছ বা মাংস খেলে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজম সহজ করে ও শক্তি ধরে রাখে। ২. ডিটক্সিফিকেশন: দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার ফলে শরীর নিজেই টক্সিন বের করে দেয় (Autophagy), যা কোষগুলোর পুনর্গঠন ঘটিয়ে বার্ধক্য কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রোজার সময় শরীরের অন্যান্য উপকারিতা: ১. ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি: রোজা শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক। ২. স্নায়ুতন্ত্রের উন্নতি: রোজার সময় ব্রেন-ডেরাইভড নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (BDNF) নামে একটি প্রোটিন বৃদ্ধি পায়, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।  
জয়েন্টের ব্যথা এড়ানোর তিন টিপস
বিলুপ্তপ্রায় রুটিফল গাছ / ঔষধিগুণে অনন্য এক প্রাকৃতিক সম্পদ
ত্বক ও চুলের যত্নে ভিটামিন ই: অতিরিক্ত সেবনের ঝুঁকি এবং সতর্কতা
শীতের সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার ঘরোয়া সমাধান চালতায়
যেসব ওষুধ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়
খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি শরীরে ভিটামিন, ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদানের উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেকেই মনে করেন, খাদ্য থেকে পর্যাপ্ত ক্যালশিয়াম পাওয়া যায় না। বিশেষত যারা দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলেন, তারা ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্টের উপর বেশি নির্ভরশীল। তবে অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ হৃদ্‌রোগের মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দিলীপ কুমার জানিয়েছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম শরীরে জমে গিয়ে ক্যালশিয়াম ডিপোজিট তৈরি করতে পারে, যা ধমনীর রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতি হয় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক বৃদ্ধি পায়। ডা. দিলীপ কুমারের মতে, অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম কিডনি ও গলব্লাডার স্টোনের কারণ হতে পারে। পাশাপাশি, এটি হার্ট ব্লকেজের ঝুঁকিও বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে। ডা. অরুণাংশু তালুকদার বলেছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য দৈনিক ক্যালশিয়ামের চাহিদা বয়সভেদে ভিন্ন হতে পারে। ১৯-৫০ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য: দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম। ৫১-৭০ বছর বয়সী মহিলাদের জন্য: দৈনিক ১২০০ মিলিগ্রাম। এই চাহিদা পূরণে খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ ২৫০ মিলিলিটার দুধ,একটি ডিম,১০০-১৫০ গ্রাম মাছ,এবং সবুজ শাকসবজি থেকে পর্যাপ্ত ক্যালশিয়াম পাওয়া সম্ভব। যদি ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতেই হয়, তবে তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এবং খাবারের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে খেতে হবে। বিশেষজ্ঞরা সাধারণত তিন মাস সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পর কিছুদিন বিরতির পরামর্শ দেন। এই সময় খাদ্য থেকে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ এটি শরীরে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও চিকিৎসকের দিকনির্দেশনার মাধ্যমে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি দূর করা উত্তম। জাগতিক /এস আই  
প্যাকেটজাত দুধ খাওয়ার আগে ফোটানো উচিত কিনা
বর্তমানে প্যাকেটজাত দুধ খাওয়ার আগে ফোটানো উচিত কি না, তা নিয়ে সমাজমাধ্যমে চলছে তুমুল বিতর্ক। কেউ কেউ দাবি করছেন, প্যাকেটজাত দুধ ফোটালে তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়, আবার অনেকে বলছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য দুধ অবশ্যই ফোটানো উচিত। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতীতে সরাসরি পশু খামার বা গোয়ালঘর থেকে আনা দুধে ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণু থাকতে পারে বলে দুধ ফুটিয়ে খাওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। এখনও গ্রামাঞ্চলে যেখানে দুধ সংরক্ষণের আধুনিক ব্যবস্থা নেই, সেখানে দুধ ফুটিয়ে খাওয়াই স্বাস্থ্যকর। মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যাকেটজাত দুধ সাধারণত পাস্তুরাইজড হয়। অর্থাৎ, দুধ প্যাকেট করার আগে তা নির্ধারিত তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা হয়, যা ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস করে। এই পাস্তুরাইজড দুধ আবার ফোটানোর প্রয়োজন নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি প্যাকেটজাত দুধ পাস্তুরাইজড না হয়, তবে তা অবশ্যই ফোটানো উচিত। কারণ এতে থাকা জীবাণু ও ভাইরাস মেরে ফেলার জন্য এটি অপরিহার্য।  এছাড়া দুধ ফোটানোর ফলে প্রোটিন ভেঙে গিয়ে সহজপাচ্য হয়ে যায়। যদিও অতিরিক্ত ফোটানো দুধের কিছু পুষ্টিগুণ হ্রাস পেতে পারে, তবু জীবাণুমুক্ত দুধ নিশ্চিত করতে এ পদ্ধতি এখনও নিরাপদ। বিশেষ করে যদি দুধে সংরক্ষণ বা প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে সন্দেহ থাকে। পাস্তুরাইজড দুধ সরাসরি পান করতে পারেন। পাস্তুরাইজড নয় এমন দুধ অবশ্যই ফোটানো উচিত। বেশি সময় ধরে দুধ না ফোটানোই ভালো, যাতে পুষ্টিগুণ হ্রাস না পায়। চিকিৎসকরা মনে করেন, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়াই শ্রেয়। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্যাকেটের গায়ে উল্লেখিত নির্দেশনা মেনে চলাও গুরুত্বপূর্ণ। জাগতিক /এস আই  
রক্তে আয়রনের ঘাটতিতে হতে পারে ভয়ানক রোগ 
রক্তের প্রধান উপাদান হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আয়রনের অভাবে শরীরে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন জটিলতা, এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। বিশেষত, গর্ভবতী মা ও শিশুদের মধ্যে এই ঘাটতির হার সবচেয়ে বেশি।  এ সমস্যা এড়াতে পুষ্টিবিদরা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আয়রনযুক্ত খাবার রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। আয়রনের ঘাটতিতে যেসব সমস্যা হতে পারে গবেষণা অনুযায়ী, আয়রনের ঘাটতি থেকে শরীরে রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া), দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, চুল পড়া, নখ ভেঙে যাওয়া এবং ত্বকের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এই ঘাটতি হৃদরোগ, সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে। প্রতিদিন আয়রনের প্রয়োজনীয়তা পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে নারীরা (১৯-৫৯ বছর বয়স) প্রতিদিন ১৮ মি.গ্রাম আয়রন প্রয়োজন। গর্ভবতী মায়েরা দৈনিক প্রায় ২৫ মি.গ্রাম আয়রন প্রয়োজন। পুরুষদের জন্য প্রতিদিন ৮-১০ মি.গ্রাম আয়রন যথেষ্ট। পুষ্টিবিদরা বলছেন, আয়রনের ঘাটতি মেটাতে ওষুধের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উৎস থেকে আয়রন গ্রহণ করাই বেশি উপকারী। আয়রনসমৃদ্ধ খাবারের তালিকা উদ্ভিজ্জ উৎস পালংশাক, কচু শাক মসুর ডাল, মুগ ডাল ডার্ক চকলেট কিশমিশ, বেদানা প্রাণিজ উৎস শুটকি মাছ, কলিজা ইলিশ, কাচকি ও অন্যান্য ছোট মাছ ফলমূল ও বীজ জাতীয় খাবার কলা, বেদানা সূর্যমুখী বীজ, চিয়া বীজ আয়রনের অভাব পূরণে প্রতিদিনের খাবারে শাক-সবজি ও প্রাণিজ উৎস থেকে আয়রন নিশ্চিত করতে হবে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার (যেমন লেবু, কমলা) গ্রহণ করতে হবে, যা আয়রনের শোষণ বাড়ায়। আয়রন ট্যাবলেট বা ওষুধে নির্ভরশীল না হয়ে, প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। আয়রনের ঘাটতি দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন। জাগতিক /এস আই  
বাংলাদেশে ওষুধের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা: সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ব্যয়ের নতুন বোঝা
বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে ওষুধের দাম বাড়ানোর প্রবণতা সাধারণ মানুষের জন্য নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে। গত এক বছরে ওষুধের দাম ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি সরকার ভ্যাট ২.৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করেছে। যদিও এই ভ্যাট বৃদ্ধির হার তেমন বেশি নয়, কিন্তু এর অজুহাতে ব্যবসায়ীরা ওষুধের দাম আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। সরকারের ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের ফলে ওষুধের খুচরা মূল্যে তেমন বড় প্রভাব পড়ার কথা নয়। তবে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত লাভের মানসিকতার কারণে দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা ব্যয় আরও কঠিন হয়ে উঠছে। ডলারের দাম বৃদ্ধির প্রভাবও এই পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোগীর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না। নিরাপদ ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছে। তবে এই আশ্বাস সত্ত্বেও মেডিকেল ডিভাইস, বিশেষ করে হার্টের স্টেন্ট ও চোখের লেন্সের ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর দাবিতে ব্যবসায়ীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতের বর্তমান চিত্র এক ধরনের লুটপাটের দিকে ইঙ্গিত করে। মাসের শুরুতেই অনেক ওষুধ কোম্পানি তাদের মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের মাধ্যমে ডাক্তারদের মোটা অঙ্কের টাকা দেয়। এরপর ডাক্তারদের ব্যবস্থাপত্রে নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে রোগীদের ওপর অযথা ওষুধের বোঝা বাড়ে। এ প্রসঙ্গে প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছিলেন, “মানুষ যে ওষুধ ৭ টাকায় কিনছে, তার উৎপাদন খরচ মাত্র ২০ পয়সা।” এ থেকেই বোঝা যায়, দেশে ওষুধ ব্যবসার নামে কী পরিমাণ লুটপাট চলছে। ১৯৮২ সালে প্রণীত ওষুধনীতি বাংলাদেশকে স্বল্পমূল্যে ওষুধ সরবরাহে অনেকটাই সফল করেছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন একটি ওষুধনীতি প্রণয়ন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। যেখানে ওষুধের উৎপাদন খরচ, ভোক্তা পর্যায়ের দাম এবং নীতিগত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবা খাতকে সুষ্ঠু ও নৈতিকভাবে পরিচালিত করতে জরুরি ভিত্তিতে নীতিমালা সংস্কার প্রয়োজন। এ খাতে অনিয়ম বন্ধ করতে সরকারকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের জন্য স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকিৎসা ব্যয়ের অতিরিক্ত বোঝা থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সরকারি নজরদারি এবং ওষুধ ব্যবসার সঠিক ব্যবস্থাপনা একান্ত প্রয়োজন। জাগতিক /এস আই  
চিরতার জলের উপকারিতা: শরীরের নানা সমস্যার সমাধান প্রাকৃতিক উপায়ে
তিতকুটে স্বাদের কারণে চিরতার জল খাওয়ার কথা শুনলেই অনেকের মুখ গোমড়া হয়ে যায়। তবে এই ভেষজের অসাধারণ গুণাগুণের কথা জানলে হয়তো সেই ধারণা বদলে যাবে। চিরতার জল শুধু শরীরকে সুস্থ রাখে না, বরং বিভিন্ন সমস্যার কার্যকরী সমাধান হিসেবে কাজ করে। চিরতার জল হজমে সহায়ক এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে। গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় এটি অত্যন্ত কার্যকর। এতে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে। চিরতার অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান ক্ষতিকর প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে।  শীতকালে অ্যালার্জি, চোখ ফোলা, সর্দিকাশি এবং হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় চিরতার জল অত্যন্ত উপকারী। চিরতার জল লিভার ও কিডনিতে জমা টক্সিন এবং অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট দূর করতে সহায়তা করে। এটি দেহকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে এক চা চামচ চিরতার পাতা ভিজিয়ে রাখুন। ২. সারারাত রেখে সকালে খালি পেটে সেই জল পান করুন। ৩. স্বাদ কিছুটা তিতকুটে হওয়ায় অল্প পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। নিয়মিত চিরতার জল খাওয়ার মাধ্যমে সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব। তবে এটি অত্যধিক পরিমাণে খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কোনো বিশেষ শারীরিক সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিরতার জল পান করুন। চিরতার জল শুধু একটি ভেষজ পানীয় নয়, এটি শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখার একটি প্রাকৃতিক সমাধান। নিয়মিত চিরতার জল পান করে শরীরকে নানা সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। জাগতিক /এসআই  
৩০ সেকেন্ডের হাঁটাহাঁটিতেই ক্যালোরি খরচ বেশি
শরীরচর্চার সময় নিয়ে যারা দুশ্চিন্তায় থাকেন তাদের জন্য সুখবর। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, একটানা ৩০ মিনিট হাঁটার চেয়ে দিনে কয়েকবার ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের ছোট ছোট হাঁটাহাঁটি ক্যালোরি খরচে বেশি কার্যকর। ইংল্যান্ডের রয়্যাল সোসাইটির ‘বায়োলজিক্যাল সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, কাজের ফাঁকে মাইক্রো ওয়াকিংয়ের মাধ্যমে শুধু ক্যালোরি খরচই নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। গবেষণার জন্য অংশগ্রহণকারীদের দু’ভাগে ভাগ করা হয়। একদলকে একটানা কয়েক মিনিট হাঁটানো হয়, অন্য দলকে দিনে ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ড করে ছোট ছোট সময় হাঁটতে বলা হয়। দেখা গেছে, যারা ছোট ছোট বিরতিতে হাঁটাহাঁটি করেছেন, তাদের ক্যালোরি খরচ হয়েছে অন্তত ৬০ শতাংশ বেশি। গবেষক ফ্রান্সিসকো লুসিয়ানো বলেন, শরীরে শক্তি খরচের নিয়ম অনেকটা গাড়ির তেলের ব্যবহার মতো। স্বল্প দূরত্বে বারবার গাড়ি থামালে যেমন তেল খরচ বেশি হয়, তেমনি ছোট ছোট বিরতিতে হাঁটাহাঁটি করলে ক্যালোরি খরচও বেড়ে যায়। কাজের ফাঁকে হাঁটার উপকারিতা ক্যালোরি খরচ বাড়ায়: শরীরকে সক্রিয় রাখে। মানসিক চাপ কমায়: দীর্ঘ সময় বসে থাকার ক্ষতি পুষিয়ে দেয়। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলে: দিনের বিভিন্ন সময় কয়েক সেকেন্ড হাঁটলেই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সম্ভব। আগের গবেষণাগুলোতে বলা হয়েছিল, ৩০ মিনিট একটানা হাঁটা শরীরের জন্য ভালো। তবে সাম্প্রতিক এই গবেষণার ভিত্তিতে প্রমাণিত হচ্ছে, হাঁটার সময়টিকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করলেও সমান উপকার পাওয়া যায়। যাদের দীর্ঘ সময় একটানা হাঁটার সুযোগ নেই, তারা কাজের ফাঁকে একটু হাঁটলেই শরীরচর্চার সুফল পেতে পারেন। প্রতিদিন অফিসে কাজের মাঝে কিংবা ঘরে কাজের ফাঁকে ছোট সময়ের জন্য হাঁটলেই শরীরে এনার্জি বার্ন হয় এবং ফিটনেস বাড়ে। সুতরাং, একটানা হাঁটার চাপ না নিয়ে মাইক্রো ওয়াকিংয়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন। কাজের ফাঁকে মাত্র ৩০ সেকেন্ড হাঁটলেই আপনি থাকবেন সুস্থ ও সক্রিয়। জাগতিক /এসআই  
রাতে ঘুম না এলে কী করবেন? সহজ টিপসে পান শান্তির ঘুম
বিশ্বজুড়ে এক তৃতীয়াংশ মানুষ অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন। আধুনিক জীবনযাত্রার ব্যস্ততায় ঘুমানোর সময় পিছিয়ে যাচ্ছে, আর ঘুমের অভাবে শরীর ও মনের ওপর প্রভাব পড়ছে। তবে কিছু অভ্যাস পাল্টালেই এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। অনিদ্রার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ রাত জেগে কাজ বা পড়াশোনা অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম (মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার) অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ধূমপান ও ক্যাফেইনের অতিরিক্ত সেবন ঘুমানোর আগে যা করবেন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, একটি নিয়মিত রুটিন এবং কিছু সাধারণ অভ্যাস ঘুমের গুণগত মান বাড়াতে পারে। ১. শান্ত ঘুমের জন্য সঠিক পরিবেশ তৈরি করুন ঘুমানোর ঘরটি অন্ধকার ও নীরব রাখুন। তাপমাত্রা আরামদায়ক রাখার চেষ্টা করুন। ঘুমানোর ঘরে মোবাইল, ল্যাপটপ বা টিভি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। ২. ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করুন। রাতে ঘুমানোর আগে ৩০ মিনিট রিল্যাক্স করুন। ৩. সঠিক খাবার নির্বাচন করুন ঘুমের আগে বাদাম, দুধ, মধু, আখরোট, কলা, ডিম, বা মিষ্টি আলুর মতো খাবার খান। কফি, সিগারেট এবং মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন। ৪. ব্যায়াম করুন প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম বা হাঁটুন। তবে ঘুমানোর ঠিক আগে ভারী ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন। ৫. পানি ও রাতের খাবারে মনোযোগ দিন ঘুমানোর ৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন। ঘুমের আগে অতিরিক্ত পানি পান এড়িয়ে চলুন। কীভাবে অভ্যাস গড়ে তুলবেন? নিয়মিত এই টিপসগুলো মেনে চললে আপনার ঘুমের গুণগত মান বাড়বে এবং মানসিক প্রশান্তি আসবে। ঘুম ভালো হলে শরীরও সুস্থ থাকবে। সুতরাং, অনিদ্রার সমস্যাকে আর গুরুত্বহীনভাবে নেবেন না। শান্তির ঘুম পেতে আজই এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলুন। জাগতিক /এসআই  
2Error!: SQLSTATE[HY000]: General error: 1366 Incorrect integer value: '' for column 'news_id' at row 1