logo
  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
উপকূলজুড়ে ভারী বৃষ্টির আভাস, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
মন্তব্য আমীর খসরুর / রমজানের আগে নির্বাচনে জাতীয় ঐকমত্য আছে”
রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজন নিয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্য গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, "এই বিষয়ে এখন আর কোনো দ্বিমত নেই, জাতি স্বস্তি ও আশার জায়গায় এসেছে।" মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে একই কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ডায়াস ফেরেস বৈঠক করেন। বৈঠকে আমীর খসরু ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী। সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু আরও বলেন, "দিনক্ষণ তো নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করবে। এটা আর সরকার বলতে পারবে না, আমরাও বলতে পারবো না।" তিনি আরও বলেন, "নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের জন্য জাতিকে কিছুটা ধৈর্য ধরতে হবে, অস্থিরতার কিছু নেই।" আমীর খসরু মনে করেন, "সব রাজনৈতিক শক্তিই এখন নির্বাচনের প্রশ্নে একটি অভিন্ন জায়গায় এসে পৌঁছেছে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ এই সিদ্ধান্তে খুশি।"
বিস্ফোরক মামলায় বিএনপি নেতা এ্যানিসহ ৯ জন খালাস
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে আশাবাদী হওয়ার আহ্বান উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের
হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের আহ্বান শায়খ সালেহ বিন হুমাইদের
চেয়ারের জন্য মতিভ্রম, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে এমন বক্তব্য লজ্জাজনক”
নতুন তহবিল নীতিমালায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বার্তা দিল এনসিপি
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের আর্থিক ও তহবিল পরিচালনার জন্য একটি নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে, যেখানে নির্ভরযোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও জনভিত্তিক রাজনীতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একইসাথে পূর্ণকালীন রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য বেতন ও বোনাস কাঠামো চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে এই নীতিমালা প্রকাশ করেন। পরে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নীতিমালার মাধ্যমে দলের প্রতিটি টাকার উৎস ও ব্যয়ের হিসাব নৈতিক, স্বচ্ছ এবং আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা হবে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত অর্থের ন্যায্য বণ্টনের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। --- আয়ের উৎস ও সংগ্রহ কৌশল নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, এনসিপি বিভিন্ন উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করবে, যার মধ্যে রয়েছে— মাসিক সদস্য ফি: রশিদ, মোবাইল পেমেন্ট বা ব্যাংকের মাধ্যমে। গণ-অনুদান: ‘১০০ টাকা ক্যাম্পেইন’ এবং ‘ছোট দান, বড় স্বপ্ন’ কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ক্ষুদ্র অনুদান। দলীয় আয়: টি-শার্ট, মগ, বই বিক্রি ও অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স। অনলাইন গণচাঁদা: দেশ-বিদেশের নাগরিকদের জন্য ওয়েবসাইটে ডিজিটাল রসিদের মাধ্যমে দানের সুযোগ। কর্পোরেট অনুদান: শুধু বৈধ ও নৈতিক উৎস থেকে যাচাই করে অনুদান গ্রহণ। নীতিমালায় কালো টাকা, বিদেশি সরকার বা অপরাধ সংশ্লিষ্ট কোনো অনুদান গ্রহণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। --- স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিনির্ভর পদক্ষেপ প্রতিটি অনুদানের জন্য স্বয়ংক্রিয় রসিদ, অনলাইন এন্ট্রি এবং ইউনিক আইডি থাকবে। ৫ হাজার টাকার বেশি অনুদানে দাতার পরিচয় গোপন থাকলেও দলীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হবে। লেনদেন গুগল শিট বা সফটওয়্যারে রেকর্ড থাকবে, যা কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণযোগ্য। বাজেট অনুমোদন ব্যতীত কোনো খরচ করা যাবে না। হুমকি বা জোর করে অর্থ আদায় নিষিদ্ধ। হুইসেলব্লোয়ার পলিসির মাধ্যমে অনৈতিক লেনদেন গোপনে রিপোর্ট করা যাবে।   --- অর্থ ও বাজেট কমিটির কাঠামো কমিটি হবে ৬ সদস্যের, যার মধ্যে থাকবেন: একজন কোষাধ্যক্ষ (সভাপতি), তথ্যপ্রযুক্তি, অডিট, ব্যাংকিং, আইন ও প্রবাসী প্রতিনিধিরা। তারা বাজেট প্রণয়ন, তহবিল সংগ্রহ কৌশল, বণ্টন, অডিট, আর্থিক তদন্ত ইত্যাদি তদারকি করবেন। ছয় মাস পরপর আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ এবং ৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেনে পূর্ণ নিরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। --- পূর্ণকালীন কর্মীদের জন্য সম্মানজনক ভাতা কাঠামো পূর্ণকালীন রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য চার স্তরে ভাগ করা ভাতা কাঠামো চালুর কথা বলা হয়েছে। অঞ্চলভেদে জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় বেতন নির্ধারিত হবে। এতে তরুণ সংগঠকরা নৈতিকভাবে রাজনীতি করতে উৎসাহ পাবেন বলে দলটির দাবি। --- এনসিপির দাবি, এই নীতিমালা শুধু একটি আর্থিক নির্দেশিকা নয়—বরং রাজনীতিতে পেশাদারিত্ব, স্বচ্ছতা ও জনসম্পৃক্ততার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার দিকে এক দৃঢ় পদক্ষেপ। নীতিমালাটি বিস্তারিত পাওয়া যাবে: ???? www.ncpbd.org/funding-policy.pdf
ঈদুল আজহাকে ‘নির্বাচনী প্রস্তুতি’র মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করতে চায় বিএনপি
নির্বাচনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপ এখনো ঘোষণা না হলেও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের সক্রিয় হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সম্ভাব্য প্রার্থী ও স্থানীয় ইউনিটগুলোর নেতাদের জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে বলা হয়েছে। বিএনপির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে ঈদের মতো বৃহৎ ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠানকে কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এজন্য নেতাকর্মীদের সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডেও অংশ নিতে বলা হয়েছে। বিএনপি অভিযোগ করছে, বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তারা এলাকায় নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারেননি। এবার দলটি চেষ্টা করছে ঈদকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ও সাংগঠনিকভাবে পুনর্জাগরণের সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে। একজন সিনিয়র বিএনপি নেতা বলেন, "ঈদুল আজহার সময় আমাদের নেতাকর্মীরা যাতে তৃণমূলে গিয়ে মানুষের খোঁজ-খবর নেয়, ঈদ আনন্দে অংশ নেয় এবং সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে—এমনটাই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।" বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলনকেন্দ্রিক রাজনীতির পর এবার বিএনপি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিতে চাইছে মাঠপর্যায়ে। আর সেই উদ্দেশ্যেই ঈদকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মকৌশলের নতুন ধারা শুরু করতে চায় দলটি।
এক দশক পর চাঁদপুরে ছাত্রদল নেতা হত্যায় ডা. দীপু মনিসহ ৪৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২০১৩ সালের রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ছাত্রদল নেতা তাজুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে দীর্ঘ এক যুগ পর চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ ৪৯০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, তার ভাই ডা. জে. আর. ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ আরও বহু নেতা-কর্মী। বুধবার (৪ জুন) দুপুরে নিহত তাজুল ইসলামের বড় ভাই মো. ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসিন আরাফাত মামলাটি আমলে নিয়ে চাঁদপুর মডেল থানাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশ দেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা ও গুলি চালায়। এতে ছাত্রদল নেতা তাজুল ইসলাম (২০) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় আরও প্রায় ৩০০ বিএনপি-ছাত্রদল কর্মী আহত হন। বাদী দাবি করেন, ঘটনার পর তৎকালীন রাজনৈতিক পরিবেশ এবং আসামিদের প্রভাব ও হুমকির কারণে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে এলে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরে আসায় তিনি আইনের আশ্রয় নেন। মামলায় নাম উল্লেখ করে ১৪০ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০-৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাদের জিলানী মিল্টন জানান, “প্রায় এক যুগ পরে মামলা হলেও যদি যথাযথ সাক্ষ্য-প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা যায়, তাহলে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব।” উল্লেখ্য, নিহত তাজুল ইসলাম ও মামলার বাদী ফারুকুল ইসলাম চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস / গুমের ঘটনা নিয়ে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত
বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশে ঘটে যাওয়া গুমের ঘটনাগুলো এতটাই ভয়াবহ ও গা শিউরে ওঠার মতো যে, এগুলোর ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম গড়ে তোলা উচিত। বুধবার গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন তাঁর কাছে দ্বিতীয় ইন্টেরিম রিপোর্ট জমা দিলে তিনি এই মন্তব্য করেন। ড. ইউনূস বলেন, “এই সমাজের ভদ্র মুখোশধারী মানুষ, আমাদের আত্মীয়-পরিজনেরাই এসব গুমের মতো বিভীষিকাময় ঘটনা ঘটিয়েছে। যেসব তথ্য-উপাত্ত কমিশন সংগ্রহ করেছে, সেগুলো এতটাই ভয়ঙ্কর যে, সাধারণ মানুষের সামনে তা উপস্থাপন করতে একটি হরর মিউজিয়াম তৈরি করা দরকার।” তিনি আরও বলেন, “এই বন্দিশালাগুলো কেমন ছিল, তা কল্পনাও করা যায় না—মাত্র তিন ফিট বাই তিন ফিট জায়গার মধ্যে দিনের পর দিন, এমনকি মাসের পর মাস আটকে রাখা হয়েছে মানুষকে। এর মধ্যে যে নির্মমতা, যে নিষ্ঠুরতা, তা জাতির সামনে তুলে ধরতেই হবে।” প্রতিবেদন পাওয়ার পর ড. ইউনূস সুপারিশ করেন, এই রিপোর্টটি যেন ওয়েবসাইট এবং বই আকারে প্রকাশ করা হয়, যাতে জনগণ প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে। গুমের ঘটনাগুলোর প্রতি জাতীয় মনোযোগ ফেরাতে এবং মানবাধিকার রক্ষায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তাজউদ্দীন মাঠে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার স্বীকৃতি বাতিল হয় কীভাবে?”প্রশ্ন সারজিস আলমের
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের স্বীকৃতি বাতিলের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বুধবার (৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “তাজউদ্দীন আহমদ মাঠে থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয় কীভাবে?” তিনি আরও লেখেন, “মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে ইচ্ছাকৃতভাবে বন্দি হয়ে বিজয়ের পর পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি সরাসরি মাঠে ছিলেন না।” সারজিস আলমের এই পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই তার বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে মত দিচ্ছেন। নিচে ইত্তেফাকের পাঠকদের জন্য সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টটি তুলে ধরা হলো— > “তাজউদ্দীন আহমদ মাঠে থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয় কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে ইচ্ছাকৃতভাবে বন্দি হয়ে বিজয়ের পর পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি সরাসরি মাঠে ছিলেন না।”
পলিটিকসে দুই আর দুইয়ে ২২ হয়, ইকোনমিকসে ৪”
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, "ইউনূস সাহেব, পলিটিকস আর ইকোনমিকস এক নয়। পলিটিকসে দুই আর দুইয়ে ২২ হয়, আর ইকোনমিকসে দুই আর দুইয়ে ৪ হয়।" গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে আন্দালিব রহমান বলেন, “অনেকে বলেন—আপনারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চান। ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা আমরা বলিনি, আপনি ইউনূস সাহেব বলেছেন। আমরা শুধু বলেছি, আপনি যে ওয়াদা দিয়েছেন, সেটা আপনি পালন করুন। আমাদের মুখ থেকে ডিসেম্বরের কথা আসেনি।” তিনি প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, “আপনার ক্ষমতার উৎস জনগণ। যেহেতু সংসদ নেই, আপনার ক্ষমতার উৎস আমরা—রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীরা। আপনি এখন যে সংস্কারের কথা বলছেন, সাধারণ মানুষের কোনো প্রস্তাব কি আসছে তাতে?” দেশের অর্থনৈতিক সংকট তুলে ধরে আন্দালিব বলেন, “আজকে বাংলাদেশে দুই লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে, সে বিষয়ে কোনো সংস্কারের কথা বলেননি আপনি। ব্যবসায়ীরা আজ এনবিআর ও নানা সংস্কারের চাপে হাহাকার করছে, গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাদের কথা বলার কোনো জায়গা নেই।” তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, দেশ ও মানুষের স্বার্থে রাজনৈতিক পরামর্শ ও জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার।
মুজিবনগর সরকারের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়নি
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরে দাবি করা হয়েছে, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের—যাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানের মতো মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিত্বরাও আছেন—তাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। তবে এই তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ফারুকী বিষয়টিকে ‘ভুয়া সংবাদ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি লিখেছেন, “প্রিয় ভাই-বোনেরা, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল—এটি একটি ফেইক নিউজ।” ফারুকী আরও বলেন, “নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্পষ্ট স্বীকৃতি দেওয়া আছে। মুজিবনগর সরকারের কোনো সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে গেছে—এটিও একটি বিভ্রান্তিকর খবর।” উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি তালিকা বাতিল ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়নি
2Error!: SQLSTATE[23000]: Integrity constraint violation: 1062 Duplicate entry '0' for key 'news_id'