logo
  • মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২

শিরোনাম

  •     ১৯৪৭ থেকে আজ পর্যন্ত কারও কষ্টের জন্য বিনা শর্তে ক্ষমাপ্রার্থী” — টকশোতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
  •     আমীর খসরু নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি
  •     ছলছুতোয় রাজধানীর সড়ক অবরোধ করলেই অ্যাকশন
  •     ‘যুদ্ধের ইতি আমরাই টানব’ - ট্রাম্পকে কড়া হুশিয়ারি ইরানের
  •     ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প
খাগড়াছড়ির ঘটনায় এনসিপির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন, পদত্যাগ অলিক মৃ’র
কী জানা গেল / ট্রাম্পের নতুন ওষুধ আমদানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক
ভারত ও ইউরোপ থেকে মূলত ওষুধ আমদানি করে যুক্তরাষ্ট্র; নতুন শুল্কে দাম দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনো ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্ট করা ওষুধ আমদানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। একইসঙ্গে তিনি আরও কিছু পণ্যের ওপর নতুন শুল্কের ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “যেকোনো ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্ট করা ওষুধ আমদানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে।”  এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকারক ও ভোক্তাদের জন্য ওষুধের দাম কার্যত দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তবে একটি ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে। যেসব কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের ওষুধ উৎপাদন কারখানা নির্মাণ করছে, তারা এই শুল্ক থেকে ছাড় পাবে। ট্রাম্পের ভাষায়, “যতক্ষণ তারা ‘ব্রেকিং গ্রাউন্ড’ করেছে বা ‘নির্মাণাধীন’ রয়েছে, তারা ছাড়ের আওতায় থাকবে।” ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র মোট ১৫৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করেছে, যা মোট আমদানির প্রায় ৫.৬ শতাংশ। এর মধ্যে কেবলমাত্র প্যাকেটজাত ওষুধই ছিল ৮৬.৪ বিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে  আয়ারল্যান্ড থেকে ১৪.২% (১২.৩ বিলিয়ন ডলার) সুইজারল্যান্ড থেকে ১৪% (১২.১ বিলিয়ন ডলার) জার্মানি থেকে ১৩.৪% (১১.৬ বিলিয়ন ডলার) ভারত থেকে ১০.৬% (৯.২ বিলিয়ন ডলার) এছাড়াও ভ্যাকসিন, রক্তজাত পণ্য, টক্সিন ইত্যাদি ছিল ৬৫.১ বিলিয়ন ডলার, যার বড় অংশ এসেছে আয়ারল্যান্ড ও জার্মানি থেকে। ঘোষণার পরপরই ইউরোপ ও এশিয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির শেয়ারমূল্যে পতন দেখা যায়। সুইস কোম্পানি লনজা, নোভার্টিস ও রোশের শেয়ার গড়ে ১.২% কমে যায়।  জার্মানির মের্ক ও বায়ারের শেয়ার যথাক্রমে ১.১% ও ১.৫% কমে। জাপানে সুমিতোমো ফার্মা ৩.৫%, ওতসুকা ২.৯% ও দাইইচি স্যাঙ্কিও ২% হারে নেমে যায়। ভারতে প্রধান ফার্মাসিউটিক্যাল সূচক ২% কমে যায়, যেখানে সান ফার্মার শেয়ার ৩% হ্রাস পায়। অস্ট্রেলিয়ার সিএসএল ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় কোম্পানিগুলোর ওপর তাত্ক্ষণিক প্রভাব কম পড়বে। কারণ তাদের অনেকেই ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা বা পুনঃপ্যাকেজিং ইউনিট পরিচালনা করছে। তবে আশঙ্কা রয়েছে, ভবিষ্যতে যদি এই শুল্ক জেনেরিক ওষুধের ওপরও আরোপ করা হয়, তাহলে ভারতীয় শিল্প বড় ধাক্কা খাবে। অন্যদিকে ইউরোপ ও জাপানের অনেক কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে বিনিয়োগ করতে বাধ্য হতে পারে। কিন্তু এতে খরচ বাড়বে এবং দীর্ঘমেয়াদে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির সংগঠন PhRMA সতর্ক করেছে, নতুন শুল্ক বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাদের মতে, এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের নীতি যুক্তরাষ্ট্রে বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ টানতে সাহায্য করেছে। কিন্তু “প্রতিটি ডলার শুল্কে ব্যয় মানে সেই ডলার আর গবেষণা বা নতুন কারখানায় খরচ করা যাবে না।” অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম বাটলিন বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় কোম্পানিগুলো বিদেশি প্রতিযোগিতা থেকে কিছুটা সুবিধা পেলেও ভোক্তা ও হাসপাতালগুলোকে বেশি দাম গুনতে হবে। তাছাড়া অনেক ওষুধের বিকল্প দেশীয়ভাবে নেই, ফলে ঘাটতিও দেখা দিতে পারে। ওষুধ ছাড়াও ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন রান্নাঘরের আলমারি, টয়লেট ভ্যানিটি ও সংশ্লিষ্ট পণ্যে ৫০% শুল্ক আরোপ করবেন। অন্যান্য আসবাবপত্র (যা কাপড়, স্প্রিং বা চামড়া দিয়ে মোড়ানো) ৩০% শুল্ক আরোপ করা হবে। এছাড়াও ভারী ট্রাকে ২৫% শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উপরের সবকিছুই  ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে।
অবরোধে স্থবির খাগড়াছড়ি, থমথমে গুইমারায় টহল জোরদার
পাবনায় ট্রেন লাইনচ্যুত, উত্তরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে ট্রাম্পকার্ড খেলছে ভারত
ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যে অশুল্ক বাধায় ২০% খরচ বেড়েছে
বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ গ্রহণের সীমা নির্ধারণ করেছে আইএমএফ
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জন্য বিদেশি ঋণ গ্রহণের সীমা বেঁধে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির শর্ত অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৮৪৪ কোটি ডলারের বেশি ঋণ নিতে পারবে না। গত জুনে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১৩৪ কোটি ডলার ছাড়ের পর প্রকাশিত বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্টে এ শর্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি প্রান্তিকে কী পরিমাণ ঋণ নেওয়া যাবে সেটিও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে— প্রথম ত্রৈমাসিকে: সর্বোচ্চ ১৯১ কোটি ডলার ছয় মাসে: ৩৩৪ কোটি ডলার নয় মাসে: ৪৩৪ কোটি ডলার পুরো অর্থবছরে: সর্বোচ্চ ৮৪৪ কোটি ডলার আইএমএফ প্রতি তিন মাসে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৮৫৭ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ নিয়েছিল। এ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে ঋণ নেওয়া হয়েছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ডলার। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার কিছুটা কম ঋণ নিতে হবে সরকারের। আইএমএফ ২০২৩ সালে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করলেও তখন বিদেশি ঋণ সীমার কোনো শর্ত ছিল না। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি অনুমোদনের সময় মূল ঋণের পরিমাণ ৮০ কোটি ডলার বাড়ানো হয় এবং মেয়াদও ছয় মাস বাড়ে। এরপরই নতুন শর্ত আরোপ করে আইএমএফ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএমএফের সর্বশেষ ঋণ স্থায়িত্ব বিশ্লেষণ (ডিএসএ)-এর ভিত্তিতেই এই সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশ এখন ‘কম ঝুঁকি’র দেশ নয়, বরং ধারাবাহিকভাবে ‘মধ্যম ঝুঁকি’র তালিকায় চলে এসেছে। রপ্তানি ও রাজস্ব আয়ের তুলনায় ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়ে যাওয়াই এর কারণ।
বিএসএফের গুলি থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারী-পুরুষ কেউ
পৃথিবীর কোনো সীমান্তে নির্বিচারে মানুষ হত্যার উদাহরণ না থাকলেও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিরামহীন হত্যা চলছেই। ১৯৭২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এক হাজার ৯৫৬ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছে সীমান্তে। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ভারত সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনার কথা মুখে বললেও বাস্তবে সে পথে হাঁটছে না। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া দরকার বাংলাদেশের। অন্যদিকে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী ভারতের দিক থেকে সাধারণ মানুষকে ঠেলে পাঠিয়ে দিচ্ছে (পুশ ইন) এ দেশে। গত কয়েক মাসে দুই হাজারের বেশি মানুষকে পুশ ইন করেছে বলে জানা গেছে। গত শুক্র ও শনিবারও বিএসএফের গুলিতে ঠাকুরগাঁও ও সুনামগঞ্জের সীমান্তে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ২৩ দিন পর গত বছর ১ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের জুড়ি এলাকায় স্বর্ণা দাস (১৪) নামের এক কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ।  অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী স্বর্ণা দাসকে নিয়ে সেদিন রাতে তার মা সঞ্জিতা রানী দাস ভারতের ত্রিপুরায় ভাইকে দেখতে যাচ্ছিলেন। তাঁরা ত্রিপুরা রাজ্যের কালেরকান্দি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছলে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে স্বর্ণা মারা যায় এবং স্বর্ণার মাসহ কয়েকজন আহত হয়। এর সাত দিন পর ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে ১৫ বছরের কিশোর জয়ন্ত সিংহকে হত্যা করে বিএসএফ।  গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আল আমিন (৩২) নামের একজন। এর পরদিন কক্সবাজারে ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি (ভারতকে), এটা (হত্যা) কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। আর যদি একটি হত্যার ঘটনাও ঘটে, তাহলে আমরা আরো কঠোর অবস্থানে যাব।’ এ ধরনের হুঁশিয়ারিতেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বিভিন্ন সীমান্তে হত্যা চলছেই। সীমান্তে হত্যা বন্ধে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ এর পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলান। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে সীমান্ত বাহিনীর প্রধানদের বৈঠকে তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এ কাজ করেই যাচ্ছেন তাঁরা। পৃথিবীর কোনো সীমান্তে এমন নির্বিচারে হত্যার উদাহরণ নেই। এ অবস্থায় তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া উচিত। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রবণতা হলো বাংলাদেশ সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। গুলি করে মানুষ হত্যা করে আতঙ্ক তৈরির মাধ্যমে বোঝানো যে, তোমরা বেশি বাড়াবাড়ি করো না, আমরা বড় শক্তি।’ শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না বিএসএফ। তারা ভারত থেকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সাধারণ মানুষদের। গত কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক আইন-কানুন ভেঙে দুই হাজারের বেশি মানুষকে পুশ ইন করা হয়েছে।  সম্প্রতি প্রকাশিত বিবিসি বাংলার এক সংবাদে বলা হয়েছে, বেশ কিছু রোহিঙ্গা মুসলিমকেও ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আন্দামান সাগরে নামিয়ে দিয়ে মিয়ানমারের দিকে সাঁতরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে এমন ঘটনাও ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই কৌশলের অংশ হিসেবেই দিল্লি, রাজস্থান, জম্মু, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা বা কর্ণাটকের মতো বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাংলা ভাষাভাষী মুসলিমদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে সন্দেহ হলেই ঢালাওভাবে আটক করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ বা আসামের মতো রাজ্যে। তারপর বিএসএফ রাতের অন্ধকারে বন্দুকের মুখে এদের ঠেলে দিচ্ছে বাংলাদেশের দিকে। গত ৩ জুলাইও ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ এয়ারক্র্যাফট এ রকম ২৫০ জন নারী-পুরুষকে গুজরাটের ভাদোদরা থেকে এয়ারলিফট করে উত্তর-পূর্ব ভারতে এনে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে ভারতীয় মিডিয়া রিপোর্ট করেছে। এদেরও পুশ ইন করা হয়েছে এরই মধ্যে অথবা হবে যেকোনো দিন। ‘অনেকটা যেন ভারত সরকার এই লোকগুলোকে ‘কিডন্যাপ’ করে বর্ডারে নিয়ে এসে নো ম্যানস ল্যান্ডে ছেড়ে দিয়ে যাচ্ছে’, বলেছেন দিল্লিতে সাউথ এশিয়া হিউম্যান রাইটস ডকুমেন্টেশন সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক রবি নায়ার। অনুপ্রবেশকারীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে নিজস্ব রীতিনীতি বা ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ আছে সেটাও মানার কোনো ধার ধারছে না দিল্লি, তা একেবারেই পরিষ্কার
ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে
ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে এক নারী অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্লাইটে বোমা রয়েছে বলে ভুয়া তথ্য দিয়েছিলেন। শনিবার কারওয়ান বাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান এই তথ্য জানান । এ ঘটনায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। ব্রিফিংয়ে র‍্যাব জানায়, এই ঘটনার সঙ্গে পারিবারিক বিষয় জড়িত। ছেলে যেন পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে কাঠমান্ডুতে না যেতে পারেন- এ জন্য মা ফোন দিয়ে জানান বিমানে বোমা আছে। র‍্যাব মহাপরিচালক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সম্প্রতি বোমা আছে এমন এক ফোনকলের মাধ্যমে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। পরে বিমানটি তল্লাশি করে বোমা পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আমরা তিনজনকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করেছি। র‍্যাব ডিজি জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ইমন নামে এক ব্যক্তি তার পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে ওই ফ্লাইটে করে কাঠমান্ডু যাচ্ছিলেন। বিষয়টি তার স্ত্রী ও মা জানতে পারেন। পরে ওই ব্যক্তির এক বন্ধুর থেকে তথ্য নিয়ে ওই মা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন করে বিমানে বোমা আছে এমন ভুয়া সংবাদ দেন। যাতে করে ছেলেকে তার পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে কাঠমান্ডু যেতে আটকাতে পারেন।
মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে
মিটফোর্ডে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে ঘটেছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ দিয়ে কিছু দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।’ শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ‘দু-একটি রাজনৈতিক দল মিছিল করে এই হত্যাকাণ্ডের দায় বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা শেখ হাসিনার মতো নিশ্চুপ থাকিনি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি, তাদের বহিষ্কার করেছি এবং ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। তাহলে আপনারা মিছিল করছেন কেন? এটা তো স্পষ্ট রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভুলে যাইনি—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছিল। বাস থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই নৃশংসতা ও সহিংসতার ইতিহাস মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। এখন আপনারা সেই স্মৃতি ভুলিয়ে দিয়ে বিএনপির ইতিবাচক দিকগুলো উপেক্ষা করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন, এতে কোনো লাভ হবে না।’ খুলনায় রগ কেটে হত্যাকাণ্ড এবং চাঁদপুরে মসজিদের ভেতরে ইমামকে কুপিয়ে হত্যার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনায় তো কাউকে দায়ী করতে দেখিনি। অথচ মিটফোর্ডের ঘটনা নিয়ে বিএনপিকে টার্গেট করা হচ্ছে। আমরা সোহাগ হত্যাসহ সব হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’ রিজভী বলেন, ‘বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক পরিবার। সেখানে দু-একজন দুষ্কৃতকারী ঢুকে পড়তেই পারে। কিন্তু তাদের চিহ্নিত করা গেলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আমরা পিছপা হই না। সুজানগরে সম্প্রতি বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় সেই রাতেই জড়িতদের বহিষ্কার করা হয়েছে।’ মিটফোর্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি ছিল ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ও ব্যবসায়িক বিরোধের জের। দলীয় মতাদর্শ বা পদ-পদবি নিয়ে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। ঘটনার পেছনে ভাঙারি ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এখানে দলীয় কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’ রিজভী আরও বলেন, ‘যে কোনো ধরণের অপরাধ বা সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। তারা মাটির নিচে পালালেও সেখান থেকে টেনে বের করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজ করার সাহস না পায়
পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। নারকীয় এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও তিনি উল্লেখ করেন।  শনিবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্টে আসিফ নজরুল লিখেছেন, ‘রাজধানীর মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।’ পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও লিখেন, ‘দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন-২০০২ এর ধারা ১০ এর অধীনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে
শেখ হাসিনার কন্যা পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তিনি সংস্থাটির দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অফিসের একজন আঞ্চলিক পরিচালক ছিলেন। চার মাস আগে দুর্নীতি দমন সংস্থা দুদক তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জালিয়াতির অভিযোগ এনে দুটি মামলা করে। এরপরই তাকে ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে এই ছুটি কার্যকর হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস স্টাফদের একটি ছোট ইমেইল বার্তায় জানিয়েছেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ১১ জুলাই থেকে ছুটিতে পাঠানো হবে। তার জায়গায় আঞ্চলিক অফিসের দায়িত্ব পালন করবেন সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক ডাক্তার ক্যাথরিনা বোহমি। তিনি ১৫ জুলাই নয়াদিল্লিতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক অফিসের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন পুতুল। তবে তার এ নিয়োগ নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। অভিযোগ আছে, তার মা শেখ হাসিনা তাকে এই পদে নির্বাচিত করতে অবৈধ প্রভাব খাটিয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানায় হেলথ পলিসি ওয়াচ। এদিকে দুদক পুতুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। সংস্থাটি অভিযোগ করে, আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার সময় পুতুল তার শিক্ষাগত রেকর্ড নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নিতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে সম্মানসূচক পদ থাকার দাবি করেন। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগ করেছে দুদক। বাংলাদেশে মামলা হওয়ার পর আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে তার কার্যক্রম চালানোর ক্ষমতা হ্রাস পায়। সূত্র: হেলথ পলিসি
বাবা-মায়ের পর মারা গেছে দগ্ধ শিশু রাফিয়াও
যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোডের একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ বাবা মায়ের মৃত্যুর পর তাদের তিন বছরের শিশু সন্তান রাফিয়াও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।  সে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় মারা যায়।  মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ  হয়েছিল। এর আগে একই ঘটনায় চিকিৎসাধীন থেকে তার মা ইতি বেগম (৩০) ও বাবা মো. রিপন মিয়া (৪০) মারা গেছেন। এ ঘটনায় আর কেউ বেঁচে নেই। একে একে দগ্ধ তিনজনই মারা যান।  উল্লেখ্য, গত বুধবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাতে যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোডের একটি বাসায় জমা গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে স্বামী, স্ত্রী, সন্তান দগ্ধ হয়েছিলেন। তাদের কে ওই রাতেই জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়