‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫’ এর উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি।
ড. ইউনূস প্রধান অতিথি হিসেবে এতে অংশ নেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ১ মে পর্যন্ত এই পুলিশ সপ্তাহ চলবে। এবার পদকের জন্য ঘোষিত ৬২ জন কৃতি পুলিশ সদস্যকে আজ পদক পরিয়ে দেবেন প্রধান উপদেষ্টা।
এবারের পুলিশ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য 'আমার পুলিশ, আমার দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ'। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপারসহ সব পদবীর পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।


- সর্বশেষ
- জনপ্রিয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে স্পেসএক্সের গ্লোবাল এনগেজমেন্ট বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার বুধবার কাতারের দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সাক্ষাৎ করেছেন।
উভয়ে বাংলাদেশে স্পেসএক্স স্যাটেলাইট পরিষেবা শিগগিরই চালু করার ব্যাপারে চূড়ান্ত পর্বের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। দুই দশক ধরে ইলন মাস্কের সঙ্গে কাজ করা ড্রেয়ার জানান, এই অংশীদারিত্বের অগ্রগতি নিয়ে তিনি আশাবাদী।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় শেষ রেখায় পৌঁছে গেছি। আমি আমার টিমকে নির্দেশ দিয়েছি যে মে মাসের মধ্যে প্রযুক্তিগত উৎক্ষেপণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকতে।’
সাক্ষাতে অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের মানুষের আগ্রহের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এটি একটি বড় খবর। মানুষ দিন গুনছে। সময় এলে আমরা তা উদযাপন করবো বড় পরিসরে।’
এই অংশীদারিত্ব পুরোপুরি শুরু হবে একটি প্রযুক্তিগত রোলআউটের মাধ্যমে এবং কয়েকটি চূড়ান্ত বিষয়ের সমাধান হলে। এছাড়া, ইলন মাস্ক প্রতিষ্ঠিত আরেকটি প্রতিষ্ঠান পেপ্যালও বাংলাদেশে স্পেসএক্সের কার্যক্রমে ডিজিটাল লেনদেনের সহায়ক হিসেবে বিবেচনায় রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে লরেন ড্রেয়ার বলেন, ‘শুরু থেকেই এটি ছিল আমাদের অংশগ্রহণ করা অন্যতম সুসংগঠিত ও কার্যকরী একটি উদ্যোগ।’
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ / জামায়াতপন্থী ব্যবসায়ী গাড়ি
এবার কার দেয়া গাড়িতে চড়েন সে বিষয়ে মুখ খুললেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হান্নান মাসউদ বলেছেন, আমি নিজে একটা গাড়ি নিয়েছি। এ গাড়ির ব্যাপারে আমি অনেকবার বলেছি। এটা নিয়ে সাংবাদিকরাও বিভিন্ন নিউজ করেছেন। গাড়িটা কার সেটা বের করেছেন। এটা একজন ব্যবসায়ীর গাড়ি। যিনি মূলত একজন জামায়াতপন্থী ব্যবসায়ী। ওনার গাড়ি। উনি এটা আমাকে দেন। ভালো জেনেই দেন। উনি আমার হাতিয়ার মানুষ। উনি চান যে হাতিয়াতে আমি যেনো রাজনীতিটা করি। এখন আমার বাড়িতে বাইকে যাওয়া তো রিস্কি। এখন তো আর আগের মতো যাতায়াত করা সম্ভব নয়। সেই ক্ষেত্রে এই সকল বিষয় নিয়ে বারবার বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার এলাকার ৩০০ প্রবাসী আছেন। যারা একটা গ্রুপ করে নিয়মিত আমাকে টাকাপয়সা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা চান আমি যেন হাতিয়া থেকে নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হই।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির তৃতীয় দফা বৈঠক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির তৃতীয় দফা বৈঠক মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের এলডি হলের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক হবে।
এতে অংশ নেবেন দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাবেক সংস্থাপন সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) প্রথম দফা এবং রবিবার (২০ এপ্রিল) দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়।

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল কোনো ব্যক্তির পরিবর্তন নয়, ক্ষমতা থেকে একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসানোর পরিকল্পনা ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এই বৈঠকে এ মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক।
নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান কেবল কোনো ব্যক্তির পরিবর্তন নয়; এটা ক্ষমতা থেকে একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসানোর পরিকল্পনা ছিল না। বরং কীভাবে রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক ও গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার রক্ষা করা যায় এরকম একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা ছিল।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় একটি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এনসিপি। যে দলের প্রধান শক্তি ও ভিত্তির জায়গাটা হচ্ছে এই দেশের তরুণরা। সেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে আমাদের যে বক্তব্য ছিল আমরা ফ্যাসিবাদের বিলোপ ও একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন সময় জনগণ রাস্তায় নেমেছে, আন্দোলন করেছে। আমরা ৯০ গণঅভ্যুত্থানের কথা বইয়ে পড়েছি। কিন্তু যে আকাঙ্ক্ষায় জনগণের রাস্তায় নেমে আসা সে আকাঙ্ক্ষাগুলো বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থতার ফলেই ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদের শাসন ব্যবস্থার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। তাই আমরা চাই, এবারের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয়। জনগণের ভেতরে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এটা জাতির প্রতি আমাদের সকলেরই অঙ্গীকার।
নাহিদ আরও বলেন, যে সংস্কার করলে রাষ্ট্রকাঠামো গুণগত আমূল পরিবর্তন সম্ভব হবে। কারণ, আমরা দেখেছি, বিগত সময়ে আমাদের সংবিধান থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দলীয়করণ ঘটেছিল। আমাদের সংবিধানে একব্যক্তি কেন্দ্রিক একটি কাঠামোর বীজ বুনেছিল। ফলে সেই রাষ্ট্রকাঠামোকে অক্ষুণ্ন রেখে যে-ই ক্ষমতায় যাক তার ভেতরেও ফ্যাসিবাদী প্রবণতা থাকবে, স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে ওঠার প্রবণতা থাকবে। সেই জায়গায় রাষ্ট্রের সংস্কার, সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে এনসিপি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
এনসিপির ভাবনার কথা উল্লেখ করে দলটির আহ্বায়ক বলেন, এবার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে আমাদের জাতির সামনে, জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন, জুলাই সনদ প্রয়োজন। জাতির সামনে আমাদের সকলেই সেই অঙ্গীকার রাখতে হবে যেন আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা, আরেকটি ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে আসবে তার সকল রাস্তা আমরা বন্ধ করে আমরা সামনের দিকে এগোব। একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান, রাষ্ট্রকাঠামো তৈরিতে আমরা সকলেই আমরা যার যার জায়গা থেকে কাজ করব।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফররাজ হোসেন ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।
এনসিপির পক্ষ থেকে থেকে ছিলেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসেল।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চ্যালেঞ্জপূর্ণ অর্থনীতি সামলাতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার দ্য ডেইলি স্টার-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেখতে পায় অর্থনীতির অবস্থা ধারণার চেয়েও খারাপ ছিল।
তিনি জানান, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমে যাচ্ছিলো। উচ্চমাত্রার মূল্যস্ফীতি মানুষকে কঠিন অবস্থায় ফেলে দিয়েছিলো।, আর্থিক লেনদেনের ভারসাম্যও নেতিবাচক ছিল। তবে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণের দায় পরিশোধ করা। কোনোভাবে রিজার্ভে হাত না দিয়ে সরকার এই পরিমাণ ঋণ কমিয়ে ৪০০-৫০০ মিলিয়ন ডলারে নামিয়ে এনেছে। এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সরকার তিনটি প্রধান পদক্ষেপ নিয়েছে:
১. খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি
2. ব্যবসার জন্য নিরবচ্ছিন্ন নগদ প্রবাহ নিশ্চিত করা
3. কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (ADP) পুনর্বিন্যাস
অর্থ উপদেষ্টা জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকিং খাতের অবস্থা এতটাই নাজুক ছিল যে, অনেকের মনে ভয় ছিল, যেকোনো সময় ব্যাংকগুলোতে অর্থের সংকট দেখা দিতে পারে। কিছু ব্যক্তি মিলে ব্যাংকের অর্থ অপব্যবহার করেছে, যা বিশ্বে বিরল ঘটনা। তবে ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ কিছু ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ২০,০০০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে, যার ফলে এখন গ্রাহকরা সহজেই তাদের টাকা তুলতে পারছেন।
দেশে ঋণখেলাপির পরিমাণ বাড়ছে, কারণ মামলা নিষ্পত্তি হতে অনেক সময় লাগছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিশেষ বিচারিক বেঞ্চ গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা।
সরকার কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ বন্ধ করলেও এখনও কিছু উপায়ে এই প্রবাহ চলছে। বিশেষ করে, সম্পত্তির প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কম দামে রেজিস্ট্রেশন করে বাকি অর্থ গোপনে ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো উল্লেখ করেন সরকারি প্রকল্পের দুর্নীতি বন্ধ করাও বড় চ্যালেঞ্জ। পুরনো দুর্নীতিবাজরা নতুন নামে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যা পরিবর্তন করা কঠিন। তবে সরকার এটি ঠেকাতে চেষ্টা করছে।
মাননীয় উপদেষ্টা বলেছেন বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত অনেক কম বলে। তাই কর ব্যবস্থা পৃথকীকরণ এবং অবৈধ সুযোগ সুবিধা বন্ধে বেশ কয়েকটি বিধিবিধান (SRO) বাতিল করা হয়েছে।
স্বাক্ষাতকারে তিনি আরো জানান, উচ্চমূল্যের পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (VAT) বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না। যেমন, ২০০ টাকা কেজির বেশি দামের বিস্কুটে ভ্যাট বাড়ানো যৌক্তিক।
তিনি উল্লেখ করেন যে, সরকার গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে নতুন বড় প্রকল্প নেওয়া হবে না, বিদ্যমান মেগা প্রকল্পগুলো চালিয়ে যাওয়া হবে। বার্ষিক উন্নয়ন বাজেট (ADP) প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা কমানো হতে পারে।
তিনি ডেইরি স্টারকে জানান, বাজেট পরিবর্তন করা কঠিন হওয়ায় আগের সরকারের বাজেট বহাল রাখা হয়েছে। তবে সরকারি ব্যয় কমানো হয়েছে এবং শুধুমাত্র জরুরি খাতে ব্যয় অব্যাহত রাখা হয়েছে, যেমন পুলিশ বাহিনীর জন্য নতুন যানবাহন কেনা, যেহেতু তাদের ৩০০টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে, যাতে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা সমস্যায় না পড়ে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী বাজেটের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। যেমন:
১. মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ
2. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা
3. জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা
4. কৃষিখাতকে শক্তিশালী করা
তিনি বলেন, আগামী বাজেট বাস্তবসম্মত হবে, তবে জনপ্রিয়তা রক্ষার জন্য নয়, বরং দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য প্রস্তুত করা হবে।
কানাডায় নির্বাচন শেষে ভোট গণনা চলছে। চূড়ান্ত ফলাফল আসতে কিছুটা সময় লাগলেও, দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টির সদর দপ্তরে উৎসব শুরু হয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিবিসি জানিয়েছে, নতুন সরকার গঠন করার জন্য লিবারেল পার্টি পর্যাপ্ত সংখ্যক আসনে জয় পেতে যাচ্ছে।
সিবিসি বলছে, গতকাল ভোটগ্রহণ শেষে এখনও ভোট গণনা চলছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে যেকোনো দলকে ১৭২টি আসন দরকার। কানাডার ৩৪৩ আসনের হাউস অব কমন্সে লিবারেল পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, নাকি তাদের সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হবে, তা এখনও নিশ্চিত হয়নি। তবে, বেশিরভাগ বিশ্লেষকের মতে, মার্ক কার্নিই আগামী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, লিবারেল পার্টি ১৫৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
কনজারভেটিভ পার্টি, প্রতিদ্বন্দ্বী দল, ১৪৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে, তবে তারা এখনও পিছিয়ে নেই। এর আগে গত রবিবার ইপসোসের করা এক জরিপে, লিবারেল দল ৪২ শতাংশ ও কনজারভেটিভ দল ৩৮ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছিল।
গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনটি ছিল একটি বদলে যাওয়া রাজনৈতিক পরিবেশে, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার ইচ্ছা নির্বাচন পূর্ববর্তী প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল।
ট্রাম্পের এমন মন্তব্য কানাডায় দেশপ্রেমের নতুন ঢেউ তৈরি করেছে, যা লিবারেল পার্টির প্রার্থী মার্ক কার্নির প্রতি জনসমর্থন বাড়াতে সহায়তা করেছে।
নির্বাচনের আগে, ট্রাম্পের হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা দেশটির জনগণের মধ্যে এক ধরণের জাতীয়তাবাদী অনুভূতি সৃষ্টি করেছে।
ভোটের দিনেও ট্রাম্পের মন্তব্য
ভোটের দিন সকালে, ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে জানান, ‘যদি কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়, তবে তারা শূন্য শুল্কের সম্মুখীন হবে।’
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পলিয়েভর এক্সে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমাদের নির্বাচন থেকে দূরে থাকুন। কানাডা সবসময় গর্বিত, সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ থাকবে এবং আমরা কখনো ৫১তম অঙ্গরাজ্য হব না।’
এ ছাড়া, নির্বাচনী প্রচারণার সময়, ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক মন্তব্যের বিরুদ্ধে পলিয়েভর মুখে কিছু বলেননি, যার কারণে তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।
তবে, মার্ক কার্নি এক্সে ট্রাম্পের পোস্টের বিরুদ্ধে কড়া জবাব দেন, লিখে বলেন, ‘এটা কানাডা, এখানে কী হবে, সেই সিদ্ধান্ত আমরা নেব।’
মার্ক কার্নির নতুন শুরু
মার্ক কার্নি, যিনি রাজনীতিতে একটি নতুন মুখ, তিনি আগে কখনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। কানাডা ও যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হিসেবে কাজ করার পর, তিনি গত মাসে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এই নির্বাচনে তার নেতৃত্বে লিবারেল পার্টির অগ্রগতি এবং ট্রাম্পের হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ প্রমাণ করেছে যে কানাডার জনগণ তাদের স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।
অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার স্বামী কলকাতার স্বনামধন্য পরিচালক সৃজিত মুখার্জি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শুক্রবার রাতে শরীরে অস্বস্তি বোধ করায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মাথা ঘোরার পাশাপাশি শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল পরিচালকের। শনিবার সকাল থেকে নানা রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ঠিক কী হয়েছে এখনও জানা যায়নি।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সমস্ত পরীক্ষার ফলাফল হাতে না পেলে বলা যাবে না তার কী হয়েছে! অথবা তাকে ক’দিন হাসপাতালে থাকতে হবে। পাশাপাশি, তার পুরনো কোনও সমস্যা আছে কি না সেটাও দেখবেন তারা। তবে পরিচালকের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
পহেলা বৈশাখে মুক্তি পেয়েছে সৃজিতের নতুন ছবি ‘কিলবিল সোসাইটি’। ‘হেমলক সোসাইটি’র সিক্যুয়েলে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসুর অভিনয় ইতোমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছে। ছবিটি দেখতে দর্শক ভিড় জমাচ্ছেন প্রেক্ষাগৃহে।
বর্তমানে সৃজিতের কাঁধে একাধিক ছবি ও সিরিজ তৈরির দায়িত্ব। শুক্রবারই তিনি জানিয়েছেন, তার পরবর্তী ছবি রানা সরকার প্রযোজিত ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’। ২০২০ সালে ছবির কথা যৌথভাবে প্রথম ঘোষণা করেছিলেন প্রযোজক-পরিচালক। নানা কারণে সেই ছবির কাজ শুরু হতে চলেছে এ বছর। এতে নামভূমিকায় দেখা যাবে দিব্যজ্যোতি দত্তকে। নটি বিনোদিনীর চরিত্রে থাকবে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
-
৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৯
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলন করছে কলেজটির শিক্ষার্থীরা। আপনি কি এই দাবি সমর্থন করেন?
-
হ্যাঁ০.০০%
-
না১০০.০০%
-
মন্তব্য নেই০.০০%
মোট ভোটদাতাঃ ৬ জনমোট ভোটারঃ ৬ভোট দিনLink Copied -
অনলাইন জরিপ

-
৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৯
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলন করছে কলেজটির শিক্ষার্থীরা। আপনি কি এই দাবি সমর্থন করেন?
-
হ্যাঁ০.০০%
-
না১০০.০০%
-
মন্তব্য নেই০.০০%
মোট ভোটদাতাঃ ৬ জনডাউনলোডঃ ০১ মে ২০২৫, ২৩:০৬মোট ভোটারঃ ৬ভোট দিন -
টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হলো পেসার তানজিম হাসান সাকিব
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানো টেস্টে দেশের ১০৭তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হলো পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
সোমবার চট্টগ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে অভিষেক হয় তানজিমের।
টেস্ট শুরুর আগে তানজিমের মাথায় টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দেন দেশের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৬ ম্যাচে ২৫ উইকেট শিকার করেছেন ২২ বছর বয়সী তানজিম। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের হয়ে ১০টি ওয়ানডে এবং ১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তানজিম।
২০২৩ সালে সাদা বলের দুই ফরম্যাটে অভিষেক হওয়া তানজিম ওয়ানডেতে ১৩ ও টি-টোয়েন্টিতে ২৪ উইকেট শিকার করেছেন।

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হারে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সোমবার চট্টগ্রামে মাঠে গড়াচ্ছে সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট। সিরিজ হারের লজ্জা এড়াতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হবে টাইগারদের।
তবে সিরিজ হার এড়ানোর লক্ষ্যের ম্যাচে টস ভাগ্য পক্ষে আসেনি বাংলাদেশের। টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে (সাবেক জহুর আহমেদ চৌধুরী) সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে দ্বিতীয় টেস্ট।
বাংলাদেশ একাদশ : এনামুল হক বিজয়, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলি অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদ।
জিম্বাবুয়ে একাদশ : ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ব্রায়ান বেনেট, বেন কারান, ওয়েসলি মাধেভেরে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ভিনসেন্ট মাসেকেসা, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা, টাফাডজোয়া সিগা, নিকোলাস ওয়েলচ, শন উইলিয়ামস।

কোপা দেল রে-তে আবারও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিল বার্সেলোনা
স্প্যানিশ ফুটবলের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা কোপা দেল রে-তে আবারও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিল বার্সেলোনা। এক রুদ্ধশ্বাস রোমাঞ্চকর ‘এল ক্লাসিকো’ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিল বার্সেলোনা। অতিরিক্ত সময়ের জুলস কুন্দের অসাধারণ গোলে নিশ্চিত হয় কাতালানদের জয়। এই শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে বার্সা আবারও প্রমাণ করলো কেন তাদের ‘কোপার রাজা’ বলা হয়।
বার্সেলোনার সর্বোচ্চ ৩২টি শিরোপার পর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অ্যাথলেটিক বিলবাও, যাদের শিরোপা সংখ্যা ২৪। তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ কোপা দেল রে জিতেছে ২০ বার।
গত এক দশকে কোপা দেল রে-তে বার্সেলোনার আধিপত্য চোখে পড়ার মতো। ২০১৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এই ১০ বছরে তারা জিতেছে ছয়বার—২০১৫, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮, ২০২১ এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালে।
২১শ শতকে প্রথমবারের মতো বার্সেলোনা কোপা দেল রে জিতে ২০০৯ সালে, পেপ গার্দিওলার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ‘সেক্সটুপল’ জয়ের বছরেই।
২০১২ সালে আসে দ্বিতীয় শিরোপা। এরপর লুইস এনরিকের অধীনে টানা তিন বছর (২০১৫-২০১৭), এরনেস্তো ভালভার্দের অধীনে ২০১৮, রোনাল্ড কোমানর নেতৃত্বে ২০২১ এবং সর্বশেষ হান্সি ফ্লিকের অধীনে ২০২৫ সালে শিরোপা জয় করে বার্সা।
২০শ শতকে বার্সেলোনা বিভিন্ন নামে পরিচিত কোপা দেল রে প্রতিযোগিতায় মোট ২৪ বার শিরোপা জেতে। এই সময়ে তারা শিরোপা জেতে যথাক্রমে—১৯১০, ১৯১২, ১৯১৩, ১৯২০, ১৯২২, ১৯২৫, ১৯২৬, ১৯২৮, ১৯৪২, ১৯৫১, ১৯৫২, ১৯৫৩, ১৯৫৭, ১৯৫৯, ১৯৬৩, ১৯৬৮, ১৯৭১, ১৯৭৮, ১৯৮১, ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৭ ও ১৯৯৮।

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিটের সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে আল-নাসর
জাপানি ক্লাব ইয়োকোহামা এফ মারিনোসকে ৪-১ গোলে হারিয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিটের সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে আল-নাসর। শনিবার রাতে প্রিন্স আবদুল্লাহ আল ফয়সাল স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
সৌদি ক্লাবটির হয়ে জোড়া গোল করেছেন দলের নতুন সেনসেশন জন ডুরান। বাকি দুই গোল করেছেন রোনালদো ও সাদিও মানে। ইয়োকোহামার একমাত্র গোলটি করেছেন কোটা ওয়াতানাবে, যিনি পরে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে আল নাসর। ২৭ মিনিটে সাদিও মানের ক্রসে ইয়োকোহামার ডিফেন্ডার থমাস ডেং আত্মঘাতী ভুল করলে বল থেকে সহজেই গোল করেন জন ডুরান। চার মিনিট পর আবারও আল নাসরের উদযাপন—ওটাভিওর পাসে মানের নিখুঁত শট গোলে পরিণত হয়।
৩৮ মিনিটে নিজে গোলের দেখা পান রোনালদো। মার্সেলো ব্রোজোভিচের শট ফিরিয়ে দিলে বল বাতাসে উঠে যায়, আর কাছ থেকে ভলিতে দারুণভাবে লক্ষ্যভেদ করেন পর্তুগিজ তারকা। চলতি মৌসুমে সৌদি প্রো লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো, এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিটেও ৭ ম্যাচে করেছেন ৮ গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার গোল করেন ডুরান। যদিও ৫২ মিনিটে কোটো ওয়াতানাবের গোলে ব্যবধান কিছুটা কমায় ইয়োকোহামা। তবে ম্যাচের বাকিটা সময় নিয়ন্ত্রণে রাখে আল নাসর। ৬৬ মিনিটে রোনালদোকে তুলে নেন কোচ স্তেফানো পিওলি, সেমিফাইনালের আগে তাকে বিশ্রাম দিতে। শেষদিকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে ওয়াতানাবে মাঠ ছাড়লে দশজন নিয়ে খেলে শেষ করতে হয় ইয়োকোহামাকে।
এবার সেমিফাইনালে আল নাসরের প্রতিপক্ষ কাতারের আল সাদ অথবা জাপানের কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলের মধ্যে থেকে বিজয়ী দল। অন্য সেমিতে মুখোমুখি হবে আল হিলাল ও আল আহলি।

নামাজের ওয়াক্ত শুরু
তারিখ : ০১ মে, ২০২৫

সুস্থ থাকতে নিয়মিত সকালের নাশতা খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। তবে বর্তমান ব্যস্ত জীবনে অনেকেই সকালে নাশতা না করেই দিন শুরু করেন। কেউ সময়ের অভাবে, কেউ ওজন কমানোর চেষ্টা করতে গিয়ে, আবার কেউবা অভ্যাসের কারণে সকালের খাবার এড়িয়ে যান। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই অভ্যাস শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরের বিপাকক্রিয়া সবচেয়ে সক্রিয় থাকে। তখন খাওয়া খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। কিন্তু নাশতা না করলে শরীরে শক্তি ঘাটতি দেখা দেয় এবং ধীরে ধীরে নানা শারীরিক সমস্যার জন্ম হয়।
সকালের নাশতা না করলে যেসব সমস্যা হয়
ওজন বৃদ্ধি:
অনেকেই মনে করেন, সকালের নাশতা না করলে ওজন কমানো যায়। কিন্তু বাস্তবতা ঠিক উল্টো। সকালে নাশতা না করলে ক্ষুধা বেড়ে যায় এবং পরবর্তী সময়ে বেশি খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এর ফলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে।
চুলের ক্ষতি:
প্রতিদিন নাশতা বাদ দিলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হয়। এতে চুলের প্রধান উপাদান ক্যারোটিন কমে যায়, যা চুলের বৃদ্ধি বন্ধ করে এবং চুল পড়ার সমস্যা বাড়ায়।
মাইগ্রেন:
মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য নাশতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নাশতা না করলে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা রক্তচাপ বৃদ্ধি এবং মাইগ্রেনের ব্যথা তীব্র করার কারণ হতে পারে।
হৃদরোগ:
সকালের নাশতা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। তবে নাশতা না করলে উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, উচ্চ রক্তশর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এসব সমস্যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
ক্যানসারের ঝুঁকি:
সকালের নাশতা বাদ দিলে দিনজুড়ে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের প্রবণতা বাড়ে। এ থেকে স্থূলতা দেখা দেয়, যা ক্যানসারের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
নাশতা করার সঠিক সময়
পুষ্টিবিদদের মতে, ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘণ্টার মধ্যে নাশতা করা উচিত। দেরি না করে সকাল ১০টার মধ্যে নাশতা শেষ করা ভালো। এতে হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করে এবং শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, সকালের নাশতা নিয়মিত করতে হবে। এতে শারীরিক শক্তি বজায় থাকবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং নানা অসুখের ঝুঁকি কমবে।
জাগতিক /আ-রহমান।
বেশ কয়েকদিনের হালকা শীতের ভাব কেটে আবারও কনকনে ঠান্ডা পড়তে যাচ্ছে সারা দেশে। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) থকে আগামী ৩ দিন তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি ঘন কুয়াশাও পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের সই করা পূর্বাভাসে এই তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
সকাল ৯টায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আবার কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশাও পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিন দিনের তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, আজ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র সামান্য হ্রাস পেতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ের প্রথমদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাগতিক / আফরোজা