অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, নির্বাচনের আগে দেশে সংঘাত সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তিনি সতর্ক করে জানান, “সবাই সংঘাতে মুখিয়ে আছে, অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই আপনারা এটা দেখতে পাবেন।”
শনিবার সকালে সেগুনবাগিচায় বিএম ভবনে ‘মাজার সংস্কৃতি: সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাহফুজ আলম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল সুফি সম্প্রদায় নিয়ে গবেষণা প্ল্যাটফর্ম ‘মাকাম’।
তাঁর বক্তব্যে বলা হয়, দেশ এখন একটি সংকটপূর্ণ মুহূর্তে আছে। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার থাকার কারণে সরাসরি সংঘাতে অনেকেই জড়ায় না। তবু সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে নানা পক্ষ সংঘাতে টেনে আনতে প্রস্তুত বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
মাহফুজ আলম বলেন, কিছু গোষ্ঠী ‘দরবার’ এবং ধর্মীয় অনুভূতিকে ভুয়া তথ্য দিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি উল্লেখ করেন, “ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস এসে তোমাদের মাজার ভেঙে দিচ্ছে…”—এরকম ভুয়া আশঙ্কা ছড়ানো হচ্ছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে এ ধরনের প্রশ্ন বা সমস্যা কোনো এককালীন বিষয় নয়; এটি গত ৫০ বছর ধরে এসেছে।
তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদ যাই হারাকুক, সামাজিক জায়গায় ফ্যাসিবাদ এখনও রয়ে গেছে। দেশের মুসলমানদের মধ্যে নানা ধারার ভিন্নতা আছে। এই ভিন্নতাগুলো রাজনৈতিকভাবে ভাগ করে নেয়া হয়েছে। ফলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ যুক্ত হলে পরিস্থিতি আরও জটিল ও খারাপ হওয়ার সুযোগ আছে। এজন্য সামাজিক সমন্বয় প্রয়োজন। একই সঙ্গে যেখানে মাজার বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তরা আইনি ব্যবস্থা নেবেন—এ নিয়ে তিনি আহ্বান জানান।
মাহফুজ আলম বলেন, যদি এই ধরনের সহিংস সংস্কৃতি টিকে থাকে, তবে ভবিষ্যতে এক সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাতে পারে। তাই এখনই প্রতিরোধ না করলে পরিস্থিতি অব্যাহত ও বিপজ্জনকভাবে বাড়তে পারে।














