“সকালে (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখি, হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক হলের শিক্ষার্থী হল ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে—কেউ কেউ ইতোমধ্যে হল ছেড়েও গেছে।”
এভাবেই ১৭ জুলাইয়ের উত্তপ্ত পরিস্থিতির স্মৃতিচারণ করেন একজন শিক্ষার্থী। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের অনেকে তখন ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। পরিস্থিতি বুঝে আন্দোলনকারীরা হলগুলোতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের থাকতে অনুরোধ করেন এবং সাহস জোগানোর চেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, “১৭ তারিখের কর্মসূচির জন্য আমাদের প্রস্তুতিতে কিছু ঘাটতি ছিল। এর একটি কারণ ছিল ১৬ জুলাই রাজু ভাস্কর্যে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ১৭ জুলাই আশুরা—ফলে অনেকেই ব্যক্তিগত কারণে ব্যস্ত ছিলেন বা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। সব মিলিয়ে সেদিন আমরা একটু এলোমেলো হয়ে পড়েছিলাম।”
এই প্রস্তুতির ঘাটতির সুযোগ নেয় প্রশাসন—এমনটাই অভিযোগ করেন তিনি।
“বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকার আমাদের প্রস্তুতির দুর্বলতা কাজে লাগায়। তারা ক্যাম্পাসজুড়ে মোতায়েন করে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি—প্রায় সব ধরনের বাহিনী। এমন কোনো বাহিনী ছিল না যাদের সেদিন মোতায়েন করা হয়নি,” বলেন তিনি।
এই ঘটনার পরদিন থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যা পরে এক ভয়াবহ দমন-প্রতিরোধের অধ্যায়ে রূপ নেয় বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।