logo
  • রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২
বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকবে: তারেক রহমান
কয়েক মাসেই দেশে সংঘাত দেখা যাবে : তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, নির্বাচনের আগে দেশে সংঘাত সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তিনি সতর্ক করে জানান, “সবাই সংঘাতে মুখিয়ে আছে, অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই আপনারা এটা দেখতে পাবেন।” শনিবার সকালে সেগুনবাগিচায় বিএম ভবনে ‘মাজার সংস্কৃতি: সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাহফুজ আলম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল সুফি সম্প্রদায় নিয়ে গবেষণা প্ল্যাটফর্ম ‘মাকাম’। তাঁর বক্তব্যে বলা হয়, দেশ এখন একটি সংকটপূর্ণ মুহূর্তে আছে। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার থাকার কারণে সরাসরি সংঘাতে অনেকেই জড়ায় না। তবু সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে নানা পক্ষ সংঘাতে টেনে আনতে প্রস্তুত বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। মাহফুজ আলম বলেন, কিছু গোষ্ঠী ‘দরবার’ এবং ধর্মীয় অনুভূতিকে ভুয়া তথ্য দিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি উল্লেখ করেন, “ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস এসে তোমাদের মাজার ভেঙে দিচ্ছে…”—এরকম ভুয়া আশঙ্কা ছড়ানো হচ্ছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে এ ধরনের প্রশ্ন বা সমস্যা কোনো এককালীন বিষয় নয়; এটি গত ৫০ বছর ধরে এসেছে। তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদ যাই হারাকুক, সামাজিক জায়গায় ফ্যাসিবাদ এখনও রয়ে গেছে। দেশের মুসলমানদের মধ্যে নানা ধারার ভিন্নতা আছে। এই ভিন্নতাগুলো রাজনৈতিকভাবে ভাগ করে নেয়া হয়েছে। ফলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ যুক্ত হলে পরিস্থিতি আরও জটিল ও খারাপ হওয়ার সুযোগ আছে। এজন্য সামাজিক সমন্বয় প্রয়োজন। একই সঙ্গে যেখানে মাজার বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তরা আইনি ব্যবস্থা নেবেন—এ নিয়ে তিনি আহ্বান জানান। মাহফুজ আলম বলেন, যদি এই ধরনের সহিংস সংস্কৃতি টিকে থাকে, তবে ভবিষ্যতে এক সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাতে পারে। তাই এখনই প্রতিরোধ না করলে পরিস্থিতি অব্যাহত ও বিপজ্জনকভাবে বাড়তে পারে।
সরকার গঠনের সুযোগ পেলে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমদ
আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না হলে জুলাই সনদে সাক্ষর নয়: আখতার হোসেন
ক্ষমতায় গেলে সাম্প্রদায়িক বৈচিত্র্য ধারণ করে সম্প্রীতি গড়বে এনসিপি: হাসনাত
মিথ্যা মামলায় নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল
জুলাই সনদের বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে এনসিপি
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বৈঠকটি শুরু হয়।   এনসিপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ এবং যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।   বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, এর আইনি ভিত্তি এবং সনদসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।   অন্যদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সহ-সভাপতি আলী রীয়াজসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।   সংলাপে থাকা ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের মধ্যে ২৫টি দল এই সনদে স্বাক্ষর করে কমিশনের সংস্কারমূলক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার জানায়। তবে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা জানিয়ে এনসিপি এতে স্বাক্ষর করেনি। একই ধরনের আপত্তি তুলে আরও চারটি দলও সনদে সই করা থেকে বিরত থাকে।   এর আগে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে গত ২২ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র করছেন: হাসনাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, নির্বাচন ইঞ্জিনিয়ারিং করার চেষ্টা চলছে। তিনি বললেন, একটি উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত ষড়যন্ত্র করছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে দলের ঢাকা জেলা ও দুই মহানগর শাখার সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও দলীয় মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী উপস্থিত ছিলেন। হাসনাত অভিযোগ করেন, সচিবালয়ে গিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল জেলা প্রশাসক (ডিসি) ভাগাভাগি করছে। তিনি বলেন, এতে অন্তর্বর্তী সরকারই সহায়তা করছে। তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, আনা হচ্ছে একটি নির্বাচন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চেষ্টা। বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে তিনি স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ করছে বলে উল্লেখ করেন। দেশের প্রায় সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দু’টি দলের কাছে দখল হয়ে যাচ্ছে—এমন পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যাবে না, বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানান, তারা হবে না সরকারি দল, হবে শক্তিশালী বিরোধী দল। সব কমিটি দিয়ে সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানো হবে, যা জাতীয় নির্বাচনে কাজে লাগবে। দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “মুজিবকে জাতির পিতা মানি না, ৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে।” তিনি বলেন, আগামী সংসদে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের উপস্থিতি দেখতে চান না। পাটওয়ারী অভিযোগ করেন, বিএনপি জিয়াতন্ত্র ও জামায়াতে ইসলামী মওদুদীবাদ কায়েমের চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে বিভিন্ন পরিবার ও ধারনা আনার চেষ্টা হচ্ছে; তবু রাজপথে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথাই বলছেন তারা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সেনা সদস্যদের এসি প্রিজন ভ্যানে ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার ঘটনাটিকে সমালোচনা করেন। বলেন, অন্য কয়েদিদের মতোই হাজিরা দিতে হবে।
এনসিপিতে আবারও ভাঙনের আশঙ্কা, দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে ঘিরে বাড়ছে বিরোধ
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–তে আবারও ভাঙনের সঙ্কেত দেখা দিয়েছে। সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে দলের শীর্ষ পদ থেকে সরানো নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিরোধ, যা নিয়ে দলে অস্থিরতা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। এর আগে দল গঠনের সময়ও শীর্ষ পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। সেই বিরোধ থেকেই তৎকালীন জাতীয় নাগরিক কমিটির একটি বড় অংশ বেরিয়ে গিয়ে আপ বাংলাদেশ নামে নতুন দল গঠন করেছিল। এবারও পরিস্থিতি সেদিকেই মোড় নিচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীর পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়েছে। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সেই খবরে বলা হয়, তিনি দলীয় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। খবরটি প্রকাশের পর থেকেই এটি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তবে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ এবং যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত দাবি করেছেন, “নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীর পদত্যাগের খবরটি সঠিক নয়। তিনি এখনও দলের সঙ্গে আছেন এবং দায়িত্ব পালন করছেন।” যদিও দলীয় একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি পুরোপুরি গুঞ্জন নয়। সূত্রটির দাবি, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমকে শীর্ষ পদ ছাড়ার প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে দলে তীব্র টানাপোড়েন ও অসন্তোষ চলছে। দলের অভ্যন্তরে মতবিরোধ মেটানো না গেলে নতুন করে ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এনসিপির একাধিক সিনিয়র নেতা। অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে এই দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগের জন্য আগেই চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। তবে তারা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেননি। দলীয় সূত্র বলছে, বর্তমানে দুই উপদেষ্টা মূলত দলের শীর্ষ পদ নিশ্চিতকরণ ও বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আসন বোঝাপড়ার তদবীরে ব্যস্ত রয়েছেন। সূত্রটি আরও জানায়, দলীয় পদ ও নির্বাচনী আসন চূড়ান্ত হলেই যুব ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দলটির ভেতরে আরও বড় বিভাজন ও নেতৃত্ব সংকটের জন্ম দিতে পারে।
উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফ কি নির্বাচনে অংশ নেবেন?
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে শপথ নেওয়া দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে তীব্র আলোচনা। এর মধ্যে আসিফ মাহমুদ আগেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি কোনো দলের প্রার্থী হিসেবে না কি স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন বিবিসি বাংলাকে। অন্যদিকে, মাহফুজ আলম প্রার্থী হতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তার ভাই মাহবুব আলম, যিনি কয়েকদিন আগে এনসিপির এক সভায় এ বক্তব্য দেন। সম্প্রতি বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিষয়ে আপত্তি জানান। এর মধ্যে মাহফুজ ও আসিফের নামও আলোচনায় আসে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দুই উপদেষ্টাকে পদত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে সরাসরি জানতে দুই উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে সূত্র বলছে, নির্বাচন ঘিরে জটিল সমীকরণের কারণে আপাতত পদত্যাগের কোনো চিন্তা করছেন না তারা। উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে তিনজন উপদেষ্টা জায়গা পান—মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলাম। এর মধ্যে নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করে আন্দোলনের নেতাদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে যোগ দেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর এনসিপির ওপর শিক্ষার্থী উপদেষ্টাদের প্রভাব কিছুটা কমে গেছে। তাই যদি বাকি দুইজন উপদেষ্টাও পদত্যাগ করেন, তাহলে সরকার ও এনসিপির সম্পর্ক আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
শাহবাগে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১
রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলে এ সংঘর্ষে একজন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। এ সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে বংশাল থানার কর্মী ইউসুফ আহত হন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আর্থিক লেনদেনসংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। প্রায় তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন করেন। বিষয়টি এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা শোয়েবকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার নেতা রিয়ানকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন। অভিযোগ রয়েছে, রিয়ান বংশালের নেতাদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে তাদের আটকে রাখার চেষ্টা করেন। পরে তারা পালিয়ে আসেন। এরপর থেকে বংশাল থানার নেতারা রিয়ানের কাছে টাকা ফেরত চাইতে চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। সর্বশেষ শুক্রবার কনভেনশন হলে রিয়ানের মুখোমুখি হলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের পর কনভেনশন হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আহত ইউসুফকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানা গেছে।
ফেসবুকে জামাত আমিরের সাথে ছবি / ‘দুই দলের প্রতিই সমান ভালোবাসা’ - ইলিয়াস হোসাইন
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন বলেছেন, তিনি কখনোই জামায়াতকে তুলে ধরতে বা বিএনপিকে ছোট করতে কাজ করেননি। শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে এ কথা জানান তিনি। ইলিয়াস লিখেছেন, ১৫ বছরের কঠিন সময়ে বিএনপির বিরুদ্ধে তার মুখ থেকে একটি শব্দও বের হয়নি। বিএনপি বা জামায়াত—যেকোনো দলের ওপর নির্যাতন হলে সেটা নিজের পরিবারের ওপর হামলার মতোই মনে হয়েছে। তিনি বলেন, দুই দলের প্রতিই তার সমান ভালোবাসা আছে। তারেক রহমানের কাছ থেকে সেই ভালোবাসার প্রতিদান তিনি পেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। ইলিয়াসের দাবি, এখন “বসন্তের কোকিল”রা বিএনপির মালিক সেজে ভুল বোঝাচ্ছে। বিএনপির কিছু নেতা–কর্মী তার অবদান ভুলে গিয়ে তাদেরই অনুসরণ করছেন। তবু তার অবস্থান অপরিবর্তিত—কোনো দলের প্রতি বেশি বা কম নয়। তিনি চান, জামায়াত ও বিএনপি সীমার মধ্যে থেকে রাজনৈতিক বিরোধিতা করুক। সম্ভব হলে ক্ষমতায় পালাবদল হোক—বিএনপি পাঁচ বছর, জামায়াত পাঁচ বছর। তবে বর্তমান বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মাঝেমধ্যে সংঘর্ষে রূপ নিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ইলিয়াস বলেন, আওয়ামী লীগের ব্যাপারে বিএনপি জামায়াতের চেয়ে বেশি উদাসীন। তাঁকে “ট্যাগ” দিয়ে লাভ নেই—কারণ তিনি নিজেই নিজেকে “স্বঘোষিত রাজাকার” বলে উল্লেখ করেন। তার মূল সমস্যা কোনো দেশীয় দল নয়; তার সমস্যা “ভারতীয় আগ্রাসন”। সেখানে ভুল করলে জামায়াত–বিএনপি কাউকেই ছাড়বেন না। তিনি জানান, সম্প্রতি জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ তাহেরের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সেই সাক্ষাতে অভিযোগগুলো জানানো হয়েছে। জামায়াতের এক অনুষ্ঠানে সন্তোষ শর্মাকে আনা নিয়ে আমিরকে কটাক্ষ করার জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। একই ভুল যেন আর না হয়—সেটিও জানিয়ে দিয়েছেন। সবশেষে ইলিয়াস লেখেন, বিএনপির সবাই তার শত্রু নয়। ভারতপ্রীতি দেখালে সমালোচনা করবেন—সংশোধন হলে তিনি ক্ষমা চাইবেন। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে দেখা হয়নি, কারণ তারা চায়নি; জামায়াত চেয়েছে, তাই দেখা হয়েছে। ব্যক্তিগত ভালোবাসা বা ক্ষোভ—কোনোটাই কারও প্রতি নেই। জনগণই শেষ কথা বলবে। কিন্তু “ভারতপ্রীতি” ও “৭১ নিয়ে চুলকানি” দেখালে তিনি ছাড় দেবেন না—কথা পরিষ্কার।
“ভারতপ্রীতি” ও “৭১ নিয়ে চুলকানি” দেখালে ছাড় দেবেন না সাংবাদিক ইলিয়াস
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন বলেছেন, তিনি কখনোই জামায়াতকে তুলে ধরতে বা বিএনপিকে ছোট করতে কাজ করেননি। শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে এ কথা জানান তিনি। ইলিয়াস লিখেছেন, ১৫ বছরের কঠিন সময়ে বিএনপির বিরুদ্ধে তার মুখ থেকে একটি শব্দও বের হয়নি। বিএনপি বা জামায়াত—যেকোনো দলের ওপর নির্যাতন হলে সেটা নিজের পরিবারের ওপর হামলার মতোই মনে হয়েছে। তিনি বলেন, দুই দলের প্রতিই তার সমান ভালোবাসা আছে। তারেক রহমানের কাছ থেকে সেই ভালোবাসার প্রতিদান তিনি পেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। ইলিয়াসের দাবি, এখন “বসন্তের কোকিল”রা বিএনপির মালিক সেজে ভুল বোঝাচ্ছে। বিএনপির কিছু নেতা–কর্মী তার অবদান ভুলে গিয়ে তাদেরই অনুসরণ করছেন। তবু তার অবস্থান অপরিবর্তিত—কোনো দলের প্রতি বেশি বা কম নয়। তিনি চান, জামায়াত ও বিএনপি সীমার মধ্যে থেকে রাজনৈতিক বিরোধিতা করুক। সম্ভব হলে ক্ষমতায় পালাবদল হোক—বিএনপি পাঁচ বছর, জামায়াত পাঁচ বছর। তবে বর্তমান বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মাঝেমধ্যে সংঘর্ষে রূপ নিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ইলিয়াস বলেন, আওয়ামী লীগের ব্যাপারে বিএনপি জামায়াতের চেয়ে বেশি উদাসীন। তাঁকে “ট্যাগ” দিয়ে লাভ নেই—কারণ তিনি নিজেই নিজেকে “স্বঘোষিত রাজাকার” বলে উল্লেখ করেন। তার মূল সমস্যা কোনো দেশীয় দল নয়; তার সমস্যা “ভারতীয় আগ্রাসন”। সেখানে ভুল করলে জামায়াত–বিএনপি কাউকেই ছাড়বেন না। তিনি জানান, সম্প্রতি জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ তাহেরের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সেই সাক্ষাতে অভিযোগগুলো জানানো হয়েছে। জামায়াতের এক অনুষ্ঠানে সন্তোষ শর্মাকে আনা নিয়ে আমিরকে কটাক্ষ করার জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। একই ভুল যেন আর না হয়—সেটিও জানিয়ে দিয়েছেন। সবশেষে ইলিয়াস লেখেন, বিএনপির সবাই তার শত্রু নয়। ভারতপ্রীতি দেখালে সমালোচনা করবেন—সংশোধন হলে তিনি ক্ষমা চাইবেন। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে দেখা হয়নি, কারণ তারা চায়নি; জামায়াত চেয়েছে, তাই দেখা হয়েছে। ব্যক্তিগত ভালোবাসা বা ক্ষোভ—কোনোটাই কারও প্রতি নেই। জনগণই শেষ কথা বলবে। কিন্তু “ভারতপ্রীতি” ও “৭১ নিয়ে চুলকানি” দেখালে তিনি ছাড় দেবেন না—কথা পরিষ্কার।  
2Error!: SQLSTATE[HY000]: General error: 1366 Incorrect integer value: '' for column 'news_id' at row 1