logo
  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
মন্তব্য আমীর খসরুর / রমজানের আগে নির্বাচনে জাতীয় ঐকমত্য আছে”
বিস্ফোরক মামলায় বিএনপি নেতা এ্যানিসহ ৯ জন খালাস
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ নয়জন নেতাকর্মীকে বিস্ফোরক মামলায় খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৬ জুন) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪-এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় ঘোষণা করেন। খালাসপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন—আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ইসহাক সরকার, কাজী আবুল বাশার, নজরুল ইসলাম খান টিপু, এম এ সাইদ মন্টু, আ. সাত্তার ও মো. সালাউদ্দিন। এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “সাক্ষ্য-প্রমাণের পর্যায়ে মামলাটি টিকতে পারেনি। প্রমাণের ঘাটতি থাকায় আদালত আসামিদের খালাস দিয়েছেন।” মামলার নথিপত্র অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর রাজধানীর সূত্রাপুরে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল চলাকালে একটি লেগুনায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে গাড়ির পাঁচজন যাত্রী দগ্ধ হন। এ ঘটনায় পরদিন (১১ নভেম্বর) পুলিশ উপপরিদর্শক নয়ন ফারকুন বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২১ মে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ার আলম আজাদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে বিচারক প্রাথমিক সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে মামলার নয়জন আসামিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে আশাবাদী হওয়ার আহ্বান উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের
চেয়ারের জন্য মতিভ্রম, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে এমন বক্তব্য লজ্জাজনক”
নতুন তহবিল নীতিমালায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বার্তা দিল এনসিপি
ঈদুল আজহাকে ‘নির্বাচনী প্রস্তুতি’র মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করতে চায় বিএনপি
এক দশক পর চাঁদপুরে ছাত্রদল নেতা হত্যায় ডা. দীপু মনিসহ ৪৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২০১৩ সালের রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ছাত্রদল নেতা তাজুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে দীর্ঘ এক যুগ পর চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ ৪৯০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, তার ভাই ডা. জে. আর. ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ আরও বহু নেতা-কর্মী। বুধবার (৪ জুন) দুপুরে নিহত তাজুল ইসলামের বড় ভাই মো. ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসিন আরাফাত মামলাটি আমলে নিয়ে চাঁদপুর মডেল থানাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশ দেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা ও গুলি চালায়। এতে ছাত্রদল নেতা তাজুল ইসলাম (২০) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় আরও প্রায় ৩০০ বিএনপি-ছাত্রদল কর্মী আহত হন। বাদী দাবি করেন, ঘটনার পর তৎকালীন রাজনৈতিক পরিবেশ এবং আসামিদের প্রভাব ও হুমকির কারণে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে এলে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরে আসায় তিনি আইনের আশ্রয় নেন। মামলায় নাম উল্লেখ করে ১৪০ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০-৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাদের জিলানী মিল্টন জানান, “প্রায় এক যুগ পরে মামলা হলেও যদি যথাযথ সাক্ষ্য-প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা যায়, তাহলে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব।” উল্লেখ্য, নিহত তাজুল ইসলাম ও মামলার বাদী ফারুকুল ইসলাম চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস / গুমের ঘটনা নিয়ে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত
বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশে ঘটে যাওয়া গুমের ঘটনাগুলো এতটাই ভয়াবহ ও গা শিউরে ওঠার মতো যে, এগুলোর ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম গড়ে তোলা উচিত। বুধবার গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন তাঁর কাছে দ্বিতীয় ইন্টেরিম রিপোর্ট জমা দিলে তিনি এই মন্তব্য করেন। ড. ইউনূস বলেন, “এই সমাজের ভদ্র মুখোশধারী মানুষ, আমাদের আত্মীয়-পরিজনেরাই এসব গুমের মতো বিভীষিকাময় ঘটনা ঘটিয়েছে। যেসব তথ্য-উপাত্ত কমিশন সংগ্রহ করেছে, সেগুলো এতটাই ভয়ঙ্কর যে, সাধারণ মানুষের সামনে তা উপস্থাপন করতে একটি হরর মিউজিয়াম তৈরি করা দরকার।” তিনি আরও বলেন, “এই বন্দিশালাগুলো কেমন ছিল, তা কল্পনাও করা যায় না—মাত্র তিন ফিট বাই তিন ফিট জায়গার মধ্যে দিনের পর দিন, এমনকি মাসের পর মাস আটকে রাখা হয়েছে মানুষকে। এর মধ্যে যে নির্মমতা, যে নিষ্ঠুরতা, তা জাতির সামনে তুলে ধরতেই হবে।” প্রতিবেদন পাওয়ার পর ড. ইউনূস সুপারিশ করেন, এই রিপোর্টটি যেন ওয়েবসাইট এবং বই আকারে প্রকাশ করা হয়, যাতে জনগণ প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে। গুমের ঘটনাগুলোর প্রতি জাতীয় মনোযোগ ফেরাতে এবং মানবাধিকার রক্ষায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তাজউদ্দীন মাঠে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার স্বীকৃতি বাতিল হয় কীভাবে?”প্রশ্ন সারজিস আলমের
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের স্বীকৃতি বাতিলের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বুধবার (৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “তাজউদ্দীন আহমদ মাঠে থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয় কীভাবে?” তিনি আরও লেখেন, “মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে ইচ্ছাকৃতভাবে বন্দি হয়ে বিজয়ের পর পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি সরাসরি মাঠে ছিলেন না।” সারজিস আলমের এই পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই তার বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে মত দিচ্ছেন। নিচে ইত্তেফাকের পাঠকদের জন্য সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টটি তুলে ধরা হলো— > “তাজউদ্দীন আহমদ মাঠে থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয় কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে ইচ্ছাকৃতভাবে বন্দি হয়ে বিজয়ের পর পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি সরাসরি মাঠে ছিলেন না।”
পলিটিকসে দুই আর দুইয়ে ২২ হয়, ইকোনমিকসে ৪”
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, "ইউনূস সাহেব, পলিটিকস আর ইকোনমিকস এক নয়। পলিটিকসে দুই আর দুইয়ে ২২ হয়, আর ইকোনমিকসে দুই আর দুইয়ে ৪ হয়।" গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে আন্দালিব রহমান বলেন, “অনেকে বলেন—আপনারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চান। ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা আমরা বলিনি, আপনি ইউনূস সাহেব বলেছেন। আমরা শুধু বলেছি, আপনি যে ওয়াদা দিয়েছেন, সেটা আপনি পালন করুন। আমাদের মুখ থেকে ডিসেম্বরের কথা আসেনি।” তিনি প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, “আপনার ক্ষমতার উৎস জনগণ। যেহেতু সংসদ নেই, আপনার ক্ষমতার উৎস আমরা—রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীরা। আপনি এখন যে সংস্কারের কথা বলছেন, সাধারণ মানুষের কোনো প্রস্তাব কি আসছে তাতে?” দেশের অর্থনৈতিক সংকট তুলে ধরে আন্দালিব বলেন, “আজকে বাংলাদেশে দুই লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে, সে বিষয়ে কোনো সংস্কারের কথা বলেননি আপনি। ব্যবসায়ীরা আজ এনবিআর ও নানা সংস্কারের চাপে হাহাকার করছে, গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাদের কথা বলার কোনো জায়গা নেই।” তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, দেশ ও মানুষের স্বার্থে রাজনৈতিক পরামর্শ ও জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার।
মুজিবনগর সরকারের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়নি
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরে দাবি করা হয়েছে, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের—যাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানের মতো মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিত্বরাও আছেন—তাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। তবে এই তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ফারুকী বিষয়টিকে ‘ভুয়া সংবাদ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি লিখেছেন, “প্রিয় ভাই-বোনেরা, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল—এটি একটি ফেইক নিউজ।” ফারুকী আরও বলেন, “নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্পষ্ট স্বীকৃতি দেওয়া আছে। মুজিবনগর সরকারের কোনো সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে গেছে—এটিও একটি বিভ্রান্তিকর খবর।” উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি তালিকা বাতিল ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়নি
জাতীয় চার নেতা ও বঙ্গবন্ধুসহ মুজিবনগর সরকারের সবাই মুক্তিযোদ্ধা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা— সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান— মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। বুধবার (৪ জুন) এক বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকারের সবাই মুক্তিযোদ্ধা, কেননা তারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যুদ্ধ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। > “যারা সশস্ত্রভাবে যুদ্ধ করেছেন, যারা যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন— তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। গণমাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা এসেছে। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন,” — বলেন তিনি।   তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা, এবং বিদেশে অবস্থান করে বিশ্বজনমত গঠনে অবদান রাখা পেশাজীবীরাও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা, তবে এর মানে এই নয় যে তাদের মর্যাদা হ্রাস পেয়েছে। সহযোগী ও সরাসরি মুক্তিযোদ্ধা— উভয় শ্রেণির মর্যাদা ও সরকারি সুবিধা সমান থাকবে বলেও জানান তিনি। --- বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা মঙ্গলবার (৩ জুন) গভীর রাতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ গেজেটে প্রকাশ করে সরকার। এতে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ — এ দুটি নতুন শ্রেণিতে মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণকারীদের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। গেজেটে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ বলতে বোঝানো হয়েছে: যারা ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল পর্যন্ত দেশের ভিতরে প্রস্তুতি নিয়েছেন, ভারতের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে নাম অন্তর্ভুক্ত করে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, সরাসরি পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সশস্ত্রভাবে যুদ্ধ করেছেন কিংবা ই.পি.আর, পুলিশ, মুক্তি বাহিনী, মুজিবনগর সরকারের অন্তর্ভুক্ত স্বীকৃত বাহিনী, নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স, আনসার সদস্য, নির্যাতিত নারী (বীরাঙ্গনা), এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন ফিল্ড হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীরা। ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন: মুজিবনগর সরকারের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কূটনীতিক, বিদেশে অবস্থান করে বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় বাংলাদেশিরা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী-সাংবাদিকরা, এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা।   --- “এটি বিতর্ক নয়, স্পষ্টীকরণ” — উপদেষ্টা ফারুক ফারুক ই আজম বলেন, এই সংজ্ঞা নতুন নয়, বরং ১৯৭২ সালের মূল সংজ্ঞাকে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এই সংজ্ঞা সংশোধন করা হয়। তিনি জানান, কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন, সে কারণে পুনরায় গেজেটে স্পষ্ট করা হয়েছে। > “জাতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ না হলে আমরা স্বাধীন হতাম না। আমাদের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে গৌরব আর কিছু নেই,” — মন্তব্য করেন ফারুক ই আজম।
বগুড়ায় সাবেক শিবির নেতার বড় প্রতারণা
বগুড়ায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা আমিরুজ্জামান পিন্টুর বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ হাজারের বেশি নেতাকর্মীর কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। শরিয়াভিত্তিক অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ‘রেইনবো মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি’সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান খুলে দীর্ঘদিন ধরে এই টাকা সংগ্রহ করেন তিনি। সম্প্রতি পাওনাদারদের চাপ বাড়তে থাকলে তিনি গা-ঢাকা দেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, প্রবাসী ও রেমিট্যান্সযোদ্ধারা, যাদের অধিকাংশই জামায়াতের সঙ্গে জড়িত। বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক ফজলুর রহমান জানান, ২০১৬ সাল থেকে পিন্টুর প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৯০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি। এর মধ্যে মাত্র সাত লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, পিন্টু ও তার সহযোগী রেইনবো হোমস, রেইনবো কৃষি উন্নয়ন সংস্থা এবং রেইনবো হাসপাতালের ব্যানারে প্রায় পাঁচ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। ২০২৪ সাল থেকে কাউকেই মূল টাকা বা মুনাফা ফেরত দেওয়া হয়নি। ভুক্তভোগীরা জানান, একাধিকবার সময় দিয়ে পিন্টু কথা রাখেননি। সর্বশেষ ২ জুনও প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিরুদ্দেশ হন। প্রতিষ্ঠানগুলোর আরেক কর্মকর্তা তোতা মিয়াকেও পাওয়া যাচ্ছে না। আরেক ভুক্তভোগী মো. ফয়সাল মন্ডল জানান, তিনি ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এক সময় মাসে ৬০ হাজার টাকা মুনাফা দিলেও গত এক বছরে তিনি কিছুই পাননি। একই ধরনের অভিযোগ তুলেছেন আরও অনেক বিনিয়োগকারী। বিষয়টি নিয়ে থানায় ও র‌্যাবের কাছে গেলেও এখন পর্যন্ত কেউ সহায়তা করেনি বলে জানান তারা। এ প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বগুড়া শহর শাখার আমির আবিদুর রহমান সেহেল জানান, পিন্টুর সঙ্গে দলটির কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি ৯০-এর দশকে ছাত্রশিবিরের কর্মী ছিলেন, এরপর রাজনীতি থেকে সরে যান। বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে কেউ এখনও মামলা দায়ের করেননি। মামলা হলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ক্ষতিগ্রস্তরা এখন তাদের কষ্টার্জিত টাকা ফেরত পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ ও আইনগত সহায়তা কামনা করছেন।
2Error!: SQLSTATE[23000]: Integrity constraint violation: 1062 Duplicate entry '0' for key 'news_id'