logo
  • বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩১ আশ্বিন ১৪৩২
রাজনীতি বুঝি না, আমি শুধু অভিনেতা: চঞ্চল চৌধুরী
জেন-জিদের প্রিয়: নতুন দক্ষিণি তারকা প্রদীপ রঙ্গনাথন
মাত্র দুটি সিনেমা দিয়েই দক্ষিণ ভারতের তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন প্রদীপ রঙ্গনাথন। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “আপনি তো প্রচলিত নায়কদের মতো দেখতে নন। তবুও মাত্র দুই ছবিতেই এত জনপ্রিয়তা—এটা পরিশ্রম, না ভাগ্য?” প্রশ্নটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে তাঁর সাফল্যের সূত্র। সত্যিই তো—দুটি ছবায় কীভাবে এত বড় তারকাদের কাতারে উঠে এলেন প্রদীপ? আজকের সময়ে যখন বড় বড় তারকাদের ছবিও দর্শক টানতে পারছে না, নতুন সিনেমার সংখ্যা কমে গেছে, নির্মাণ থেকে মুক্তি পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে বছর—সেখানে প্রদীপের উত্থান কেবল পরিশ্রম বা ভাগ্যের ফল নয়; এর পেছনে আছে বুদ্ধিমত্তা ও সঠিক কৌশল। প্রদীপের সাফল্যের মূল রহস্য হলো তরুণ প্রজন্মের গল্প বলা। চলচ্চিত্রের ইতিহাসে দেখা গেছে—যেসব অভিনেতা প্রথমে তরুণদের মন জয় করেছেন, পরে তাঁরা পরিবারের সব বয়সের দর্শকের কাছেও গ্রহণযোগ্য হয়েছেন। যেমন—সুরিয়া ‘ভারানাম আয়িরাম’ ও ‘সিল্লুনু ওরু কাধাল’-এ, বিজয় ‘খুশি’ ও ‘সাচিয়েন’-এ, পবন কল্যাণ ‘বাদরি’ ও ‘মুরারি’-তে, কিংবা বিজয় দেবরকোন্ডা ‘পেলি ছুপুলু’ ও ‘অর্জুন রেড্ডি’-তে। সেই ধারাতেই প্রদীপ ‘লাভ টুডে’ দিয়ে তরুণদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। ‘লাভ টুডে’-এর গল্পে প্রেম, আস্থা, গোপনীয়তা আর ডিজিটাল যুগের সম্পর্কের ভয় একসঙ্গে উঠে এসেছে। এক যুগল একদিন একে অপরের ফোন ব্যবহার করে—এই ঘটনাকে ঘিরেই নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। গোপনীয়তা আর সততার এই টানাপোড়েন জেন-জিদের বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলে গেছে নিখুঁতভাবে। ফলে ছবিটি তরুণদের মাঝে ভাইরাল হয়, পরে পরিবারের অন্য সদস্যেরাও বলেন—“বাহ, সচেতনতার গল্পটা খারাপ না!” প্রদীপ শুধু অভিনয় করেন না, তিনি মুহূর্ত সৃষ্টি করেন। ‘লাভ টুডে’-এ রোমান্সের পাশাপাশি আছে তারুণ্যের উদ্দীপনা, জীবনের বাস্তবতা, ও আত্মসমালোচনার সুর। তাঁর প্রতিটি গানই কেবল সুরেলা নয়, বরং তরুণদের জীবনধারা ও আবেগের প্রতিফলন। ‘ড্রাগন’ সিনেমায় তিনি পরিচালক নন, তবু তাঁর চরিত্র রাঘবনের মধ্য দিয়ে দেখা যায় আধুনিক তরুণদের দ্বন্দ্ব, ভুল আর লালসার বাস্তব প্রতিচ্ছবি। প্রদীপ দর্শকদের জ্ঞান দিতে চান না, বরং বাস্তবতা দেখাতে চান। নিজেকে ‘নায়ক’ নয়, সাধারণ মানুষ হিসেবেই উপস্থাপন করেন। এই সরলতা ও বাস্তবধর্মী উপস্থাপনই তাঁর বড় শক্তি। আজকের সিনেমা কেবল গল্প নয়—এটা একধরনের প্যাকেজিংও। প্রদীপ প্রচলিত নায়কসুলভ চেহারার নন; তাঁকে দেখলেই মনে হয়, “পাশের বাড়ির ছেলে।” তাঁর সিনেমায় থাকে পারিবারিক আবেগ, প্রেম, হাস্যরস আর সামাজিক বার্তার মিশেল—যা সব বয়সের দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে তাঁকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রদীপ একইভাবে সরল ও মজার। নিজের আলাদা ব্র্যান্ড তৈরি করেছেন তিনি। তাঁর সিনেমার প্রচারণার ভিডিওগুলো যেমন সৃজনশীল, তেমনি আন্তরিকও। যেখানে সবাই এখন ‘প্যান-ইন্ডিয়া’ স্বপ্ন দেখে, প্রদীপ সেখানে নিজের দক্ষিণি দর্শকদের নিয়েই কাজ করতে পছন্দ করেন। তাঁর সিনেমার বাজেট ছোট, কিন্তু দর্শক-সংযোগ গভীর। তিনি জানেন, দক্ষিণের মানুষ ছবিটি পছন্দ করলেই বিনিয়োগের কয়েকগুণ ফিরে আসবে। প্রদীপের সবচেয়ে বড় শক্তি—পর্দা ও বাস্তবের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করা। তিনি নিজেই বলেছেন, “মানুষ আমার মধ্যে নিজেদের দেখে। তারা প্রেম করছে, লড়ছে, হাসছে—তখন আমি তাদের নায়ক হয়ে যাই।” অভিনেতা নাগার্জুনও মন্তব্য করেছেন, “রজনীকান্ত যেমন এক সময় সিনেমা বদলে দিয়েছিলেন, পরে ধনুশ—এখন প্রদীপের মধ্যে সেই জ্বালা দেখছি। ওকে দেখে মনে হয়, আমাদেরই একজন।” তবে সিনেমার দুনিয়া কঠিন। এক ভুল সিদ্ধান্তই ক্যারিয়ার বদলে দিতে পারে—এটা প্রদীপ ভালোভাবেই জানেন। তাঁর নিজের কথায়, “আমার আসল শক্তি সততার সঙ্গে গল্প বলা। সামনেও সেটাই ধরে রাখতে চাই।”
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ আসছে বড় পর্দায়, একসঙ্গে মোশাররফ করিম ও চঞ্চল চৌধুরী
অরিজিৎকে ভুল বুঝেছিলেন সালমান খান: অবশেষে মুখ খুললেন বলিউড সুপারস্টার
কেটি পেরি-জাস্টিন ট্রুডোর প্রেমের শুরু যেভাবে
‘ডিভোর্স’ বলেছিলেন মাহি, হঠাৎ স্বামীর সঙ্গে ছবি পোস্ট নিয়ে রহস্য
ফিল্মফেয়ার জয়ী ‘আজ কি রাত’ গায়িকা মধুবন্তী বাগচীকে কতটা চেনেন?
‘স্ত্রী ২’ সিনেমার আলোচিত গান ‘আজ কি রাত’ গেয়ে ৭০তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসে সেরা গায়িকার পুরস্কার জিতেছেন বাঙালি সংগীতশিল্পী মধুবন্তী বাগচী। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অবলম্বনে তাঁকে নিয়ে কিছু জানা-অজানা তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো। গত শনিবার ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে এই পুরস্কার হাতে পান মধুবন্তী। গানটি তাঁর ক্যারিয়ারের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় এনে দিয়েছে। ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই ইউটিউবে প্রকাশের পর গানটি ঝড় তোলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং দ্রুত ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে চলে আসে। গত বছরের অক্টোবরে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মধুবন্তী বলেন, “আমার সংগীতজীবনে প্রথমবার এমন ঘটল। গানটা শুধু সব জায়গায় ট্রেন্ড করছে তা নয়, সারা দেশ থেকে মানুষ মেসেজ করছেন, মন্তব্য করছেন, আমাকে ট্যাগ করছেন—এ এক অসাধারণ অনুভূতি।” বাংলা সিনেমাতেও তিনি নিয়মিত কাজ করছেন। ‘মিতিন মাসি’ ও ‘শুধু তোমারই জন্য’ ছবিতে তিনি প্লেব্যাক করেছেন। তাঁর কণ্ঠে ‘এগিয়ে দে’, ‘নেই আলো’ ও ‘তোমাকে চাই’ গানগুলো শ্রোতাদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। বলিউডেও নিয়মিত গাইছেন মধুবন্তী। ‘হীরামান্ডি’ সিরিজের ‘নজরিয়া কি মারি’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি, যা ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল। তিনি সুরকার প্রীতম, শান্তনু মৈত্র, ও শেখর রাভজিয়ানির মতো নামী সংগীতজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি স্থায়ীভাবে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন। ২০২২ সালে কোক স্টুডিও বাংলায় মধুবন্তী গেয়েছিলেন ‘দখিনা হাওয়া’। মীরা দেববর্মনের লেখা এবং শচীন দেববর্মনের সুরে নির্মিত এই কালজয়ী গানটি নতুন সংগীতায়োজনে প্রকাশের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বালুরঘাটে জন্ম নেওয়া মধুবন্তী তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই সংগীতের তালিম নিতে শুরু করেন। একসময় তিনি ‘মৃত্তিকা’ নামের একটি বাংলা ব্যান্ডের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে তাঁর দুই লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে।
ফারিণ আসছেন নতুন পরিচয়ে
তাসনিয়া ফারিণ অভিনেত্রী হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়। তবে এতেই থেমে থাকছেন না তিনি। ফারিণ এবার পর্দার পেছনেও কাজ ধরতে প্রস্তুত। সম্প্রতি  অভিনেত্রী ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট দেন। সেখানে ছবির ক্যাপশনে ফারিণ লেখেন, ‘আমি যদি প্রোডাকশন হাউস খুলি তাহলে সেটার নাম কি দেওয়া উচিত? এরপর মন্তব্যঘরে ভক্তরা বিভিন্ন নামের প্রস্তাব দেন।’ এরপর নিজের প্রশ্নের জবাব দিয়ে ফারিণ আবার লেখেন, ‘অনেক চমৎকার কিছু সাজেশন দিচ্ছেন আপনারা। ধন‍্যবাদ।’  এরপরই এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন ফারিণ। সেখানে নিজের মতো করে কিছু করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।  অভিনেত্রী বলেন, ‘ভাবছি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শুরু করার, যেখানে নিজের চিন্তাভাবনাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারব।’ তিনি এও জানান, বছরের শেষ দিকে তার গাওয়া নতুন গানের মিউজিক ভিডিও প্রকাশের মধ্য দিয়েই যাত্রা শুরু করবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি। গানটির সুর ও সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল, যিনি আগেও ফারিণের সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে আপাতত মিউজিক ভিডিও দিয়েই নিজের প্রযোজনা শুরু করতে চাইছেন ফারিণ; নিয়মিত কাজ করারও ইচ্ছে তার। সাম্প্রতিক সময়ে অভিনয়ে তেমন ব্যস্ত নন তাসনিয়া ফারিণ। গত ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘ইনসাফ’ সিনেমার পর নতুন কোনো প্রজেক্টে তাকে দেখা যায়নি।
গ্লোবাল স্টার অ্যাওয়ার্ড জিতলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির
পাকিস্তানি বিনোদন জগতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা গ্লোবাল স্টার অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির। সদ্য বাংলাদেশ সফর শেষে তিনি হাম অ্যাওয়ার্ডসের মঞ্চে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। নীল ঝলমলে পোশাকে উজ্জ্বল মুখে মিষ্টি হাসি নিয়ে মঞ্চে ওঠেন হানিয়া। হাতে পুরস্কার নিয়ে আবেগঘন বক্তব্যে তিনি সবাইকে মুগ্ধ করেন।  সেই মুহূর্তের ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পুরস্কার গ্রহণের সময় হানিয়া বলেন, “আমি আমার পরিবার, বন্ধুদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা আমার পরিবারের মতোই। আর আমার ভক্তরা—তারা পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি মানুষ। তাদের ভালোবাসাই আমার অনুপ্রেরণা।” তিনি আরও বলেন, “অনলাইন বা সামনাসামনি আপনারা যে ভালোবাসা দেখান, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এই পুরস্কার আমার জন্য অনেক আনন্দের।” জানা গেছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ খ্যাতি অর্জনকারী শিল্পীদের এই গ্লোবাল স্টার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বর্তমানে হানিয়া আমির পাকিস্তানের সীমা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। নাটক ও চলচ্চিত্রে তার অভিনয় তাকে পরিণত করেছে এক সত্যিকারের গ্লোবাল সেনসেশনে। তার এই অর্জনে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে প্রিয় তারকাকে শুভেচ্ছা  জানাতে একটুও কার্পণ্য করছেন না।
ফেসবুকে পরিবার দেখিয়ে টাকা আয় করতে চাইনি: রিপন মিয়া
টেলিভিশন সাংবাদিক পরিচয়ে তাঁর পরিবারকে হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া। সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন। রিপন মিয়া লেখেন, সকালে কোনো পূর্বানুমতি ছাড়াই কয়েকজন টেলিভিশন সাংবাদিক তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করেন। পরিবারের নারী সদস্যরা ঘরে থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিকরা অনুমতি না নিয়ে ভিডিও ধারণ ও অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে থাকেন। পোস্টে রিপন মিয়া লিখেছেন, “আমি রিপন মিয়া। আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনে ২০১৬ সাল থেকে এই জায়গায় আসতে পেরেছি। এই নয় বছরে কারও ক্ষতি করার মতো কোনো কাজ আমি করিনি। সব সময় অন্য কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের পাশে থেকেছি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয়তা বাড়তেই কেউ আমার পেজ হ্যাকের চেষ্টা করে, কেউ আবার টিভি সাক্ষাৎকার না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।” ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, “আজ সোমবার ঢাকায় কয়েকজন টিভি সাংবাদিক আমার বাড়িতে এসে অনুমতি ছাড়া আমার পরিবারকে ভিডিও করেন। এমনকি নারী সদস্য ঘরে থাকা অবস্থায়ও তাঁরা অনুমতি না নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন।” তিনি আরও লেখেন, “আমি সব সময় বলেছি, আমি বেশি শিক্ষিত নই। আমার পরিবারের সদস্যরাও কেউ মিডিয়ায় কথা বলার মতো অভ্যস্ত নন। আমি কখনো ফেসবুকে আমার পরিবারকে দেখিয়ে টাকা আয় করতে চাইনি।” সবশেষে রিপন মিয়া লেখেন, “চাইলেই টেলিভিশন চ্যানেলের নাম প্রকাশ করতে পারতাম, কিন্তু কাউকে ছোট করা আমার উদ্দেশ্য নয়। যারা এ ধরনের কাজ করেছেন, তারা নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করুন। এভাবে টাকা আয় করে যদি নিজেদের পরিবারকে খাওয়াতে আপনাদের বিবেক না জাগে, তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই। সবাই ভালো থাকুন, আমার জন্য দোয়া করবেন।” নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাঠমিস্ত্রি রিপন মিয়া ২০১৬ সালে “বন্ধু তুমি একা হলে আমায় দিয়ো ডাক, তোমার সাথে গল্প করব আমি সারা রাত” — এই সংলাপের ভিডিওর মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। সময়ের সঙ্গে তাঁর তৈরি মজার ভিডিওগুলো ফেসবুকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমানে তাঁর ফেসবুক পেজের অনুসারী সংখ্যা ১৮ লাখের বেশি।
বাপ্পারাজের রহস্যময় পোস্ট ঘিরে উদ্বিগ্ন ভক্তরা
ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা বাপ্পারাজকে ঘিরে হঠাৎই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে ভক্তদের মধ্যে। রোববার (১২ অক্টোবর) রাতে নিজের ফেসবুক পেজে এক রহস্যময় পোস্ট দেওয়ার পর থেকেই এমন শঙ্কা দেখা দেয়। সেদিন রাতে বাপ্পারাজ ফেসবুকে মন খারাপের একটি ছবি শেয়ার করেন। ছবিতে দেখা যায়—অভিনেতার চোখে কালো সানগ্লাস, কপালে চিন্তার ভাঁজ, আর মুখে বিষণ্ণতার ছাপ। দূরে কোথাও তাকিয়ে আছেন তিনি, যেন কোনো অজানা ভাবনায় ডুবে আছেন। ছবিটি প্রকাশের পরপরই মন্তব্যের ঘরে ভক্তদের প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করে লেখেন, “কী হয়েছে নায়ক?” আরেকজন মন্তব্য করেন, “ভাইয়া, আপনি আমাদের চলচ্চিত্রের ‘ট্রাজেডি কিং’, নায়করাজের বড় ছেলে। ‘বিদায়’ লেখা যত সহজ, দর্শকদের কাছ থেকে আপনার বিদায় নেওয়া ততটা কঠিন।” আরেক ভক্ত মন খারাপ করে লেখেন, “ভাই, আমাদের ছেড়ে কোথায় বিদায় নিচ্ছেন?” তবে এসব মন্তব্যের কোনো উত্তর দেননি বাপ্পারাজ। তার এমন রহস্যময় নীরবতা আরও ভাবিয়ে তুলেছে নেটিজেনদের। ১৯৮৬ সালে বাবা নায়করাজ রাজ্জাকের পরিচালনায় ‘চাঁপাডাঙার বউ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক ঘটে বাপ্পারাজের। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি ত্রিভুজ প্রেমভিত্তিক গল্পে অভিনয় করে ‘ব্যর্থ প্রেমিক’ হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সিনেমায় প্রায়ই দেখা গেছে—অন্যের জন্য আত্মত্যাগী প্রেমিক হিসেবে তাকে। এই কারণে তিনি ‘ট্রাজেডি হিরো’ নামেও পরিচিত। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘গরিবের ওস্তাদ’, ‘গরিবের সংসার’, ‘ডাকাত’, ‘আজকের সন্ত্রাস’, ‘প্রেমের সমাধি’ এবং ‘পাগলীর প্রেম’।
আগুনের মধ্যে মানবতার জয়—পল গ্রিনগ্রাসের নতুন ছবি ‘দ্য লস্ট বাস’
চলতি শতকের শুরুতে ‘বর্ন’ ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে হলিউডের অ্যাকশন সিনেমায় এক নতুন ভাষা এনেছিলেন পল গ্রিনগ্রাস। তাঁর ছবিতে চরিত্রগুলো থাকে অনিশ্চয়তায় ভরা, আর ক্যামেরাও যেন সেই অস্থিরতাকে প্রতিফলিত করে—নড়াচড়া করে, কাঁপে, দৌড়ায়। ছোট ছোট দৃশ্য আর লাগাতার গতির মধ্য দিয়ে পর্দায় রোমাঞ্চ তৈরিতে তিনি সিদ্ধহস্ত। পরবর্তী সময়ে নির্মিত ‘গ্রিন জোন’ ও ‘ক্যাপ্টেন ফিলিপস’–এও তিনি বজায় রেখেছেন সেই স্বকীয় ধারা। এবার তিনি ফিরেছেন দাবানলে বেঁচে থাকার এক হৃদয়স্পর্শী গল্প নিয়ে—‘দ্য লস্ট বাস’। যদিও এই ধরনের গল্পের পরিণতি প্রায় সবারই জানা, তবু গ্রিনগ্রাসের হাতে তা পরিণত হয়েছে এক গভীর, নাড়িয়ে দেওয়া অভিজ্ঞতায়। টানটান চিত্রনাট্য, বাস্তবধর্মী অভিনয় ও শক্ত নির্মাণে ছবিটি হয়ে উঠেছে উপভোগ্য এক যাত্রা। ‘দ্য লস্ট বাস’ আগুনের মাঝেও আশার গল্প। এটি ২০১৮ সালের ক্যালিফোর্নিয়ার ভয়াবহ ‘ক্যাম্প ফায়ার’-এর সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। সেই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৮৫ জন, আর ছাই হয়ে গিয়েছিল প্রায় দেড় লাখ একর ভূমি। গ্রিনগ্রাস ও সহলেখক ব্র্যাড ইনগেলসবাই অনুপ্রাণিত হয়েছেন সাংবাদিক লিজি জনসন-এর ২০২১ সালের বই ‘Paradise: One Town’s Struggle to Survive an American Wildfire’ থেকে। বইটি ক্যালিফোর্নিয়ার প্যারাডাইস শহরের এক ভয়ঙ্কর বাস্তব ঘটনার কথা বলে—যেখানে স্কুলবাস চালক কেভিন নিজের জীবন বাজি রেখে একদল শিশু ও তাদের শিক্ষিকাকে বাঁচান। ছবিতে কেভিনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ম্যাথু ম্যাকনাহে—একজন সাধারণ, ক্লান্ত, কিন্তু সাহসী মানুষ, যিনি সংকটে হয়ে ওঠেন নায়ক। শিক্ষিকা মেরি লুডউইগ চরিত্রে আমেরিকা ফেরেরা—কঠোর অথচ মমতাময়ী নারী। সময়ের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক রূপ নেয় গভীর এক আবেগে; অনেকটা ‘দ্য আফ্রিকান কুইন’-এর ক্যাথারিন হেপবার্ন ও হামফ্রে বোগার্টের মতো। আগুনের আগে কেভিন ছিলেন জীবনের ভারে ন্যুব্জ মানুষ—ছেলের সঙ্গে দূরত্ব, প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে তিক্ততা, অসুস্থ মা, আর পাহাড়সম ঋণ। কিন্তু বিপর্যয়ের মাঝেই শুরু হয় তাঁর মুক্তির যাত্রা। ছবিতে কেভিনের ছেলের চরিত্রে বাস্তব জীবনেও তাঁর ছেলে লেভি ম্যাকনাহে—যা গল্পে বাস্তব আবেগকে আরও গভীর করে। গ্রিনগ্রাসের ক্যামেরা যেন নিজেই আগুনের শিখা—এক স্থান থেকে আরেক স্থানে দৌড়ায়, পর্দা জ্বালিয়ে তোলে। বিদ্যুৎবাহী একটি ত্রুটিপূর্ণ তার থেকে শুরু হয় ভয়াবহ আগুন, আর স্কুলের শিশুদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নেন কেভিন। নিজের অসুস্থ সন্তানের খোঁজে যাওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি থেমে যান না। বাস যখন ধোঁয়ায় ভরে উঠছে, শিশুরা জ্ঞান হারাচ্ছে, তখন মেরি বলে ওঠেন, “হয়তো ঘুমিয়ে পড়াই ভালো।” কেভিন দৃঢ় কণ্ঠে জবাব দেন, “এভাবে কথা বলো না।” ফায়ার ডিপার্টমেন্টের সদর দপ্তরে তখন বিশৃঙ্খলা—কেউ কারও কথা শুনছে না, পরিস্থিতি হাতের বাইরে। গ্রিনগ্রাসের ক্যামেরা সেই ভয়াবহ বাস্তবতাকে এমনভাবে ধরে যে খবরের ফুটেজও ম্লান লাগে। ‘দ্য লস্ট বাস’ যেন আমাদেরও নিয়ে যায় সেই আগুনের নরকে, যেখানে প্রতিটি নিঃশ্বাসে মৃত্যু ঘনিয়ে আসে। আগুন, ধোঁয়া, বাতাসের ঘূর্ণি, আর সারি সারি পোড়া গাড়ি—সব মিলিয়ে নরকের প্রতিচ্ছবি। চিত্রগ্রাহক পল উলভিক রকসেথ-এর সঙ্গে এটি গ্রিনগ্রাসের দ্বিতীয় কাজ। তাঁদের ক্যামেরার কাঁপুনি যেন বাস্তবের তীব্রতা তৈরি করে। কেউ কেউ হয়তো মাথা ঘুরে যাবে, কিন্তু এই অস্থিরতাই ছবির প্রাণ। বাস্তব ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়ায় দর্শক জানে—সবাই বেঁচে যাবে। তবু উত্তেজনা একটুও কমে না। অন্ধকার ধোঁয়া, জ্বলন্ত গাছের ডাল, আর বিপজ্জনক পাহাড়ি রাস্তা—সবই রোমাঞ্চ আর আতঙ্কে ভরা। ‘দ্য লস্ট বাস’ দেখায়, পরিচিত ঘটনার মাঝেও কীভাবে নতুন আলো ফেলা যায়। সিনেমার চরিত্রগুলোর নামও বাস্তবের মতোই রাখা। কেভিনকে চালাতে হয় আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তায়, যেখানে ফোন ও রেডিও বন্ধ, বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। তাঁকেই মেরির সঙ্গে বাঁচাতে হয় ২২ জন শিশুকে। নির্মাতা এখানে শিশুদের আতঙ্ক নয়, বরং কেভিন ও মেরির মানসিক লড়াইয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। মেরি একদিকে শিশুদের সান্ত্বনা দেন, অন্যদিকে নিজের ভয় লুকিয়ে রাখেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, “ভয় হচ্ছে, হয়তো ছেলেকে আর কখনো দেখব না।” শেষে পর্দায় ভেসে ওঠে—বৈদ্যুতিক সংস্থাকে আদালত আগুনের জন্য দায়ী করেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (যার নাম সরাসরি বলা হয়নি) দোষ চাপান বনবিভাগের ওপর। ফায়ার বিভাগের প্রধান সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেন, “এমন আগুন এখন বারবার ঘটছে”—কিন্তু আবেগে থেমে যান। তিনি উচ্চারণ করতে পারেন না “জলবায়ু সংকট” শব্দটি। এখানেই ছবির সামান্য দুর্বলতা—কারণ মূল বার্তাটি পরিবেশগত দিক থেকে পূর্ণতা পায়নি। তবু দুই ঘণ্টা নয় মিনিটের ছবিটি সংযমী, বাস্তব ও আবেগঘন। অপেক্ষমাণ মা–বাবাদের দৃশ্যেও অতিরিক্ত নাটক নেই—বরং সংযমই ছবির শক্তি। এক পর্যায়ে ঘোষণা আসে, আর কোনো সম্পদ অবশিষ্ট নেই—এখন কেবল মানুষকে বাঁচাতে হবে। গ্রিনগ্রাস দর্শককে শেখান না; তিনি ভয়, তাপ ও আশার মধ্য দিয়ে বাস্তবের তীব্রতাই অনুভব করান—এখানেই তাঁর সাফল্য। তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে শুরু করা গ্রিনগ্রাস সব সময়ই বাস্তব ঘটনা পর্দায় ফুটিয়ে তোলায় আগ্রহী। তাঁর ভাষায়, “আমি চেয়েছি তথ্যচিত্র ও পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য খুঁজে পেতে।” এই দর্শন থেকেই জন্ম নেয় ‘ক্যাপ্টেন ফিলিপস’ ও ‘ইউনাইটেড ৯৩’-এর মতো চলচ্চিত্র। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “‘দ্য লস্ট বাস’ আমার সিনেমাটিক ধারার কাজগুলোর মধ্যে পড়ে।” ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর, ক্যালিফোর্নিয়ার বাট কাউন্টিতে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে শুরু হয় ভয়াবহ আগুন। সেই ঘটনাই তাঁকে অনুপ্রাণিত করে। তাঁর মতে, এটি শুধু প্রক্রিয়াগত নয়, বরং গল্পের থিম—বন্য আগুন, মানবিক সাহস ও পরিবেশগত সংকটের সমন্বয়—তাঁকে টেনেছিল। পুরো সিনেমাটি শুট করা হয় নিউ মেক্সিকোর এক পরিত্যক্ত আর্টস কলেজে, যেখানে রাস্তা ও বাঁকগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ছিল। আগুনের দৃশ্য তৈরি হয় গ্যাস লাইনের নিয়ন্ত্রিত শিখা দিয়ে। তিনি বলেন, “আমরা শুট করেছি ম্যাজিক আওয়ারে, যাতে আগুনের প্রাকৃতিক আলো ধরা যায়।” শিশুদের নিরাপত্তার জন্য নেওয়া হয় কঠোর ব্যবস্থা—প্রতিটি স্টান্ট বারবার অনুশীলন করা হয়, মানসিক সুরক্ষার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়। গ্রিনগ্রাসের মতে, “আমরা চাইছিলাম আগুনটা যেন ‘Jaws’-এর হাঙরের মতোই এক চরিত্র হয়ে ওঠে।” ‘দ্য লস্ট বাস’ তাই শুধু আগুন থেকে বাঁচার গল্প নয়—এটি সাধারণ মানুষের অসাধারণ হয়ে ওঠার এক অনুপ্রেরণাদায়ক কাহিনি। তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
প্রকাশিত হতে যাচ্ছে চার্লি চ্যাপলিনের অসমাপ্ত শেষ ছবির চিত্রনাট্য ‘দ্য ফ্রিক
সিনেমার ইতিহাসে কিংবদন্তি কৌতুকাভিনেতা ও ‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’, ‘লাইমলাইট’-এর মতো কালজয়ী ছবির স্রষ্টা চার্লি চ্যাপলিনের অসম্পূর্ণ শেষ ছবির চিত্রনাট্য এবার প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। মৃত্যুর আগে, ১৯৭৭ সালে, ৮৮ বছর বয়সে তিনি এই ছবিটি নিয়ে কাজ করছিলেন। তার সংরক্ষিত পাণ্ডুলিপি, স্টোরিবোর্ড ও স্কেচের ভিত্তিতে চিত্রনাট্যটি ‘দ্য ফ্রিক: দ্য স্টোরি অব অ্যান আনফিনিশড ফিল্ম’ নামে বই আকারে প্রকাশিত হবে। ব্রিটিশ প্রকাশক পল ক্রোনিন জানিয়েছেন, চ্যাপলিন এই ছবিতে তার জনপ্রিয় চরিত্র ‘লিটল ট্রাম্প’-এর মতোই এক বহিরাগত নারী চরিত্র তৈরি করেছিলেন, যার নাম সারাফা। চ্যাপলিনের নোট অনুযায়ী, সারাফা ছিল ডানাওয়ালা এক প্রাণী, মানুষের মতো দেহ হলেও সে পাখির বৈশিষ্ট্যযুক্ত। তার ক্ষমতা ছিল অসুস্থ মানুষকে সারিয়ে তোলা এবং পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনা। চ্যাপলিন নিজে ছবিটিতে এক মাতালের ভূমিকায় সংক্ষিপ্ত অভিনয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন—যে লন্ডনের আকাশে সারাফাকে উড়তে দেখে বিস্মিত হয়। ছবিতে সারাফার চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল তার কন্যা ভিক্টোরিয়ার। ‘দ্য ফ্রিক’-এর সংরক্ষিত নথিগুলো চ্যাপলিনের অন্য যেকোনো ছবির তুলনায় অনেক বিস্তারিত। এখানে দৃশ্য বিন্যাস, বিশেষ দৃশ্যের পরিকল্পনা, চরিত্র বর্ণনা, বাজেট, প্রযোজনার সূচি—সবই রয়েছে, যা প্রমাণ করে ছবিটি নির্মাণের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছেছিল। চ্যাপলিনের জীবনীকার ডেভিড রবিনসন, যিনি বইটির সম্পাদক, বলেন, “ছবিটি সম্পূর্ণ না হওয়া সত্যিই দুঃখজনক; এটি অসাধারণ এক সৃষ্টি হতে পারত।” ভিক্টোরিয়া স্মৃতিচারণ করে বলেন, তার বাবা সপ্তাহের পর সপ্তাহ পাখির উড়ন্ত ভঙ্গি পর্যবেক্ষণ করতেন ডানা ঝাপটানোর নিখুঁত কৌশল বোঝার জন্য, কিন্তু সেই সময়ের প্রযুক্তি তার কল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ২০২০ সালে ইতালীয় ভাষায় সীমিত আকারে চিত্রনাট্যটি প্রকাশিত হলেও এবার প্রথমবারের মতো এটি ইংরেজিতে মূল রূপে প্রকাশ পাচ্ছে। চ্যাপলিন পরিবারের সহযোগিতায় বইটি সম্পাদনা করেছেন সেসিলিয়া সেনসিয়ারেলা, যিনি জানান, ‘দ্য ফ্রিক’ এতদিন চ্যাপলিন গবেষকদের কাছেও প্রায় অজানা ছিল। চিত্রনাট্যের সঙ্গে পাওয়া গোপনীয় কাস্টিং নোটে দেখা যায়, প্রধান চরিত্রের জন্য বিবেচিত হয়েছিলেন রবার্ট ভন, জেমস ফক্স এবং রিচার্ড চেম্বারলেইন। এই চরিত্রটি এক ইংরেজ অধ্যাপকের, যিনি তার ছাদে আহত অবস্থায় সারাফাকে খুঁজে পান এবং তার বন্ধু হয়ে ওঠেন। শিল্পী জেরাল্ড লার্ন, যিনি সারাফার ১৫০টি স্কেচ এঁকেছিলেন, বলেন, “চ্যাপলিন জানতেন ঠিক কীভাবে তিনি এই চরিত্রকে পর্দায় জীবন্ত করতে চান।”