জামায়াত ইস্যুতে হেফাজতের আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সাম্প্রতিক মন্তব্যকে তাঁর ‘ব্যক্তিগত’ বলে উল্লেখ করেছেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা কোনো রাজনৈতিক জোটে যুক্ত হওয়া তাদের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
গত সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে মামুনুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমাদের আমির সাধারণত ধর্মীয় বিষয়েই বক্তব্য দিয়ে থাকেন। জামায়াত নিয়ে তিনি যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। হেফাজত কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা সংগঠনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।”
মামুনুল আরও জানান, হেফাজতে ইসলামের কোনো নেতাকর্মী ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হলে সেটি তার নিজস্ব বিষয়, তবে সংগঠন হিসেবে হেফাজত কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়।
এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় কয়েকটি দাবির প্রেক্ষিতে—প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের নিয়ম চালু, কোরআন অবমাননার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ইসলামবিদ্বেষ প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং ৫ মে-কে ‘শাপলা গণহত্যা দিবস’ ঘোষণা করা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি দাবি করেন, কঠোর আইন না থাকায় ধর্ম অবমাননার ঘটনা বাড়ছে, যার সুযোগ নিচ্ছে সরকার ও ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ’।
হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, “কোনো মা-বাবা তার সন্তানকে নাচ-গান শেখাতে স্কুলে ভর্তি করে না। তাই গানের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।”
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর চট্টগ্রামে ‘শানে রেসালত’ সম্মেলনে হেফাজতের আমির বাবুনগরী জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করেন এবং জনগণকে এই দলকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।
মন্তব্য করুন