logo
  • বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

শিরোনাম

  •     ১৯৪৭ থেকে আজ পর্যন্ত কারও কষ্টের জন্য বিনা শর্তে ক্ষমাপ্রার্থী” — টকশোতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
  •     আমীর খসরু নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি
  •     ছলছুতোয় রাজধানীর সড়ক অবরোধ করলেই অ্যাকশন
  •     ‘যুদ্ধের ইতি আমরাই টানব’ - ট্রাম্পকে কড়া হুশিয়ারি ইরানের
  •     ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প
হিজরি নতুন বছর এবং মুহাররম মাস : জীবনের এক আধ্যাত্মিক সফর
ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব, করণীয় ও বর্জনীয়
/ ধর্ম  নিউজ ডেস্ক প্রকাশ : ২৯ মার্চ, ২০২৫, ১১:২৭ রাত ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব, করণীয় ও বর্জনীয় অ- অ+ ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব, করণীয় ও বর্জনীয়   ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব : পৃথিবীর প্রতিটি জাতির জীবনেই উৎসব রয়েছে। কিন্তু মুসলমানদের আনন্দ উৎসব পৃথিবীর অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠী-ধর্মের উৎসবের চেয়ে কিছুটা ভিন্নধর্মী। অন্যান্য জাতি-ধর্মের উৎসব হলো খাও দাও ফুর্তি কর। তাদের আনন্দ উৎসব অশ্লীলতা ও বেহায়াপনায় ভরপুর। ইসলাম প্রবর্তিত আনন্দ-উৎসব ইহকালীন ও পরকালীন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মুসলমানদের ঈদ নিছক উৎসরই নয় বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে। মুসলমানদের ঈদের ইহকালীন তাৎপর্য হলো-রমাদান শেষে সাদাকাতুল ফিতর গরিবদের আর্থিক সহায়তার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। অসচ্ছল পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে কর্মহীনদের কর্মসংস্থানের তথা দারিদ্র্য বিমোচনে ঈদ যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। মুসলমানদের ঈদের পরকালীন তাৎপর্য হলো-আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রমাদান মাসকে বিভিন্ন ধরনের নিয়ামতে ভরপুর করেছেন। এ মাসেই মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল করা হয়েছে। দিনে রোজা রাখার এবং রাত্রিকালীন ইবাদতের মধ্যে অনেক ফজিলতের কথা বিধৃত হয়েছে। লাইলাতুল কদর নামক হাজার রাতের চেয়েও শ্রেষ্ঠ একটি মহিমান্বিত রাত দান করা হয়েছে এ মাসে। পাপ মোচনের এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ এসে যায় রমাদান মাসে। এ সমস্ত নিয়ামতের শুকরিয়া স্বরূপ আনন্দ উৎসবের ব্যবস্থা। কাজেই ঈদ নিছক আনন্দ উৎসব নয়, এটি একটি ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। ‘ঈদুল ফিতর’ মর্যাদাপূর্ণ ইবাদতে পরিণত হবে তাদের জন্য যারা যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে রমাদানের রোজা পালন করেছে এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যে উদ্দেশ্যে রমাদানের রোজা ফরয করেছেন সেই উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে রোজা রেখেছেন তথা তাকওয়া অর্জন করেছেন। যারা পাপমুক্ত জীবন গঠনের মানসিকতা অর্জন করেছে এবং যারা ইসলামের নির্দেশনার গন্ডির মধ্যে থেকে আনন্দ উৎসব পালন করেছে অর্থাৎ যাদের আনন্দ উৎসবে অশ্ললীলতা ও বেহায়াপনা নেই। প্রকৃতপক্ষে এ ঈদ হলো এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনের দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপ্তি অনুষ্ঠান। পরবর্তী এগারো মাস সেই প্রশিক্ষণ অনুযায়ী জীবনের বাঁকে বাঁকে চলার এক সফল প্রতিশ্রুতি। তাই একদিকে ‘ঈদুল’ ফিতর যেমন সিয়াম সাধনার সমাপ্তি ঘোষণা করে, অপর দিকে তা নির্মল আনন্দ বয়ে আনে। ঈদের দিনের সুন্নাত ও মুস্তাহাবসমূহ : ঈদুল ফিতরের দিন নিম্নলিখিত কাজগুলো সম্পাদন করা মুস্তাহাব। ১. নিজ মহল্লার মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করা। ২. মিসওয়াক করা। ৩. গোসল করা। ৪. খুশবু ব্যবহার করা। ৫. সাদাকাতুল ফিতর নামাজের পূর্বেই আদায় করা। ৬. সাধ্যানুযায়ী উত্তম পোশাক পরিধান করা। ৭. খুশি ও আনন্দ প্রকাশ করা। ৮. ঈদের ময়দানে যাওয়ার পূর্বে কিছু নাশতা করা। ৯. মিষ্টি জাতীয় ও বিজোড় সংখ্যার খেজুর দিয়ে এই নাশতা করা।
শবেকদরের সন্ধানে করণীয়, আল্লাহর রহমত লাভের বিশেষ রাত
এবার জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ১১০ টাকা
সাহরি ও ইফতার / রোজার খাদ্যাভ্যাস এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা
আবু দারদা (রা.) এর ইসলাম গ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ শেষ হলো / "আমিন আমিন" ধ্বনিতে মুখরিত তুরাগ পাড়
কহর দরিয়াখ্যাত টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির অংশগ্রহণে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১১ মিনিটে শুরু হয়ে ৯টা ৩৫ মিনিটে শেষ হয় আখেরি মোনাজাত। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি ও কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা জুবায়ের আহমেদ। মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনার পাশাপাশি কবরবাসীদের মাগফিরাত এবং অসুস্থদের আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া করা হয়। মোনাজাত চলাকালে লাখ লাখ মুসল্লির "আমিন আমিন" ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে তুরাগ পাড়। আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়েতি বয়ান অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান মুসল্লিদের উদ্দেশে হেদায়েতি বয়ান প্রদান করেন, যা বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন। এরপর ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা নসিহতমূলক বয়ান করেন, যার অনুবাদ করেন শুরায়ী নেজামের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা জুবায়ের। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বাদ ফজর থেকে আমবয়ান, জিকির-আসকার ও ইবাদতে মশগুল ছিলেন মুসল্লিরা। এদিন ফজরের পর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশেদ, যা বাংলায় অনুবাদ করেন মুফতি উসামা ইসলাম। সকাল ১০টায় তালিমের পর ওলামাদের উদ্দেশে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। মাদ্রাসার ছাত্রদের উদ্দেশে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আকবর শরিফ। বাদ জোহর মাওলানা ইসমাঈল গোদরা, বাদ আসর মাওলানা জুহায়ের এবং বাদ মাগরিব ফের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা বয়ান দেন। বাদ আসর মাওলানা জুহায়ের তার বয়ানে বলেন, "ইমান আল্লাহ তায়ালার বড় নেয়ামত। এই নেয়ামতকে কাজে লাগিয়ে দুনিয়ার পরিবর্তে আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। যৌবনের কদর করতে হবে, সুস্থতার কদর করতে হবে। আল্লাহ আমাদের যে নেয়ামত দিয়েছেন, তা যেন আমরা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি।" আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। কলকারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়, যাতে কর্মজীবীরা নির্বিঘ্নে মোনাজাতে অংশ নিতে পারেন। তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা। আজ রবিবার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ শেষ হলেও আগামীকাল সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপ, যা ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপর ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে সাদ অনুসারীদের আয়োজিত দ্বিতীয় পর্ব, যা ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে। বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় আয়োজক কমিটি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। জাগতিক /এস আই  
আজ পবিত্র শবে মেরাজ
আজ ২৭ জানুয়ারি, পবিত্র শবে মেরাজ। এই রাতে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন অথচ এই দিনে বিশেষ কোনো আমল নেই।  ‘শবে মেরাজ’ শব্দটি ফার্সি ও আরবি দুই ভাষার সংমিশ্রণ। ফার্সি শব্দ ‘শব’ অর্থ রাত, আর আরবি শব্দ ‘মেরাজ’ অর্থ ঊর্ধ্বগমন। এ রাতে বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর ইচ্ছায় ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেন এবং আল্লাহর সান্নিধ্যে যাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন। ইসলামের ইতিহাস অনুসারে, এই মহিমান্বিত রাতে মহানবী (সা.) সাত আসমান অতিক্রম করেন এবং সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান প্রবর্তিত হয়। বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মানুষরা পবিত্র শবে মেরাজ পালন করেন। এ উপলক্ষে কুরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির, দোয়া এবং বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। অনেকে ওয়াজ মাহফিল এবং ধর্মীয় আলোচনা সভার মাধ্যমে এই রাতের তাৎপর্য তুলে ধরেন যা সঠিক মাধ্যম নয়।  পবিত্র শবে মেরাজ মুসলিম ধর্মীয় বিশ্বাস ও ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু,,এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমতের প্রার্থনা করে থাকেন।" তা মোটেও হাদিসে উল্লেখযোগ্য নয়। বরংচো প্রতি রাতে প্রতি সময় আল্লাহতালা তার বান্দার দোয়া ও ইবাদাত কবুল করে থাকে।  জাগতিক /এআর  
কবরের তিন প্রশ্ন: পরকালীন জীবনের প্রস্তুতি
মৃত্যুর পর মানুষের পৃথিবীর জীবন শেষ হয়ে যায় এবং শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়—কবর জীবন। কোরআন ও হাদিসে এই জগতকে ‘বারযাখ’ বলা হয়েছে। বারযাখ আরবি শব্দ, যার অর্থ পর্দা বা আবরণ। এটি এমন একটি জগত, যেখানে মানুষ মৃত্যুর পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত অবস্থান করবে। বারযাখের জীবন মানুষের জন্য ভিন্ন অভিজ্ঞতা হতে পারে। এটি কারও জন্য হবে শান্তির জান্নাত, আবার কারও জন্য হবে জাহান্নামের শাস্তির ঘর। হাদিস অনুযায়ী, মুমিনের কবর হবে প্রশান্তির স্থান, আর পাপীদের জন্য তা হবে শাস্তির জায়গা। কবর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো, দুনিয়াতে এই প্রশ্ন ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে এখানে তিনটি প্রশ্ন করা হবে।  প্রশ্নগুলো হলো: তোমার প্রতিপালক কে? তোমার জীবনব্যবস্থা কী ছিল? তোমার নবী কে ছিলেন? প্রতিপালকের উপর আস্থা ও বিশ্বাস  যারা দুনিয়ার জীবনে আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করে এবং তাঁর নিয়ম মেনে চলে, তারা এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবে। কিন্তু যারা এ বিষয়ে উদাসীন ছিল, তারা উত্তর দিতে ব্যর্থ হবে। জীবনব্যবস্থার বিষয়ে  দুনিয়ার জীবনে যারা ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করেছে, তারা জানাবে, তাদের জীবনব্যবস্থা ছিল ইসলাম। কিন্তু যারা মানবসৃষ্ট নিয়মকেই জীবনব্যবস্থা হিসেবে বেছে নিয়েছিল, তারা এখানে ব্যর্থ হবে। নবীর আদর্শ মেনে চলার  শেষ প্রশ্নে জানতে চাওয়া হবে, কার আদর্শে জীবন পরিচালনা করা হয়েছে। যারা রাসুল (সা.)-এর সুন্নত মেনে জীবনযাপন করেছে, তারা এ প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হবে। অন্যদিকে, যারা অন্যদের আদর্শ অনুসরণ করেছে, তারা বলতে বাধ্য হবে, “আমি কিছুই জানি না।” কবর জীবনের এই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দেওয়া নির্ভর করে দুনিয়ার জীবনযাপনের ওপর। তাই পৃথিবীতে আল্লাহর বিধান মেনে চলা, ইসলামের পথে থাকা এবং রাসুলের (সা.) সুন্নাহ অনুসরণ করাই হতে পারে সেই জীবনের প্রস্তুতি। জাগতিক /আ-রহমান।
নবীজি আল্লাহর কাছে যেভাবে তাকওয়া ও সচ্ছলতা কামনা করতেন
পৃথিবী মানুষের কর্মের শস্যক্ষেত্র। এই জীবন মূলত পরীক্ষার জায়গা। আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন সময় মানুষকে বিপদ-আপদ, অর্থনৈতিক সংকট ও নানা দুঃসময় দিয়ে পরীক্ষা করেন। এসব পরিস্থিতি বান্দার ধৈর্য ও বিশ্বাসের পরীক্ষার মাধ্যম। যারা আল্লাহর প্রতি আস্থা রেখে ধৈর্য ধারণ করেন, তাদের জন্য আল্লাহ উত্তম প্রতিদান রেখেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের কিছু ভয়, ক্ষুধা, ধন-সম্পদের ক্ষতি ও প্রাণহানি এবং ফল-ফসলের ক্ষতি দ্বারা পরীক্ষা করব। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫) মানুষ যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়, তখন আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে তাকে আলোর দিকে নিয়ে আসেন। কোরআনের আরেক আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক। তিনি তাদের অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসেন।’ (সুরা বাকারা: ২৫৭) এ প্রসঙ্গে নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাহাবিদের একটি বিশেষ দোয়া শিখিয়েছিলেন। একবার এক সাহাবি অভাবের কথা জানালে নবীজি তাকে একটি তাসবিহ পড়তে বলেন। তিনি বলেন, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম, ওয়া বিহামদিহি আস্তাগফিরুল্লাহ।’ অর্থ: মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সব প্রশংসা তাঁর জন্য। মহাপবিত্র আল্লাহ, যিনি সমুচ্চ, মহান। আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। এই দোয়া প্রতিদিন ১০০ বার পড়ার পরামর্শ দেন তিনি। নবীজি জানান, এর বরকতে দুনিয়া মানুষের জন্য সহজ হয়ে আসবে। হযরত আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) আল্লাহর কাছে সচ্ছলতার জন্য প্রার্থনা করতেন এই দোয়ায়: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى। উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা, ওয়াত তুকা, ওয়াল আফাফা, ওয়াল গেনা। অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে হেদায়াত, তাকওয়া, নিষ্কলুষতা ও সচ্ছলতার জন্য প্রার্থনা করছি। (মুসলিম: ৬৬৫৬) এ দোয়া আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর সাহায্য ও বরকত কামনার পথ দেখায়। জাগতিক /আ-র  
সকালে পড়ার কিছু দোয়া
সকাল আল্লাহর নিয়ামত। সকালটা দোয়া দিয়ে শুরু হলে ভালো কাটবে সারাদিন। তাই ফজরের পর পড়ার মতো ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল রয়েছে। যেগুলো পড়ে মুমিন বান্দা নানা ধরনের উপকার লাভ করতে পারে। নিম্নে কতিপয় আমল উল্লেখ করা হলো- আয়াতুল কুরসি পড়া রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো অন্তরায় থাকবে না।’ (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ২৩৯৫) আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের দোয়া যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা তিনবার নিম্নের দোয়া পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সন্তুষ্ট করবেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৮৯) দোয়াটি হলো ‘রাজিতু বিল্লাহি রব্বাওঁ ওয়াবিল ইসলামী দ্বিনাওঁ ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা।’ অর্থ : আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বিন হিসেবে ও মুহাম্মাদ (সা.)-কে নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট। সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার যদি কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার পড়ে এবং ওই দিনে বা রাতে ইন্তেকাল করে, তবে সে জান্নাতি হবে। (বুখারি : ৬৩০৬) জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিবের পর সাতবার নিম্নের দোয়াটি পাঠ করে এবং ওই দিনে বা রাতে তার মৃত্যু হয়, তাহলে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৭৯) দোয়া: ‘আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার।’ অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করুন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আল্লাহর ইবাদতে নিযুক্ত করার চেষ্টা একজন মুসলিমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিনের শুরুতে এই সহজ কয়েকটি আমল একজন মুমিনকে আল্লাহর নৈকট্য এবং তার রহমতের অধিকারী করবে। আমাদের সকলেরই উচিত, এই সুন্নত অনুসরণ করে প্রতিদিনের জীবনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করা। আল্লাহ আমাদেরকে এসব আমল পালন করার তাওফিক দান করুন। দয়াময় আল্লাহর অশেষ রহমত দিয়ে আমাদের জীবনের প্রতিটি দিনকে বরকতময় করুন। আমিন। জাগতিক /এসআই  
জুলাই বিপ্লবকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, জুলাই বিপ্লবে প্রায় এক হাজারের মতো মানুষ শহীদ হয়েছেন। অনেকে আহত হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। এই বিপ্লবকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজারে হাশেমিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে রিইউনিয়ন হাশেমিয়ান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব হাশেমিয়া কামিল মাদ্রাসা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মুসলিম সমাজ আজ বহু ধারায় বিভক্ত। আমাদের এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রয়োজন ঐক্য। মুসলমানদের ঐক্য, বাংলাদেশি জাতি-গোষ্ঠীর ঐক্য। মুসলমানেরা যতদিন ঐক্যবদ্ধ ছিল, ততদিন পৃথিবীতে রাজত্ব করে গেছে। যেই মুহূর্ত হতে আমরা বিভেদ, সংঘাত ও পারস্পরিক কাঁদা ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত হয়ে গেছি, সেই মুহূর্ত থেকে আমাদের শক্তি ক্ষয় হতে শুরু করেছে। আমাদের পতন অনিবার্য হয়ে পড়েছে। উপদেষ্টা আরও বলেন, সারা পৃথিবী আজ সংঘাত-বিক্ষুব্ধ। মুসলমানদের রক্ত ঝরছে। জেরুজালেম, আরাকান, সিরিয়া ও লেবাননে মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে। আমাদের দেশের অবস্থাও খুব বেশি ভালো নয়। এই মুহূর্তে ঐক্যই আমাদের একমাত্র শক্তি। এই শক্তিকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। সব মতভেদকে ভুলে গিয়ে আমাদের কাছাকাছি আসতে হবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এদেশের আলেম সমাজ যদি কাছাকাছি আসতে পারতেন তাহলে নতুন ইতিহাস রচিত হতে পারতো। অতীতে আমরা বারবার বিভেদে জড়িয়েছি। এই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর পথ রচনা করতে হবে। ড. খালিদ বলেন, মুসলমানদের অনৈক্যের কারণেই বাগদাদ ধ্বংস হয়েছে, হালাকু খান বাগদাদ দখল করতে পেরেছিল। পৃথিবীতে এখনও প্রায় ২০০ কোটি মুসলমান। মুসলমানেরা যদি এক হতে পারে, ওআইসি এবং আরব লীগকে যদি শক্তিশালী ও কার্যকর করা যায় তাহলে পৃথিবী নতুন পথে চলবে। জুলাই বিপ্লবে আহতদের দুর্বিষহ অবস্থার কথা উল্লেখ করে ড. খালিদ বলেন, আমরা যদি মনে করি আমাদের আন্দোলন-বিপ্লব শেষ, তাহলে ভুল হবে। আমাদের কাজ এখনও অনেক বাকি। যদি প্রয়োজন পড়ে আমাদের আবারও মাঠে নামতে হবে। ড. খালিদ আরো বলেন, সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর একের পর এক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে। সরকার পথযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে নানা অপচেষ্টা চলছে। কিন্তু সরকার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। উপদেষ্টা তাঁর কর্মকালে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। রিইউনিয়ন হাশেমিয়ান ২০২৪-এর আহ্বায়ক মাওলানা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ প্রমুখ। জাগতিক/ আফরোজা   
প্রত্যেক ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা মানুষ একই। আমাদের মানুষ পরিচয় আগে, তারপর ধর্ম। প্রত্যেক ধর্মে শান্তির বাণী আছে। সেই শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। তাহলেই বিভেদ দূর হবে। বড়দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। অতিথিদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের দিনে আপনাদের সঙ্গে দেখা হলো, এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমরা ধর্মীয় সংহতি চাই। সংখ্যালঘু, সংখ্যাগরিষ্ঠ- এই শব্দগুলো আমরা চাই না। এদেশে আমরা সবাই এক পরিবার, সবাই মিলে একত্রে থাকব- এটি আমাদের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবার এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, নিজ নিজ ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মনের মধ্যে স্থাপন করা গেলে অন্য ধর্মের মধ্যেও তা খুঁজে পাবেন। তখন আর অন্য ধর্মের সঙ্গে বিভেদ হবে না। আমাদের ছেলেমেয়েরা সুন্দর শৈশব পাবে। এসময় বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেন বক্তারা। দেশব্যাপী চার্চগুলোতে এ অনুদান বণ্টন হয়েছে বলেও তারা জানান। শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রমুখ। জাগতিক/ আফরোজা   
2Error!: SQLSTATE[23000]: Integrity constraint violation: 1062 Duplicate entry '0' for key 'news_id'