logo
  • মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২

শিরোনাম

  •     ১৯৪৭ থেকে আজ পর্যন্ত কারও কষ্টের জন্য বিনা শর্তে ক্ষমাপ্রার্থী” — টকশোতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
  •     আমীর খসরু নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি
  •     ছলছুতোয় রাজধানীর সড়ক অবরোধ করলেই অ্যাকশন
  •     ‘যুদ্ধের ইতি আমরাই টানব’ - ট্রাম্পকে কড়া হুশিয়ারি ইরানের
  •     ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প
কী জানা গেল / ট্রাম্পের নতুন ওষুধ আমদানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক
বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ গ্রহণের সীমা নির্ধারণ করেছে আইএমএফ
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জন্য বিদেশি ঋণ গ্রহণের সীমা বেঁধে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির শর্ত অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৮৪৪ কোটি ডলারের বেশি ঋণ নিতে পারবে না। গত জুনে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১৩৪ কোটি ডলার ছাড়ের পর প্রকাশিত বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্টে এ শর্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি প্রান্তিকে কী পরিমাণ ঋণ নেওয়া যাবে সেটিও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে— প্রথম ত্রৈমাসিকে: সর্বোচ্চ ১৯১ কোটি ডলার ছয় মাসে: ৩৩৪ কোটি ডলার নয় মাসে: ৪৩৪ কোটি ডলার পুরো অর্থবছরে: সর্বোচ্চ ৮৪৪ কোটি ডলার আইএমএফ প্রতি তিন মাসে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৮৫৭ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ নিয়েছিল। এ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে ঋণ নেওয়া হয়েছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ডলার। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার কিছুটা কম ঋণ নিতে হবে সরকারের। আইএমএফ ২০২৩ সালে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করলেও তখন বিদেশি ঋণ সীমার কোনো শর্ত ছিল না। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি অনুমোদনের সময় মূল ঋণের পরিমাণ ৮০ কোটি ডলার বাড়ানো হয় এবং মেয়াদও ছয় মাস বাড়ে। এরপরই নতুন শর্ত আরোপ করে আইএমএফ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএমএফের সর্বশেষ ঋণ স্থায়িত্ব বিশ্লেষণ (ডিএসএ)-এর ভিত্তিতেই এই সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশ এখন ‘কম ঝুঁকি’র দেশ নয়, বরং ধারাবাহিকভাবে ‘মধ্যম ঝুঁকি’র তালিকায় চলে এসেছে। রপ্তানি ও রাজস্ব আয়ের তুলনায় ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়ে যাওয়াই এর কারণ।
মার্চের প্রথম ৮ দিনে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ৮১ কোটি ডলার দেশে এসেছে
সিরিয়ায় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ / ঘরে ঘরে ঢুকে হত্যা, এক হাজারের বেশি নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত: বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী প্রভাবের আশঙ্কা
গাজীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুন, নিহত ১
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চ্যালেঞ্জপূর্ণ অর্থনীতি সামলাতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার দ্য ডেইলি স্টার-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেখতে পায় অর্থনীতির অবস্থা ধারণার চেয়েও খারাপ ছিল। তিনি জানান, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমে যাচ্ছিলো।  উচ্চমাত্রার মূল্যস্ফীতি মানুষকে কঠিন অবস্থায় ফেলে দিয়েছিলো।, আর্থিক লেনদেনের ভারসাম্যও নেতিবাচক ছিল। তবে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণের দায় পরিশোধ করা। কোনোভাবে রিজার্ভে হাত না দিয়ে সরকার এই পরিমাণ ঋণ কমিয়ে ৪০০-৫০০ মিলিয়ন ডলারে নামিয়ে এনেছে। এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সরকার তিনটি প্রধান পদক্ষেপ নিয়েছে: ১. খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি 2. ব্যবসার জন্য নিরবচ্ছিন্ন নগদ প্রবাহ নিশ্চিত করা 3. কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (ADP) পুনর্বিন্যাস অর্থ উপদেষ্টা জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকিং খাতের অবস্থা এতটাই নাজুক ছিল যে, অনেকের মনে ভয় ছিল, যেকোনো সময় ব্যাংকগুলোতে অর্থের সংকট দেখা দিতে পারে। কিছু ব্যক্তি মিলে ব্যাংকের অর্থ অপব্যবহার করেছে, যা বিশ্বে বিরল ঘটনা। তবে ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ কিছু ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ২০,০০০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে, যার ফলে এখন গ্রাহকরা সহজেই তাদের টাকা তুলতে পারছেন। দেশে ঋণখেলাপির পরিমাণ বাড়ছে, কারণ মামলা নিষ্পত্তি হতে অনেক সময় লাগছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিশেষ বিচারিক বেঞ্চ গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা। সরকার কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ বন্ধ করলেও এখনও কিছু উপায়ে এই প্রবাহ চলছে। বিশেষ করে, সম্পত্তির প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কম দামে রেজিস্ট্রেশন করে বাকি অর্থ গোপনে ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো উল্লেখ করেন সরকারি প্রকল্পের দুর্নীতি বন্ধ করাও বড় চ্যালেঞ্জ। পুরনো দুর্নীতিবাজরা নতুন নামে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যা পরিবর্তন করা কঠিন। তবে সরকার এটি ঠেকাতে চেষ্টা করছে। মাননীয় উপদেষ্টা বলেছেন বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত অনেক কম বলে। তাই কর ব্যবস্থা পৃথকীকরণ এবং অবৈধ সুযোগ সুবিধা বন্ধে বেশ কয়েকটি বিধিবিধান (SRO) বাতিল করা হয়েছে। স্বাক্ষাতকারে তিনি আরো জানান, উচ্চমূল্যের পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (VAT) বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না। যেমন, ২০০ টাকা কেজির বেশি দামের বিস্কুটে ভ্যাট বাড়ানো যৌক্তিক। তিনি উল্লেখ করেন যে, সরকার গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে নতুন বড় প্রকল্প নেওয়া হবে না, বিদ্যমান মেগা প্রকল্পগুলো চালিয়ে যাওয়া হবে। বার্ষিক উন্নয়ন বাজেট (ADP) প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা কমানো হতে পারে। তিনি ডেইরি স্টারকে জানান, বাজেট পরিবর্তন করা কঠিন হওয়ায় আগের সরকারের বাজেট বহাল রাখা হয়েছে। তবে সরকারি ব্যয় কমানো হয়েছে এবং শুধুমাত্র জরুরি খাতে ব্যয় অব্যাহত রাখা হয়েছে, যেমন পুলিশ বাহিনীর জন্য নতুন যানবাহন কেনা, যেহেতু তাদের ৩০০টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে, যাতে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা সমস্যায় না পড়ে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী বাজেটের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। যেমন: ১. মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ 2. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা 3. জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা 4. কৃষিখাতকে শক্তিশালী করা তিনি বলেন, আগামী বাজেট বাস্তবসম্মত হবে, তবে জনপ্রিয়তা রক্ষার জন্য নয়, বরং দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য প্রস্তুত করা হবে।
ভারত থেকে আসছে ১ লাখ ৩০ হাজার টন ডিজেল
বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় কোম্পানি নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ২০২৫ সালে ১ লাখ ৩০ হাজার টন ডিজেল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আমদানির ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬৪ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এর আগে, ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডিজেল আমদানির বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও নুমালিগড় রিফাইনারির মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এই আমদানি করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে স্বাক্ষরিত এ চুক্তির মেয়াদ ১৫ বছর। এবার প্রতি ব্যারেল ডিজেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫০ ডলার। এছাড়া, বৈঠকে আরও কয়েকটি আমদানি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মরক্কো থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার, যার প্রতি টনের দাম ৪৪০ ডলার। একই সঙ্গে, ভিয়েতনাম থেকে সরকারিভাবে (জিটুজি) ১ লাখ টন আতপ চাল আমদানি করা হবে, যার প্রতি টনের দাম ৪৭৪ দশমিক ২৫ ডলার। এছাড়াও, দেশীয় প্রতিষ্ঠান সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে ১০ হাজার টন চিনি কেনা হবে ১১৫ টাকা ৪২ পয়সা কেজি দরে এবং শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে ৯৮ টাকা ৪৫ পয়সা কেজি দরে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে এই চিনি ও ডাল ভর্তুকি দামে বিক্রি করা হবে।
আবারও ২০ বিলিয়নের ঘরে দেশের রিজার্ভ
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছেছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে এ অবস্থানে আসে। এর আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) পাওনা ১২৭ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ নেমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে চলে গিয়েছিল। গত ৯ জানুয়ারি আকুর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের আমদানি বিলের দায় বাবদ ১৬৭ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে তখন গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। সোমবার আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসাবে রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ শুরুর আগে রিজার্ভ ৩২-৩৩ বিলিয়নের ঘরে ওঠানামা করত। বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ এবং আমদানি ব্যয়ের চাপ থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক প্রবণতা রিজার্ভ পুনরুদ্ধারে সহায়ক হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা থাকায় রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে সরকারের কৌশল ও নীতিনির্ধারণে আরও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে আমদানি খরচ নিয়ন্ত্রণ ও রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে এগোলেও আন্তর্জাতিক আর্থিক হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ বজায় রাখা হবে আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ। জাগতিক /এস আই  
বাংলাদেশে কার্যক্রম স্থগিত করল ইউএসএইড
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতা কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার সংস্থাটি এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ইউএসএইডের অধিগ্রহণ ও সহায়তা তত্ত্বাবধায়ক চুক্তি কর্মকর্তা ব্রায়ান অ্যারন। চিঠিতে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ইউএসএইড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি মিশর ও ইসরায়েল ছাড়া বিশ্বের সব দেশের জন্য বিদেশি সহায়তা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। ইউএসএইডের এই উদ্যোগ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকাই প্রথম’ নীতির অংশ হিসেবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক গোপন নথিতে উল্লেখ করেছেন, বিদেশি সহায়তা কার্যক্রমের বিদ্যমান প্রকল্প এবং নতুন প্রকল্পের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হবে। অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো অর্থ  দেওয়া হবে না। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৮৫ দিন সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে। ইউএসএইডের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ইউএসএইডের অংশীদারদের মধ্যে যারা চুক্তি, টাস্ক অর্ডার, অনুদান বা সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, তাদের এই কাজগুলো অবিলম্বে স্থগিত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের উন্নয়ন খাতে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই স্থগিতাদেশ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সাময়িক সংকট তৈরি করতে পারে। তবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ইউএসএইড বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরবর্তী ঘোষণা আশা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জাগতিক/ এআর  
রয়েল এনফিল্ড হান্টারকে টেক্কা দিতে রেট্রো বাইক আনছে হোন্ডা
  বর্তমানে নিও-রেট্রো বাইকের দুনিয়ায় রয়েল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০-এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এবার হোন্ডা একটি নতুন বাইক নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে, যা এই সেগমেন্টে প্রতিযোগিতা জোরদার করতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি পেটেন্ট ছবিতে এই নতুন বাইকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মডেলটি হোন্ডার হর্নেট ২.০ মডেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি। তবে এতে বেশ কিছু ভিন্নতা এবং উন্নত ফিচারও রয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে, বাইকটিতে আপসাইড-ডাউন (ইউএসডি) ফ্রন্ট ফর্ক, অ্যালয় হুইল, এবং নিসিন ক্যালিপারের সঙ্গে পেটাল-টাইপ ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিন এবং চ্যাসিসের ক্ষেত্রেও হর্নেট ২.০-এর কিছু বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। তবে ইঞ্জিনের ক্র্যাঙ্ককেস আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হওয়া সিবি১৯০আর-এর মতো দেখতে। নতুন মডেলটিতে গোলাকার এলইডি হেডল্যাম্প, ছোট টার্ন সিগন্যাল, এবং কমপ্যাক্ট ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার রয়েছে। ফুয়েল ট্যাঙ্কটি শক্তিশালী এবং পেশিবহুল, যা স্টাবি টেইল সেকশনের সঙ্গে মিলিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। রাইডারের আরাম নিশ্চিত করতে একক ইউনিটের সিটও দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে হোন্ডার হর্নেট ২.০-এর দাম ভারতে ১ লাখ ৪৩ হাজার রুপি (এক্স-শোরুম)। নতুন মডেলের দাম কিছুটা বেশি হতে পারে, তবে তা প্রতিযোগিতামূলক রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। হোন্ডার লক্ষ্য বাজেট-বান্ধব একটি নিও-রেট্রো বাইক তৈরি করে ভারতীয় বাজারে এই সেগমেন্টে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলা। যদিও বাইকটির লঞ্চ তারিখ নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে আশা করা যায়, হোন্ডা শিগগিরই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে। নিও-রেট্রো স্টাইল, উন্নত পারফরম্যান্স এবং আধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ এই বাইকটি ক্রেতাদের জন্য একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে। হোন্ডার এই উদ্যোগ নিও-রেট্রো বাইকের বাজারে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন শুধু অপেক্ষা, কবে এই বাইক বাজারে আসে। জাগতিক /আ-র
ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২.৯৯% বৃদ্ধি
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়কালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২.৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৮.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।   পরিমাণের দিক থেকে এই সময়ে ইইউতে পোশাক রপ্তানি ৮.২২ শতাংশ বেড়েছে। তবে, এ সময়ে পোশাকের ইউনিট মূল্যে ৪.৮৩ শতাংশ হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। ইউনিট মূল্যের এই পতনের কারনে লাভ কম হয়েছে।   ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, এই সময় ইইউ’র মোট পোশাক আমদানির মূল্য ৮৫.৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ০.৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পরিমাণে তা বেড়েছে ৮.০৪ শতাংশ।   বাংলাদেশ এ সময়ে ইইউ’র সামগ্রিক আমদানি বৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে, ইইউতে পোশাকের গড় ইউনিট মূল্যে ৬.৬৫ শতাংশ পতন লক্ষ্য করা গেছে। এই চাপ বিশ্বের প্রধান রপ্তানিকারক দেশগুলো, বিশেষ করে বাংলাদেশের ওপরও প্রভাব ফেলেছে।   একই সময়ে, বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী কম্বোডিয়া ইইউতে রপ্তানিতে ২০.৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তবে, তাদের রপ্তানির পরিমাণ এখনো ৩.৮৮ বিলিয়ন ডলারে সীমাবদ্ধ।   চীন এ সময়ে ১.৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৪.০৪ বিলিয়ন ডলারে এবং ভারত ১.০৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪.২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম যথাক্রমে ১১.৬৯ শতাংশ ও ৩.৪৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। অন্যদিকে, তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি কমেছে, যা বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতার তীব্রতার স্পষ্ট প্রমান।  
ইপিবির প্রতিবেদন / পোশাক খাতে রপ্তানির ১৯ ভাগ যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে
২০২৪ সালে বাংলাদেশের পোশাক খাতের মোট রপ্তানির ৫০ দশমিক ৩৪ শতাংশই গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার আর্থিক মূল্য ১৯ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ পোশাক গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। যার মূল্য ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। শুক্রবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য জানিয়েছে।   ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছর বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মোট ৩৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়েছে ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যা মোট পোশাক রপ্তানির ১১ দশমিক ২৫ শতাংশ। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিতে ৪ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার, স্পেনে ৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার এবং ফ্রান্সে ২ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে। এ ছাড়া কানাডায় ১ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা মোট রপ্তানির ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ।   জাগতিক /আফরোজা