logo
  • শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
মার্চের প্রথম ৮ দিনে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ৮১ কোটি ডলার দেশে এসেছে
সিরিয়ায় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ / ঘরে ঘরে ঢুকে হত্যা, এক হাজারের বেশি নিহত
গত কয়েক দিন ধরে সিরিয়ায় গভীর সংঘাতের মুখে পড়ে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় শহর লাতাকিয়া ও তারতুস। বাশার আল-আসাদের অনুগত যোদ্ধারা সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র হামলা শুরু করলে, পাল্টা হামলা চালায় সিরিয়ার সরকার। গত দুই দিনে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই আসাদপন্থী আলাউইত সম্প্রদায়ের সাধারণ নাগরিক। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বন্দুকধারীরা ঘরে ঘরে ঢুকে নিরীহ মানুষদের হত্যা করছে। তাদের মধ্যে এক মহিলা জানান, "বুস্তান আল-বাশা গ্রামে আমার চাচি ও তার প্রতিবেশীরা সবাই নিহত হয়েছেন।" একাধিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অস্ত্রধারীরা নিজের পরিচয় হায়াত আল-শামের (এইচটিএস) যোদ্ধা হিসেবে দাবি করলেও, তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে এই গোষ্ঠী যুক্ত নয়। তারা সাধারণ মানুষকে হত্যার জন্য সন্ত্রাসী কৌশল ব্যবহার করছে। এছাড়া, বিভিন্ন প্রতিবেদন এবং প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় উঠে এসেছে, হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যাদের বেশিরভাগই পালানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তারা যখন রাশিয়া পরিচালিত হমেইমিম বিমানঘাঁটিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে, তখন সশস্ত্র গোষ্ঠী তাদের বাধা দিচ্ছে এবং শখের মধ্যে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার পক্ষের বাহিনী এলাকায় পাল্টা হামলা চালাতে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং কামান ব্যবহার করছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের (এসওএইচআর) তথ্যমতে, লাতাকিয়া ও তারতুসের আলাউইত সম্প্রদায়ের ৭৪৫ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে, এবং বাশারপন্থী ১৪৮ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এই সহিংসতার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাশার সরকারের পতনের পর আলাউইত সম্প্রদায়ের সদস্যরা শত্রুদের লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, সিরিয়ায় সহিংসতা এখনও পুরোপুরি থামেনি। রবিবার এই সংঘাতের চতুর্থ দিনে প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে, সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান আহমেদ আল-শারা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, "এই পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে শান্ত থাকতে হবে এবং দেশের শান্তি রক্ষা করতে হবে। যাদের সাধারণ মানুষকে নিশানা করা হয়েছে, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।" এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সিরিয়ায় চলমান সহিংসতা দ্রুত বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রার্থনা করছে। জাগতিক /এস আই
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত: বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী প্রভাবের আশঙ্কা
গাজীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুন, নিহত ১
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে
ভারত থেকে আসছে ১ লাখ ৩০ হাজার টন ডিজেল
আবারও ২০ বিলিয়নের ঘরে দেশের রিজার্ভ
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছেছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে এ অবস্থানে আসে। এর আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) পাওনা ১২৭ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ নেমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে চলে গিয়েছিল। গত ৯ জানুয়ারি আকুর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের আমদানি বিলের দায় বাবদ ১৬৭ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে তখন গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। সোমবার আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসাবে রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ শুরুর আগে রিজার্ভ ৩২-৩৩ বিলিয়নের ঘরে ওঠানামা করত। বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ এবং আমদানি ব্যয়ের চাপ থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক প্রবণতা রিজার্ভ পুনরুদ্ধারে সহায়ক হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা থাকায় রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে সরকারের কৌশল ও নীতিনির্ধারণে আরও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে আমদানি খরচ নিয়ন্ত্রণ ও রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে এগোলেও আন্তর্জাতিক আর্থিক হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ বজায় রাখা হবে আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ। জাগতিক /এস আই  
বাংলাদেশে কার্যক্রম স্থগিত করল ইউএসএইড
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতা কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার সংস্থাটি এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ইউএসএইডের অধিগ্রহণ ও সহায়তা তত্ত্বাবধায়ক চুক্তি কর্মকর্তা ব্রায়ান অ্যারন। চিঠিতে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ইউএসএইড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি মিশর ও ইসরায়েল ছাড়া বিশ্বের সব দেশের জন্য বিদেশি সহায়তা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। ইউএসএইডের এই উদ্যোগ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকাই প্রথম’ নীতির অংশ হিসেবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক গোপন নথিতে উল্লেখ করেছেন, বিদেশি সহায়তা কার্যক্রমের বিদ্যমান প্রকল্প এবং নতুন প্রকল্পের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হবে। অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো অর্থ  দেওয়া হবে না। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৮৫ দিন সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে। ইউএসএইডের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ইউএসএইডের অংশীদারদের মধ্যে যারা চুক্তি, টাস্ক অর্ডার, অনুদান বা সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, তাদের এই কাজগুলো অবিলম্বে স্থগিত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের উন্নয়ন খাতে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই স্থগিতাদেশ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সাময়িক সংকট তৈরি করতে পারে। তবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ইউএসএইড বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরবর্তী ঘোষণা আশা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জাগতিক/ এআর  
রয়েল এনফিল্ড হান্টারকে টেক্কা দিতে রেট্রো বাইক আনছে হোন্ডা
  বর্তমানে নিও-রেট্রো বাইকের দুনিয়ায় রয়েল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০-এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এবার হোন্ডা একটি নতুন বাইক নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে, যা এই সেগমেন্টে প্রতিযোগিতা জোরদার করতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি পেটেন্ট ছবিতে এই নতুন বাইকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মডেলটি হোন্ডার হর্নেট ২.০ মডেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি। তবে এতে বেশ কিছু ভিন্নতা এবং উন্নত ফিচারও রয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে, বাইকটিতে আপসাইড-ডাউন (ইউএসডি) ফ্রন্ট ফর্ক, অ্যালয় হুইল, এবং নিসিন ক্যালিপারের সঙ্গে পেটাল-টাইপ ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিন এবং চ্যাসিসের ক্ষেত্রেও হর্নেট ২.০-এর কিছু বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। তবে ইঞ্জিনের ক্র্যাঙ্ককেস আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হওয়া সিবি১৯০আর-এর মতো দেখতে। নতুন মডেলটিতে গোলাকার এলইডি হেডল্যাম্প, ছোট টার্ন সিগন্যাল, এবং কমপ্যাক্ট ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার রয়েছে। ফুয়েল ট্যাঙ্কটি শক্তিশালী এবং পেশিবহুল, যা স্টাবি টেইল সেকশনের সঙ্গে মিলিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। রাইডারের আরাম নিশ্চিত করতে একক ইউনিটের সিটও দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে হোন্ডার হর্নেট ২.০-এর দাম ভারতে ১ লাখ ৪৩ হাজার রুপি (এক্স-শোরুম)। নতুন মডেলের দাম কিছুটা বেশি হতে পারে, তবে তা প্রতিযোগিতামূলক রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। হোন্ডার লক্ষ্য বাজেট-বান্ধব একটি নিও-রেট্রো বাইক তৈরি করে ভারতীয় বাজারে এই সেগমেন্টে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলা। যদিও বাইকটির লঞ্চ তারিখ নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে আশা করা যায়, হোন্ডা শিগগিরই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে। নিও-রেট্রো স্টাইল, উন্নত পারফরম্যান্স এবং আধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ এই বাইকটি ক্রেতাদের জন্য একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে। হোন্ডার এই উদ্যোগ নিও-রেট্রো বাইকের বাজারে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন শুধু অপেক্ষা, কবে এই বাইক বাজারে আসে। জাগতিক /আ-র
ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২.৯৯% বৃদ্ধি
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়কালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২.৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৮.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।   পরিমাণের দিক থেকে এই সময়ে ইইউতে পোশাক রপ্তানি ৮.২২ শতাংশ বেড়েছে। তবে, এ সময়ে পোশাকের ইউনিট মূল্যে ৪.৮৩ শতাংশ হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। ইউনিট মূল্যের এই পতনের কারনে লাভ কম হয়েছে।   ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, এই সময় ইইউ’র মোট পোশাক আমদানির মূল্য ৮৫.৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ০.৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পরিমাণে তা বেড়েছে ৮.০৪ শতাংশ।   বাংলাদেশ এ সময়ে ইইউ’র সামগ্রিক আমদানি বৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে, ইইউতে পোশাকের গড় ইউনিট মূল্যে ৬.৬৫ শতাংশ পতন লক্ষ্য করা গেছে। এই চাপ বিশ্বের প্রধান রপ্তানিকারক দেশগুলো, বিশেষ করে বাংলাদেশের ওপরও প্রভাব ফেলেছে।   একই সময়ে, বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী কম্বোডিয়া ইইউতে রপ্তানিতে ২০.৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তবে, তাদের রপ্তানির পরিমাণ এখনো ৩.৮৮ বিলিয়ন ডলারে সীমাবদ্ধ।   চীন এ সময়ে ১.৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৪.০৪ বিলিয়ন ডলারে এবং ভারত ১.০৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪.২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম যথাক্রমে ১১.৬৯ শতাংশ ও ৩.৪৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। অন্যদিকে, তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি কমেছে, যা বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতার তীব্রতার স্পষ্ট প্রমান।  
ইপিবির প্রতিবেদন / পোশাক খাতে রপ্তানির ১৯ ভাগ যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে
২০২৪ সালে বাংলাদেশের পোশাক খাতের মোট রপ্তানির ৫০ দশমিক ৩৪ শতাংশই গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার আর্থিক মূল্য ১৯ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ পোশাক গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। যার মূল্য ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। শুক্রবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য জানিয়েছে।   ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছর বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মোট ৩৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়েছে ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যা মোট পোশাক রপ্তানির ১১ দশমিক ২৫ শতাংশ। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিতে ৪ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার, স্পেনে ৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার এবং ফ্রান্সে ২ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে। এ ছাড়া কানাডায় ১ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা মোট রপ্তানির ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ।   জাগতিক /আফরোজা 
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন / চলতি অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৪.১%
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পর এবার বিশ্বব্যাংকও কমাল বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসবে বলে ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক। এর আগে গত জুন মাসে সংস্থাটি বলেছিল, এই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জিডিপি প্রবৃদ্ধির নতুন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমে গেছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা। এমন পরিস্থিতি এবং নীতি অনিশ্চয়তার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে। অর্থনীতির গতি দুর্বল হওয়ার কারণ হিসেবে আরও সমস্যার কথা জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলেছে, দেশে জ্বালানি ঘাটতিসহ সরবরাহ-সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা এবং আমদানিতে বিধিনিষেধ শিল্প কার্যক্রমকে দুর্বল করেছে। চাপ বেড়েছে মূল্যস্ফীতির। উচ্চ মূল্যস্ফীতি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে, যার ফলে মন্থর হয়ে গেছে সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি। দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ দেশে মূল্যস্ফীতি কমে এলেও বাংলাদেশে তা উচ্চ পর্যায়ে স্থির রয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমাতে আরও সংকোচনমূলক করা হয়েছে মুদ্রানীতি। তবে চলতি বছরও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হতে পারে। গত বছর দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়লেও বাংলাদেশ ও মালদ্বীপে তা কমেছে। এটি মুদ্রাবাজার চাপে থাকার প্রতিফলন। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোসহ বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে গেলে তা রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে। একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে সবেচেয়ে বেশি রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ। আর দেশের মোট পণ্য রপ্তানির প্রায় অর্ধেকই হয় ইউরোপে।  গত মাসে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমায় আইএমএফ। সংস্থাটি বলেছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে আসতে পারে ৩ দশমিক ৮ শতাংশে। এর আগে গত অক্টোবরে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ দেয় সংস্থাটি। এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অন্তর্বর্তী সরকারও জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তাঁর প্রথম বাজেট বক্তৃতায় এ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন। গতকাল প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের কারণে এ বছর গোটা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমাতে হয়েছে। কারণ অন্য দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের নীতি অনিশ্চয়তা এর বড় কারণ।    বিশ্বব্যাংক বলেছে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ার কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও শিল্প কার্যক্রম নিকট ভবিষ্যতে মন্থর থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ফের বেড়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। রাজনৈতিক স্থিতশীলতা ফিরে আসার পাশাপাশি আর্থিক খাতের সংস্কার সফল হলে, ব্যবসা পরিবেশের উন্নতি হলে ও বাণিজ্য বাড়লেই এটি সম্ভব হবে। মূল্যস্ফীতি কমে এলে সেটিও বেসরকারি ভোগ্যব্যয় বাড়াতে সহায়তা করবে।  তবে আগামী অর্থবছরেও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধি দুর্বল অবস্থানে থাকবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বেকারত্ব এখনও উচ্চমাত্রায় রয়ে গেছে। বাংলাদেশ, ভুটান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশে এটি বেড়েছে। জাগতিক / আফরোজা
জনগণের উপর ভ্যাট ও শুল্ক অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি ফখরুলের
জনগণের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক চাপিয়ে দেয়া অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।   ফখরুল বলেন, ‘চলমান অর্থনীতির সংকট চলাকালে ১০০টি পণ্যের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক আরোপ করেছে সরকার। জনজীবনে যা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’   বর্তমান রাজস্ব দিয়ে সরকার বাজেট মেটাতে পারছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তাদের দুর্নীতি, লুটপাটের কারণে কার্যত অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বর্তমান সরকার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা না করে চলতি বছরের মাঝপথে ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো, যা জনগণের ওপর চরম চাপ বাড়াবে।’   অন্তর্বর্তী সরকার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মত টাকা ছাপিয়ে অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।    তিনি বলেন, ‘এতে দেশের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। বর্তমান উচ্চমূল্যের জ্বালানি খরচ আরও বাড়বে। সেইসঙ্গে বাড়বে দৈনন্দিন সমস্ত খরচও।  যা জনগণের নাভিশ্বাস উঠবে।’   মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সর্বপ্রথম নজর দেয়া উচিৎ খরচ কমানোর দিকে। উন্নয়ন বাজেট পুনর্বিবেচনা করে অপ্রয়োজনীয় ও আর্থিকভাবে অযৌক্তিক প্রকল্পগুলো বাদ দিলে ২০ শতাংশ খরচ কমানো সম্ভব। যেখানে ৬০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে। বাজেটে ন্যূনতম ১ কোটি টাকা সাশ্রয় করা যাবে।’   বিএনপির মমহাসচিব মনে করেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ার পর বর্তমান সরকারের আন্তর্জাতিক মহলে ভাবমূর্তির কারণে সব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সাহায্যে এগিয়ে আসবে। তাই আইএমএফ থেকে ঋণ পেতে তাদের প্রদত্ত কঠিন শর্তগুলো শিথিল করার জন্য বলা যেতে পারে।’ জাগতিক / আফরোজা  
2Error!: SQLSTATE[23000]: Integrity constraint violation: 1062 Duplicate entry '0' for key 'news_id'