logo
  • বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
কানাডায় নির্বাচন শেষে ভোট গণনা চলছে
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে বার্তা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান
কাশ্মীরে ভয়াবহ হামলা ও ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে বার্তা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি দুই দেশের মধ্যকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি প্রশমনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। খবর আল আরাবিয়ার। এরদোয়ান এক সতর্কবার্তায় বলেন, যদি এখনই শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ না নেওয়া হয় তাহলে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ সংকটে রূপ নিতে পারে। তিনি উত্তেজনা প্রশমনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। সোমবার আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তা যেন দ্রুত প্রশমিত হয়- আমরা সেই কামনাই করছি। কারণ আমরা চাই না এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠুক। একই সঙ্গে ফিলিস্তিন ইস্যুতে তুরস্কের অটল অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এরদোয়ান বলেন, পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীরের মতো গাজাও ফিলিস্তিনিদেরই ভূমি। ইনশাআল্লাহ, গাজার ভাইবোনেরা সেই ভূমিতেই চিরকাল বসবাস করবেন। ইসরায়েলের অবরোধ ও সহিংসতার তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, গাজায় আরও রক্ত ঝরিয়ে, শিশু হত্যা করে এবং মানুষকে ক্ষুধা ও ওষুধের অভাবে রেখে কেউ কোনো লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না- এই বাস্তবতাটি মেনে নেওয়া উচিত।
ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে
গাজায় হামলার শিকার ৬৫ শতাংশই নারী-শিশু ও বৃদ্ধ
এবার পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ইসরায়েলি অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান রোনেন বার
জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করা মানতে পারছেন না শহিদ আফ্রিদি
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী / মোদি সরকারের যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, পুরো পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী ঐক্যবদ্ধ এবং মোদি সরকারের যেকোনো আগ্রাসনের জবাব পুলওয়ামা ঘটনার মতোই শক্তভাবে দেওয়া হবে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, রবিবার (২৭ এপ্রিল) আসিফ জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর পাশে রয়েছে এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘর্ষ আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শান্তির জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তিনি আরও জানান, বিষয়টি এরইমধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে আনা হয়েছে এবং তারা চাইলে তদন্ত ও অনুসন্ধান চালাতে পারে। তবে আসিফ হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়, আমাদের থামাতে কেউ পারবে না। তিনি আরও বলেন, যদি মোদি উত্তেজনা বাড়ানোর পথ বেছে নেন, তবে আমরা তাকে তার বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করব। আসিফ অভিযোগ করেন, মোদি মিথ্যা প্রচারণা চালানোর জন্য পরিচিত এবং পুলওয়ামা ঘটনার সময়ও একই কৌশল নিয়েছিলেন। তবে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, পাকিস্তান যথেষ্ট শক্তিশালী এবং প্রয়োজন হলে উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় গোলাগুলিতে ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। তদন্ত ছাড়াই ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকার পাকিস্তানকে দায়ী করে ৬৫ বছরের পুরনো সিন্ধু পানিবন্টন চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয়। পাকিস্তান এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) জানিয়েছে, পানি পাকিস্তানের প্রাণরসায়ন এবং এটিকে অবরুদ্ধ বা সরানো হলে তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করতে সেনা পাঠানোর কথা প্রথমবারের মত স্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করতে সেনা পাঠানোর কথা প্রথমবারের মত স্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিম জং উনের নির্দেশে উত্তর কোরিয়ার সেনারা কুর্স্ক সীমান্ত এলাকা ‘সম্পূর্ণ মুক্ত’ করতে রুশ বাহিনীকে সহায়তা করেছে। বিবিসি লিখেছে, রাশিয়ার চিফ অব স্টাফ ভ্যালেরি গিরাসিমভ রুশ বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ‘বীরত্বের’ প্রশংসা করার কয়েকদিন পর পিয়ংইয়ং যুদ্ধে নিজেদের সেনার উপস্থিতির কথা জানান দিল। আর গিরাসিমভের ওই প্রশংসার মধ্যে মস্কো প্রথমবারের মত উত্তর কোরিয়ার সেনাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। তিনি দাবি করেন, মস্কো দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় কুর্স্ক অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে; যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছে ইউক্রেইন। দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, পিয়ংইয়ং গত বছর কুর্স্কে হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছে। কেসিএনএ জানিয়েছে, পিয়ংইয়ং ও মস্কোর মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিম বলেছেন, “যারা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করেছেন তারা সবাই বীর এবং মাতৃভূমির সম্মানের প্রতিনিধি।” কেসিএনএ লিখেছে, কুর্স্কে ‘মিত্রতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ’ দেখিয়েছে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া। ‘রক্ত দিয়ে প্রমাণিত বন্ধুত্ব’ সম্পর্ক সম্প্রসারণে ‘সব উপায়ে’ ব্যাপক অবদান রাখবে। কুর্স্কে মিশন শেষ হওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার সেনাদের কী হবে তা জানায়নি কেসিএনএ। খবরে বলা হচ্ছে, কিম ও পুতিনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর হওয়ার পর অক্টোবরে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের খবর প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার বিষয় রয়েছে, যেখানে ‘আগ্রাসন’ মোকাবেলার প্রশ্নে রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিন ও কিম একে অপরের পাশে থাকতে সম্মত হয়েছেন। গত জানুয়ারিতে পশ্চিমা কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া থেকে পাঠানো ১১ হাজার সেনার মধ্যে অন্তত এক হাজার সেনা আগের তিন মাসে নিহত হয়েছে বলে তাদের বিশ্বাস। উত্তর কোরিয়া থেকে যেসব সেনা পাঠানো হয়, তারা স্টর্ম কর্পস নামে একটি এলিট ইউনিটের সদস্য। তারা আধুনিক যুদ্ধের বাস্তবতার জন্য ‘প্রস্তুত নয়’ বলে খবরে বলা হচ্ছে। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাবেক ট্যাংক কমান্ডার কর্নেল হামিশ ডি ব্রেটন-গর্ডন এ বছরের শুরুতে বলেছিলেন, “এরা রুশ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বাধীন খুব কম প্রশিক্ষিত সেনা, যাদের বোঝে না ওই কর্মকর্তারা।” এরপরও ইউক্রেনের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার জেনারেল ওলেকজান্ডার সিরস্কি এর আগে সতর্ক করে বলেছিলেন, সামনের সারিতে থাকা ইউক্রেইনীয় যোদ্ধাদের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। তিনি ইউক্রেনের টিএসএন টাইজডেন নিউজ প্রোগ্রামকে বলেছিলেন, “ওদের সংখ্যা অনেক। অতি উদ্যমী ও সুপ্রস্তুত অতিরিক্ত ১১-১২ হাজার সেনা আক্রমণ চালাচ্ছে। তারা সোভিয়েত কৌশলের ভিত্তিতে কাজ করে। তারা সংখ্যাগত শ্রেষ্ঠত্বের ওপর ভরসা করে।”
সৌদি আরবে গত এক সপ্তাহে ১৯ হাজার ৩২৮ জন অবৈধ প্রবাসীকে গ্রেপ্তার
সৌদি আরবে গত এক সপ্তাহে ১৯ হাজার ৩২৮ জন অবৈধ প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একাধিক ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে- আবাসিক আইন লঙ্ঘন, সীমান্ত নিরাপত্তা ও শ্রম আইন লঙ্ঘন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি। খবর আরব নিউজ  সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১১ হাজার ২৪৫ জনকে আবাসিক আইন লঙ্ঘন, ৪ হাজার ২৯৭ জনকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার এবং ৩ হাজার ৭৮৬ জনকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশের দায়ে ১ হাজার ৩৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ ইউথোপিয়ান, ৪৪ শতাংশ ইয়েমেনি এবং ২ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। এছাড়া ৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সৌদি থেকে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার সময়। আরও ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পরিবহন আইন লঙ্ঘন করায়। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কেউ যদি কাউকে অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশে সহযোগিতা করে এবং কাউকে পরিবহন ও আশ্রয় দেয়া হলে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে। এছাড়া ১০ লাখ সৌদি রিয়াদ জরিমানার বিধান রয়েছে। সঙ্গে তার সম্পত্তি এবং যানবাহনও বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। এছাড়া পবিত্র নগরী মক্কা এবং রিয়াদ অঞ্চলে আইনভঙ্গকারী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে টোল ফ্রি নম্বর ৯১১ এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে ৯৯৯ অথবা ৯৯৬ নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে।
নতুন হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করেছে চীন
একটি নতুন হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করেছে চীন। দেশটির গবেষকরা এটির সফল পরীক্ষাও করেছেন। এটি পারমাণবিক বোমা থেকে আলাদা কিন্তু অনেক বেশি শক্তিশালী।  এটি কিন্তু সেই পুরোনো পারমাণবিক হাইড্রোজেন বোমা নয়, এর নতুনত্ব হলো এটি ‘নন-নিউক্লিয়ার’ বা অ-পারমাণবিক। এই অভিনব অস্ত্রটি তৈরি করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় শিপবিল্ডিং কর্পোরেশন (সিএসএসসি)। আর এরি মধ্য দিয়ে বিশ্বের সামরিক শক্তির ভারসাম্যে বড় রকমের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলো চীন।  চীনের হাইড্রোজেন বোমা অস্ত্রের জন্য ব্যবহৃত টিএনটি বিস্ফোরকের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি তাপ উৎপন্ন করে। এটি চীনের সামরিক শক্তিতে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে। এই সফল পরীক্ষার পর চীনের কাছে এখন পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়াও একটি অত্যন্ত শক্তিশালী অস্ত্র জমা হলো।  বোমাটি চায়না স্টেট শিপবিল্ডিং কর্পোরেশন দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। বোমাটিতে ম্যাগনেসিয়াম থেকে তৈরি হাইড্রোজেন উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। এই উপাদানটি আগুনের গোলা তৈরি করে। এটি সাধারণ বিস্ফোরকের চেয়ে বেশি সময় ধরে জ্বলে, যা এটিকে অনেক বেশি বিপজ্জনক করে তোলে। হাইড্রোজেন বোমায় পারমাণবিক উপাদান ব্যবহার করা হয় না। চীন ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রাইড দিয়ে তৈরি দুই কিলোগ্রাম ওজনের একটি বোমা পরীক্ষা করেছে। রূপালী রঙের এই পাউডারটি প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন ধারণ করতে পারে। একটি ছোট বিস্ফোরণের মাধ্যমে জ্বলে ওঠে, যার ফলে ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রাইড দ্রুত উত্তপ্ত হয়। এটি হাইড্রোজেন গ্যাস নির্গত করে যা বাতাসের সঙ্গে মিশে গেলে পুড়ে যায়।  এটি এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রার একটি আগুনের গোলা তৈরি করে। এই আগুন দুই সেকেন্ডেরও বেশি সময় ধরে জ্বলতে পারে, যা টিএনটি-র মতো অন্যান্য বোমার তুলনায় বেশি ক্ষতি করতে পারে। গবেষক ওয়াং জুয়েফেং এবং তার দল জানিয়েছে, হাইড্রোজেন গ্যাস বিস্ফোরণের জন্য খুব কম শক্তি লাগে। এর শিখা খুব দ্রুত  এবং একটি বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই সংমিশ্রণ বিস্ফোরণের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। উৎপন্ন ভয়াবহ তাপ সহজেই বিশাল এলাকার লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন একটি হাইড্রোজেন বোমা প্রচলিত বিস্ফোরক দ্বারা চালিত হয়, তখন ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রাইড তাপ উৎপন্ন করে। এটি হাইড্রোজেন নির্গত করে, যা বাতাসের সঙ্গে মিশে যায়। যখন এই গ্যাস একটি নির্দিষ্ট স্তরে পৌঁছায়, তখন এটি জ্বলে ওঠে। এই প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে যতক্ষণ না সমস্ত জ্বালানি শেষ হয়ে যায়। গবেষকরা দেখেছেন যে চীনের এই নতুন অস্ত্রের বিস্ফোরণ টিএনটি-এর তুলনায় ৪০ শতাংশ কম। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের শক্তি ছিল ৪২৮.৪৩ কিলোপাস্কেল। এই অস্ত্রের শক্তি হল এটি যে তাপ উৎপন্ন করে যা ১,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। এই তীব্র তাপ একটি বিশাল এলাকা জুড়ে ক্ষতি করতে পারে।
আরব লীগের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া।
আরব লীগের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার এই ঘোষণা দেন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে রাশিয়া। একে একে সব ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে দেশটির। এমন পরিস্থিতিতে নতুন মিত্র সন্ধান করছে মস্কো। মূলত এ কারণেই এবার এশিয়া, আফ্রিকা ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বন্ধন দৃঢ় করার পরিকল্পনা করছেন পুতিন। ইতোমধ্যেই মস্কো সফররত ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিককে তিনি বিষয়টি অবগত করেছেন। বলে রাখা ভালো, ওমানের কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের এটাই প্রথম রাশিয়া সফর। পুতিন বলেছেন, আমাদের অনেক আরব মিত্র ওই পরিকল্পনা সমর্থন করেন। সম্মেলনে তিনি হাইথাম বিন তারিককেও আমন্ত্রণ জানান। তবে সম্মেলনের তারিখ ও স্থান সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। গাজা ও সিরিয়ার বিষয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে মস্কোতে বৈঠক করেন পুতিন। এর কিছুদিন পরই রাশিয়া সফর করলেন ওমানের সুলতান। এ থেকে স্পষ্ট যে, আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সক্ষ্যতা বাড়াতে তৎপর রুশ প্রেসিডেন্ট।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পররাষ্ট্র দফতরের শতাধিক অফিস বন্ধ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পররাষ্ট্র দফতরের শতাধিক অফিস বন্ধ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে দফতরটির প্রায় ১৫ শতাংশ কর্মী চাকরি হারাতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতি মাথায় রেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৫ শতাংশ কর্মী কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্তত ১০০টি দফতর বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি গোপন নথি দেখেছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স ও এপি। বিষয়টি মার্কিন কংগ্রেসকে অবহিত করার জন্য নথিটি তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, ৭৩৪টি অফিসের মধ্যে ১৩২টি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এরপর ১৩৭টি দফতরকে স্থানান্তরিত করা হতে পারে বলেও ওই নথিতে বলা হয়েছে। রুবিও জানিয়েছেন, “এখন মন্ত্রণালয়টি সার্বিকভাবে ছন্নছাড়া হয়ে আছে। অতি কূটনৈতিক ফাঁসে জর্জরিত। ক্ষমতার এই প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতিতে এভাবে কূটনৈতিক মিশন চালানো কঠিন, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” দূতাবাস থেকে কূটনৈতিক মিশন সমস্ত বিষয়েই এই পদক্ষেপ সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রুবিও।
ভারতের কাশ্মীরে পাহেলগাঁওয়ে অস্ত্রধারী হামলা
ভারতের কাশ্মীরে পাহেলগাঁওয়ে অস্ত্রধারী হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, এই ঘটনায় তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।  কাশ্মীরের ওই হামলায় অন্তত ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ ইসলামাবাদকে মঙ্গলবারের রক্তপাতের ঘটনা থেকে দূরে সরিয়ে রেখে এই হামলাকে ভারতের বিরুদ্ধে ‘বৃহত্তর বিদ্রোহের’ অংশ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।  পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খোয়াজা বলেন, পাহেলগাঁওয়ের হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও যোগসূত্র নেই। এখানেই থেমে থাকেননি খোয়াজা। তিনি বলেন, নাগাল্যান্ড থেকে কাশ্মীর, ছত্তীসগঢ়, মণিপুর এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে বিদ্রোহ চলছে। মনে হচ্ছে, এই হামলায় কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ নেই, বরং স্থানীয় বিদ্রোহের ফল। মঙ্গলবার পাহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করেছে, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। টিআরএফের উত্থান হয় ২০১৯ সালে। সেই সালেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবলুপ্তি হয়েছে। ঠিক সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেই পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-তাইয়েবার ছায়া সংগঠন হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। সেই সংগঠনেরই পাঁচ-ছয়জন আচমকাই মঙ্গলবার দুপুরে পাহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। অনেকেই এই হামলার নেপথ্যে পাকযোগের তত্ত্ব তুলে ধরছেন। যদিও ভারত এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কারও দিকে আঙুল তোলেনি।
2Error!: SQLSTATE[23000]: Integrity constraint violation: 1062 Duplicate entry '0' for key 'news_id'