logo
  • মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২

শিরোনাম

  •     ১৯৪৭ থেকে আজ পর্যন্ত কারও কষ্টের জন্য বিনা শর্তে ক্ষমাপ্রার্থী” — টকশোতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
  •     আমীর খসরু নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি
  •     ছলছুতোয় রাজধানীর সড়ক অবরোধ করলেই অ্যাকশন
  •     ‘যুদ্ধের ইতি আমরাই টানব’ - ট্রাম্পকে কড়া হুশিয়ারি ইরানের
  •     ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প
ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি
যুক্তরাষ্ট্রে গির্জায় বন্দুক হামলা, অন্তত চারজনের প্রাণহানি
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গ্র্যান্ড ব্ল্যাঙ্ক টাউনশিপে একটি গির্জায় বন্দুক হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় সময় ১০টা ২৫ মিনিটে চার্চ অফ জেসাস ক্রাইস্ট অফ ল্যাটার-ডে সেন্টসে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে হামলাকারীও নিহতের তালিকায় রয়েছেন। আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, খবর পাওয়ার মাত্র আট মিনিটের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গির্জার পার্কিং এলাকায় সন্দেহভাজন টমাস জ্যাকব স্যানফোর্ডকে গুলি করে হত্যা করে। প্রথমে নিহতের সংখ্যা তিনজন বলা হলেও, সর্বশেষ তথ্যে চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। তাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ প্রধান উইলিয়াম রেনেই এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “এই মুহূর্তে পুরো কমিউনিটি গভীরভাবে আহত ও শোকাহত।” ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সহায়তায় একটি হটলাইন নম্বরও ঘোষণা করা হয়েছে।
ভিয়েতনামে ঘূর্ণিঝড় ‘বুয়ালোই / আছড়ে পড়ার আগেই সরকারের বড় প্রস্তুতি
বিজয় থালাপাতির সমাবেশে পদদলিত হয়ে ৩৯ জনের মৃত্যু
গাজার একই এলাকায় দেড় মাসে ১৩৩ বার হামলা, নিহত ১৯০৩
দেখা মিললো নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর, বললেন ‘দেশ ছেড়ে পালাব না’
বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত
আগামী ২৫ বছরে বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত।  সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০২০ এই ১০ বছরে বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে বেড়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা। এই বিশ্বে মুসলিমদের জনসংখ্যা বেড়েছে ৩৪.৭ কোটি। যা অন্যসব ধর্মের মোট জনসংখ্যার বৃদ্ধির চেয়েও বেশি।  এতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের সংখ্যা যেখানে ২০১০ সালে ছিল ২৩.৯ শতাংশ, ২০২০ সালে তা হয়েছে ২৫.৬ শতাংশ। এর কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে পিউ রিসার্চ সেন্টার বলেছে, মুসলিমদের জন্মহার মৃত্যু হারের চেয়ে অনেক বেশি। তবে এই সংখ্যায় ধর্মান্তকরণের ঘটনাও রয়েছে। তবে তার পরিমাণ কম। মুসলিম জনসংখ্যার সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। পিউ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যা পৌঁছাবে ২৮০ কোটিতে। সেই হিসেবে ২০৫০ সালের মধ্যে ইন্দোনেশিয়াকে পিছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হয়ে উঠবে ভারত। অন্যদিকে পিউ’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১০-২০ সময়কালে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১২ শতাংশ, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রায় সমান। ২০২০ সালে বিশ্বে হিন্দুদের জনসংখ্যা ছিল ১২০ কোটি, যা বিশ্বের জনসংখ্যার ১৪.৯ শতাংশ।  এদিকে সবচেয়ে বেশি হিন্দু জনসংখ্যার দেশ ভারতে হিন্দুদের জনসংখ্যা কিছুটা কমেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১০ সালে ভারতে হিন্দুদের জনসংখ্যা ছিল ৮০ শতাংশ। ২০২০ সালে সেটা কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৯ শতাংশে। অন্যদিকে একই সময়ে দেশটিতে মুসলিমদের জনসংখ্যা ১৪.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.২ শতাংশে। ১০ বছরে ভারতে মুসলিমদের জনসংখ্যা ৩.৫৬ কোটি বেড়েছে বলে জানিয়েছে পিউ রিসার্চ সেন্টার। এই বৃদ্ধির জন্য অধিক প্রজননকেই দায়ী করা হয়েছে। ধর্ম পরিবর্তনের ঘটনা থাকলেও তা তুলনায় অনেক কম। প্রতিবেদনে অন্যান্য ধর্মের জনসংখ্যার বিষয়টিও সামনে আনা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এই ১০ বছরে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ২৩০ কোটি থেকে কমে ২১৮ কোটি হয়েছে। অর্থাৎ ৩০.৬ শতাংশ থেকে কমে ২৮.৮ শতাংশে নেমেছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের জনসংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বেশি মানুষের বাস চীনে। দেশটিতে জন্মহার নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ির কারণে বৌদ্ধদের সংখ্যা কমেছে। তবে চীন এখন জন্মহার বৃদ্ধির জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। আরও একটি উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো মুসলিমদের পর সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নাস্তিকদের। ২৭ কোটি বেড়ে নাস্তিকদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯০ কোটিতে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৪.২ শতাংশ মানুষ নাস্তিক।
অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি
অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন দেশটির ৬০ সংসদ সদস্য (এমপি)। চিঠিতে তারা গাজা উপত্যকার সকল ফিলিস্তিনিকে রাফার ধ্বংসস্তূপে গড়ে ওঠা একটি ক্যাম্পে জোরপূর্বক স্থানান্তরের ইসরায়েলি পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপ প্রতিহত করতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা।  বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিকে পাঠানো চিঠিতে লেবার দলের এমপিরা তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, আমরা গভীর তৎপরতা ও উদ্বেগের সঙ্গে আপনাকে লিখছি। কারণ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন- তিনি গাজার সকল ফিলিস্তিনি নাগরিককে রাফাহ শহরের ধ্বংসাবশেষে নির্মিত একটি শিবিরে জোরপূর্বক স্থানান্তর করতে চান এবং তাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেবেন না। চিঠিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, ইসরায়েলি মানবাধিকার আইনজীবী মাইকেল স্ফার্ড এই পরিকল্পনাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের একটি কার্যকর রূপরেখা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তার মতে, এটি মূলত গাজার জনসংখ্যাকে দক্ষিণ প্রান্তে ঠেলে সরিয়ে দেওয়ার পর তাদের উপত্যকা থেকে স্থায়ীভাবে বিতাড়নের প্রস্তুতি। এমপিরা স্পষ্টভাবে বলেন, এটিকে আরও সরলভাবে বলা যায়- এটি গাজায় জাতিগত নিধন। এই চিঠির আগেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে বক্তব্য রাখেন।  এই আন্তর্জাতিক অবস্থান আরও জোরালো সমর্থন পেয়েছে ব্রিটিশ এমপিদের ঐক্যবদ্ধ চিঠির মাধ্যমে। চিঠিতে এমপিরা তিনটি মূল দাবি তুলেছেন। তা হলো- ১. ইসরায়েলের রাফাহ পরিকল্পনা প্রতিহত করা। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট রূপ এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।  ২. ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া। ব্রিটেনের উচিত দেরি না করে অবিলম্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া, যা মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই শান্তির পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। ৩. আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা। ইউরোপীয় ও অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে হবে।
২০২৫ সালে থাইল্যান্ডে মাংকিপক্সে আক্রান্ত ৪০ জন, মৃত্যু ১৩
থাইল্যান্ডে ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত মাংকিপক্স (এমপক্স) আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে এসব রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। খবর গালফ নিউজের। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, আগের বছরের তুলনায় এবারের আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ২০২৪ সালে থাইল্যান্ডে মাংকিপক্সে আক্রান্ত হয়েছিল ১৭৬ জন এবং ২০২৩ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৭৬ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত মাংকিপক্সে মোট ১৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত বছরের আগস্টে ঘোষণা করেছিল যে, মাংকিপক্স এখনো বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে রয়ে গেছে এবং এই রোগ মোকাবেলায় বিদ্যমান সুপারিশগুলো আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। থাইল্যান্ডে এই ভাইরাস প্রতিরোধে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও চিকিৎসা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
পরিবারের ইচ্ছায় ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান
এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তির প্রকাশ্যে ফাঁসি কার্যকর করেছে ইরান, এমন তথ্য জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ। বিচার বিভাগের অনলাইন মাধ্যম ‘মিজান অনলাইন’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বুকানের ভুক্তভোগী পরিবার শুরু থেকেই মামলার আইনি প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল এবং তারা প্রকাশ্যে ফাঁসি কার্যকরের আবেদন জানায়। প্রদেশটির প্রধান বিচারপতি নাসের আতাবাতি বলেন, “ঘটনাটি জনমনে গভীরভাবে নাড়া দেওয়ায় মামলাটি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়।” চলতি বছরের মার্চে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়, যা পরবর্তীতে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক অনুমোদিত হয়। ইরানে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড – সাধারণত ফাঁসির মাধ্যমে – খুব একটা অস্বাভাবিক নয়, তবে সাধারণত এটি বিশেষভাবে নৃশংস বা সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেওয়া মামলাগুলোর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সূত্র জানায়, ধর্ষণ ও হত্যার মতো অপরাধ ইরানে মৃত্যুদণ্ডযোগ্য এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে ইরান বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে, চীনের পরেই।
ইউক্রেনে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতভর চলা এই আকাশ হামলায় রাশিয়া ব্যবহার করেছে ৭২৮টি ড্রোন ও ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র। ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী একে ‘এখন পর্যন্ত একদিনে সবচেয়ে বড় আকাশ হামলা’ বলে উল্লেখ করেছে। খবর শাফাক নিউজের। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সূত্র জানায়, হামলায় ইরানীয় তৈরি শাহেদ ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ২৯৬টি ড্রোন ও সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ারের মাধ্যমে আরও ৪১৫টি ড্রোন নিখোঁজ হয়ে যায় বলে জানানো হয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এটি আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আকাশ হামলা। এই হামলা প্রমাণ করে, আমাদের আরও শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা দরকার। সেই সঙ্গে রাশিয়ার তেল রপ্তানি ও যুদ্ধ অর্থায়নের বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জরুরি।” তিনি জানান, হামলার মূল লক্ষ্য ছিল লুতস্ক শহর। পাশাপাশি কিয়েভ, খারকিভ, দিনিপ্রো, মাইকোলাইভ ও সুমি অঞ্চলেও হামলা চালানো হয়। কিয়েভ অঞ্চলে বেসামরিক হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ইউক্রেনের ছোড়া ৮৬টি ড্রোন তারা প্রতিহত করেছে। এসব ড্রোন ছয়টি অঞ্চলে হামলার আগেই ধ্বংস করা হয়। মস্কোর আকাশে চারটি ড্রোন আটকানো হয় বলে জানানো হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে শেরেমেতইয়েভো ও কালুগা বিমানবন্দরের ফ্লাইট সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে। হামলায় একটি হাসপাতাল ও আবাসিক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ইউক্রেন এখনও এই অভিযোগ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এই ভয়াবহ হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য নতুন সামরিক সহায়তা ও বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাঠানোর ঘোষণা দেন। পাশাপাশি রাশিয়ার তেল ও গ্যাস খাতে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে মত দেন তিনি। ট্রাম্পের বিশেষ দূত এই সপ্তাহে রোমে একটি ইউক্রেনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, শুধু জুন মাসেই রাশিয়া ৫ হাজার ৪০০টি ড্রোন ও ২৩৯টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে—যা এই যুদ্ধের নতুন রেকর্ড। পশ্চিমা সহায়তায় ইউক্রেন এখন নিজস্ব ড্রোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উৎপাদন বাড়াচ্ছে। সামরিক বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, রাশিয়া শিগগিরই এক রাতে এক হাজারের বেশি ড্রোন হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করতে পারে—যা যুদ্ধের ধারাকেই আরও ভয়াবহ করে তুলবে।
গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠকে কী হলো
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে গাজা যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় ৯০ মিনিট আলোচনা করেন। তবে আলোচনাটি কোনো যৌথ বিবৃতি বা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়। ট্রাম্প এর আগে গাজা সংকটকে ‘একটি ট্র্যাজেডি’ বলে আখ্যায়িত করে জানিয়েছিলেন, তার প্রশাসন টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তবে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি, নিরাপত্তা কাঠামো এবং গাজার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ওয়াশিংটন ও তেলআবিবের অবস্থানে এখনও মতপার্থক্য রয়ে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে কাতারের রাজধানী দোহায় ৬ জুলাই থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছে। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় চলমান এই আলোচনায় মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের খসড়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি, জিম্মি মুক্তি এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, গাজায় তাদের অভিযান এখনো শেষ হয়নি। তিনি বলেন, “আমাদের কাজ এখনো বাকি। সব জিম্মিকে মুক্ত করতে হবে এবং হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ধ্বংস করতে হবে।” ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে নেতানিয়াহু চরম চাপের মুখে রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ, আন্তর্জাতিক সমীকরণ ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির জটিলতায় চূড়ান্ত সমাধানে পৌঁছানো নেতানিয়াহুর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সৌদিতে ১৭ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
সৌদি আরবে চলমান ধরপাকড় অভিযানে এক সপ্তাহে ১৭ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। ২৬ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে মোট ১৭ হাজার ৮৬৩ জনকে আটক করা হয়। সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে গালফ নিউজ। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, এসব প্রবাসীর বিরুদ্ধে আবাসন, শ্রম এবং সীমান্ত সুরক্ষা আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১০ হাজার ৭৪৬ জন আবাসন আইন, ৪ হাজার ৩৬২ জন সীমান্ত আইন এবং ২ হাজার ৭৫৫ জন শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন বলে জানানো হয়েছে। অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টাকালে আরও ১ হাজার ৫০৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ ইথিওপিয়ান, ৩৩ শতাংশ ইয়েমেনি এবং বাকি অংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৮ হাজার ৫১ জনকে ইতোমধ্যেই নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অভিযানের সময় আবাসন ও কর্মসংস্থান আইন লঙ্ঘনকারীদের আশ্রয় ও পরিবহন দেওয়ার দায়ে সৌদি নাগরিকসহ ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে ১৩ হাজার ৩৬২ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান, যাদের মধ্যে ১১ হাজার ৮৭৪ জন পুরুষ এবং ১ হাজার ৪৮৮ জন নারী। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৬ হাজার ৮৩৯ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিজ নিজ দেশের কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আরও ২ হাজার ৩৯২ জনকে ফেরত পাঠানোর চূড়ান্ত নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসনে সহযোগিতা করলে ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। দেশটির ৩ কোটি ৪৮ লাখ জনগণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ অভিবাসী শ্রমিক, যাদের মধ্যে অনেকে অনিয়মিতভাবে অবস্থান করছেন। এসব অনিয়ম ঠেকাতে সৌদি সরকার নিয়মিত ধরপাকড় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
2Error!: SQLSTATE[HY000]: General error: 1366 Incorrect integer value: '' for column 'news_id' at row 1