logo
  • বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩১ আশ্বিন ১৪৩২

বিশ্বে সামরিক ব্যয়ের সমালোচনার পর দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:২৬

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম (ডব্লিউএফএফ)-এ অংশগ্রহণ শেষে আজ (১৫ অক্টোবর) সকালে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে প্রধান উপদেষ্টা সকাল ৮টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তিনি রোমে অনুষ্ঠিত ফোরামে অংশ নিতে দুই দিনের সরকারি সফরে গিয়েছিলেন ।

গত ১৩ অক্টোবর রোমে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ইউনূস। সেখানে তিনি বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান—ক্ষুধা ও যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে এবং সামরিক ব্যয়ের পরিবর্তে মানবকল্যাণে বিনিয়োগ করতে হবে।

তিনি বলেন, “আমরা যখন ক্ষুধা দূর করতে কয়েক বিলিয়ন ডলার তুলতে পারি না, তখনই পৃথিবী অস্ত্র কেনায় ব্যয় করছে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। এটিই কি আমাদের অগ্রগতির সংজ্ঞা?”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০২৪ সালে বিশ্বের ৬৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত, অথচ এটি খাদ্য ঘাটতির নয়, বরং অর্থনৈতিক কাঠামোর ব্যর্থতা এবং নৈতিকতার অবক্ষয়ের ফল। তার মতে, বর্তমান মুনাফাভিত্তিক অর্থনৈতিক কাঠামোকে নতুনভাবে ভাবতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, মানবকল্যাণে কাজ করতে হলে ‘সামাজিক ব্যবসা’ (Social Business) মডেলে রূপান্তর জরুরি—যেখানে ব্যক্তিগত লাভ নয়, সামাজিক সমস্যার সমাধানই হবে প্রধান লক্ষ্য। তিনি ‘থ্রি-জিরো ওয়ার্ল্ড’ অর্জনের ডাক দেন—
১. সম্পদের ঘনত্ব শূন্যে নামানো,
২. বেকারত্ব শূন্যে আনা,
৩. কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামানো।

রোমে আয়োজিত ফোরামে ড. ইউনূস বৈশ্বিক রূপান্তরের জন্য ছয়টি পদক্ষেপের কথা বলেন—
১. যুদ্ধ বন্ধ করে ক্ষুধা-সংঘাতের চক্র ভাঙা,
২. টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জনে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি পূরণ,
৩. আঞ্চলিক খাদ্যভান্ডার গঠন করে সংকট মোকাবিলা,
৪. খাদ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বন্ধ,
৫. গ্লোবাল সাউথের জন্য প্রযুক্তি সহজপ্রাপ্য করা,
৬. সামাজিক ব্যবসা তহবিল ও কৃষি-উদ্ভাবন কেন্দ্রের মাধ্যমে তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা।

রোমে এফএও সদর দপ্তরে পৌঁছালে পরিচালক জেনারেল কু দংইউ (Qu Dongyu) ড. ইউনূসকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ।

প্রধান উপদেষ্টা এসময় বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের অবদান ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় অংশগ্রহণ নিয়ে আমরা গর্বিত।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আরও পড়ুন
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৩ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১৬০ জন, আহত ৮ হাজারের বেশি
“দুই বছরের অন্ধকারের পর এটি কিছুটা আশার আলো ছড়িয়েছে”
জুলাই সনদ সই হবে ১৭ অক্টোবর
তহবিল সংকটে ২৫ শতাংশ শান্তিরক্ষী কমাবে জাতিসংঘ
12