“দুই বছরের অন্ধকারের পর এটি কিছুটা আশার আলো ছড়িয়েছে”

গাজার বন্দিরা ইসরায়েলি কারাগারে ক্ষুধা ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতার, মিসর ও তুরস্কের নেতাদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর বলেছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করবেন।
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্ত ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছেন, তাদের মারধর ও অপমান করা হয়েছে। একজন সাবেক বন্দি ইসরায়েলের ‘ওফার’ কারাগারকে “কসাইখানা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের পরও ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি এখনো অবৈধভাবে ইসরায়েলে আটক রয়েছেন। চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ১,৯৬৮ জন ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
গত দুই বছরে ইসরায়েলি কারাগারে অন্তত ৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আর বর্তমানে ৩৬০ শিশু এখনো আটক রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশের অনুমতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা “ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের বীরত্বপূর্ণ কাজকে তুলে ধরতে এবং শ্রদ্ধা জানাতে” সাহায্য করতে পারেন। লাজারিনি আরও বলেন, এখন সময় এসেছে গাজায় শিক্ষা ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার। তিনি শান্তি, ন্যায়বিচার ও পারস্পরিক স্বীকৃতির আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি পরিবারের পুনর্মিলনকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “দুই বছরের অন্ধকারের পর এটি কিছুটা আশার আলো ছড়িয়েছে।”
মন্তব্য করুন