জুলাই সনদকে গণপ্রতারণা আখ্যা দিল এনসিপি
জুলাই সনদ স্বাক্ষরকে কেবলই আনুষ্ঠানিকতা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, এই সনদের কোনো আইনি ভিত্তি না থাকলে এর কোনো মূল্য বা অর্থ থাকবে না। তাই এনসিপি এই আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেয়নি।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ৯০–এর গণ-অভ্যুত্থানের পর তিন দলের রূপরেখা যেমন রক্ষা করা হয়নি, তেমনি এখনো আইনি ভিত্তি ছাড়া নতুন কোনো রাজনৈতিক সমঝোতা অর্থহীন। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে পুরোনো ফ্যাসিস্ট কাঠামো বজায় রাখার চেষ্টা চলছে।
তার দাবি, কিছু রাজনৈতিক দল ফ্যাসিস্ট কাঠামোর সুবিধাভোগীদের চাপে আপস করেছে। তবে এনসিপি এবং আরও কয়েকটি দল ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপেই সরকার ঐকমত্য কমিশন গঠন ও জুলাই সনদ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা ৯০–এর মতো পুনরাবৃত্তি চাই না। এবার জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রতারণা হতে দেব না।” তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি তখনই হবে, যখন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস একটি আদেশ জারি করবেন এবং তার ভিত্তিতে গণভোট ও নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সদস্যসচিব আখতার হোসেন জানান, এনসিপি জুলাই সনদকে আইনি বৈধতা দেওয়ার দাবিতে রাজপথে কর্মসূচি নিয়েছে। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনে এনসিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, যদিও শুরুতে অনেক দল এটি কেবল রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল হিসেবেই রাখতে চেয়েছিল।
উল্লেখ্য, শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে ‘জুলাই যোদ্ধা’দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২৭ জন আহত হন।
শেষ পর্যন্ত বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ২৪টি দল জুলাই জাতীয় সনদে সই করে। তবে এনসিপি, সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাসদ ও গণফোরাম সনদে সই করেনি। দলগুলো চাইলে পরেও এতে সই করতে পারবে।
মন্তব্য করুন