logo
  • সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

শিরোনাম

  •     ১৯৪৭ থেকে আজ পর্যন্ত কারও কষ্টের জন্য বিনা শর্তে ক্ষমাপ্রার্থী” — টকশোতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
  •     আমীর খসরু নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি
  •     ছলছুতোয় রাজধানীর সড়ক অবরোধ করলেই অ্যাকশন
  •     ‘যুদ্ধের ইতি আমরাই টানব’ - ট্রাম্পকে কড়া হুশিয়ারি ইরানের
  •     ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প

গোলাম মাওলা রনি

‘বর্তমানে ডাস্টবিন শব্দটি রাজনীতির সঙ্গে ম্যাচ করেছে’

অনলাইন ডেস্ক
  ২৯ জুন ২০২৫, ১২:১৪
সংগ্রহীত

সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, বর্তমান সময়ের রাজনীতি এক নতুন মানসিক ভাষায় রূপ নিচ্ছে, যার প্রতীকি রূপ হয়ে উঠেছে শব্দ যেমন—‘ডাস্টবিন’, ‘সান্ডা’, ‘নিমডা’। তিনি মনে করেন, এসব শব্দের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের ওপরই আগামী দিনের রাজনীতির গতি ও প্রকৃতি নির্ভর করবে।

সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে রনি বলেন, “বর্তমানে ‘ডাস্টবিন’ শব্দটি রাজনীতির সঙ্গে ভীষণভাবে মিলে গেছে। কোনো রাজনীতিবিদকে অপছন্দ হলে তার নামের সঙ্গে ‘ডাস্টবিন’ যুক্ত করে নানা ব্যঙ্গাত্মক স্লোগান তোলা হচ্ছে। শুধু দেশের ভিতরেই নয়, প্রবাসী বাঙালিরাও এই ভাষা ব্যবহার করছেন।”

তিনি আরও বলেন, "ডাস্টবিনের পরে এখন আরেকটি প্রচলিত শব্দ হচ্ছে 'সান্ডা'। মরু অঞ্চলে বসবাসকারী, দেখতে অরুচিকর এই প্রাণীটিকে অনেকে ব্যঙ্গ করে ব্যবহার করছেন। কেউ অপছন্দ হলে বলা হচ্ছে—সে একটা সান্ডা। যেন মানুষটিকে এই প্রাণীর চেয়েও নিচে নামিয়ে ফেলা হচ্ছে।"

রনি আরও তুলে ধরেন ‘নিমডা’ শব্দটির রাজনৈতিক ব্যবহার। বাহুবলী সিনেমার একটি ডায়লগ থেকে নেওয়া এই শব্দটির অর্থ—‘তোমাকে শেষ করে দেবো’। বর্তমানে এটি রাজনৈতিক ব্যঙ্গের নতুন অস্ত্র হয়ে উঠেছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, “ঢাকার দক্ষিণ সিটির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন যখন বলেন, ‘সরকার আমাকে শপথ না পড়ালে আমি নিজেই পড়বো’, তখন একদল যুবক তাকে লক্ষ্য করে ‘নিমডা’ শব্দটি ছুঁড়ে দিচ্ছে। এটা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ইশরাককে দেখলেই প্রতিপক্ষের কেউ না কেউ ‘নিমডা’ বলে উঠছে।”

তিনি আরও জানান, ‘টেলমি’, ‘মইনুস সুকুর’—এই ধরনের কথাও এখন রাজনীতিতে প্রবেশ করছে, যেগুলোর ভিত্তি মূলত সামাজিক মিডিয়া সংস্কৃতি ও তরুণদের স্যাটায়ার প্রবণতা।

রনি বলেন, “রাজনীতির ভাষা এখন আর কেবল বক্তৃতা-স্লোগানে সীমাবদ্ধ নেই। এটা একটা মানসিক খেলায় পরিণত হয়েছে। আগামী পাঁচ বা দশ বছর পর রাজনীতির কী রূপ হবে, তা এখনকার এই ‘ভাষা প্রবাহ’ বিশ্লেষণ করলেই অনুমান করা সম্ভব।”

এই ব্যতিক্রমী বিশ্লেষণে রনি রাজনীতির প্রচলিত ধারা থেকে সরে এসে এক নতুন বাস্তবতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন—যেখানে ভাষা, ব্যঙ্গ, স্যাটায়ার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই হয়ে উঠছে মূল হাতিয়ার।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
12