ফিলিপিন্সের মধ্যাঞ্চলে টাইফুন কালমায়েগির তাণ্ডব, নিহত ২
ফিলিপিন্সের মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে টাইফুন কালমায়েগি। ঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে, তলিয়ে গেছে বহু এলাকা। এখন পর্যন্ত অন্তত দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাতের কিছু আগে ফিলিপিন্সে আঘাত হানে টাইফুনটি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে এটি সেবু ও নেগরোস দ্বীপ অতিক্রম করে। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৫০
কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছায়।
ঝড়টি আঘাত হানার আগে থেকেই ফিলিপিন্স সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়। উপকূলীয় অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এশিয়া অঞ্চলে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোকে ‘টাইফুন’ বলা হয়। কালমায়েগি ছিল চলতি বছরে ফিলিপিন্সে আঘাত হানা ২০তম টাইফুন। দেশটির মধ্যাঞ্চল তছনছ করে এখন এটি ধীরে ধীরে পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরের দিকে টাইফুনটি ফিলিপিন্সের পশ্চিমাঞ্চল থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে অগ্রসর হবে।
এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঝড়ের তাণ্ডবে বহু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে এবং প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। কিছু এলাকায় গাড়ি ভেসে গেছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, এবং বহু মানুষ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়েছেন।
সেবুর তথ্য কর্মকর্তা রন রামোস জানিয়েছেন, “অনেক মানুষ এখনো ছাদের ওপর আটকা পড়ে আছেন, উদ্ধারকর্মীদের অপেক্ষায়। এমনকি কিছু আশ্রয়কেন্দ্রেও পানি ঢুকে পড়েছে।”
সেবু সিটির বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সি ডন ডেল রোসারিও বলেন, “আমরা পুরো পরিবার নিয়ে বাড়ির উপরের তলায় আশ্রয় নিয়েছি। রাত ৩টার দিকে পানি উঠতে শুরু করে, আর এক ঘণ্টার মধ্যে তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কেউ ঘর থেকে বের হতেও
পারেনি।”
মন্তব্য করুন



