ফিলিস্তিনিদের নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস করায় ইসরায়েলি প্রসিকিউটর গ্রেপ্তার
		
		
		
		
		কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের নির্যাতনের ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় ইসরায়েলের সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর ইফাত টোমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সোমবার (৩ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইটামার বেন গাভির।
ভিডিও ফাঁসের ঘটনার সূত্রপাত গত বছর। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে সেনারা এক ফিলিস্তিনি বন্দিকে নির্যাতন করছে। ২০২৪ সালে ভিডিওটি প্রকাশের পর পাঁচজন রিজার্ভ সেনাকে অভিযুক্ত করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল— বন্দির শরীরে, বিশেষ করে মলদ্বারের কাছে ধারালো বস্তু ব্যবহার করে নির্যাতন চালানোর।
গত রবিবার টোমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং এরপর কয়েক ঘণ্টা নিখোঁজ থাকেন। এ সময় ইসরায়েলি গণমাধ্যমে তার আত্মহত্যার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরে জানা যায়, তিনি পুলিশ হেফাজতে আছেন।
শুক্রবার প্রকাশিত তার পদত্যাগপত্রে টোমার-ইয়েরুশালমি স্বীকার করেন, ভিডিওটি তার অফিস থেকেই গণমাধ্যমে ফাঁস হয়েছিল। এতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী বেন গাভির জানান, “কারাগার পরিষেবাকে এখন অতিরিক্ত সতর্কতা নিতে হবে, যাতে আটক কেন্দ্রে থাকা বন্দিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।” তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রয়োজন, কারণ এটি আইডিএফ সেনাদের বিরুদ্ধে রক্তচোষা মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করেছে।”
চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের সন্দেহ, টোমার-ইয়েরুশালমি আত্মহত্যার ভান করেছিলেন নিজের ফোন ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে, কারণ সেখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে। কিছু গণমাধ্যম দাবি করেছে, তিনি একটি চিঠিও রেখে গেছেন, যা আত্মহত্যার নোট হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ভিডিও ফাঁসের ঘটনাটি এখনো তদন্তাধীন, এবং টোমার-ইয়েরুশালমি সেই তদন্ত চলাকালীনই পদত্যাগ করেছেন।
মন্তব্য করুন

