‘শাপলা কলি’ প্রতীকেই নির্বাচনে যাবে এনসিপি, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক মেনে নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। পাশাপাশি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
তিনি বলেন, “আমরা শাপলা কলি নেব। শাপলা নিয়ে এখনো ব্যাখ্যা পাইনি, তবে নির্বাচনের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন আর প্রতীক নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ঢুকতে হবে।”
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী দাবি করেন, ‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিয়েও জনগণের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে এনসিপি। তাঁর ভাষায়, “শাপলা কলি প্রতীক শাপলার চেয়েও একধাপ এগিয়ে। এখানে শাপলাও আছে, কলিও আছে—অর্থাৎ উন্নয়নের ধারাবাহিকতাই এতে প্রকাশ পায়।”
এনসিপি নেতা আরও বলেন, “দেশের যেকোনো প্রান্তের মানুষ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলে আমরা তা বিবেচনা করব। ৩০০ আসনেই আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।”
বৈঠকে নাসীরুদ্দীনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পলিসি অ্যান্ড রিসার্চ লিড খালেদ সাইফুল্লাহ এবং যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জহিরুল হক মুসা বলেন, “ইসি যে নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে শাপলা কলি যুক্ত হয়েছে। আমরা তালিকা অনুযায়ী প্রতীক বেছে নিয়েছি—প্রথমে শাপলা, দ্বিতীয়তে সাদা শাপলা এবং তৃতীয়তে শাপলা কলি। এর মধ্যে শাপলা কলি পেলে আমরা সেটিই মেনে নেব।”
এনসিপি এরই মধ্যে প্রতীক অনুমোদনের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দিয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে শাপলা, সাদা শাপলা ও শাপলা কলি—এই তিন প্রতীক প্রস্তাব করা হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ‘শাপলা’ প্রতীক নির্বাচন পরিচালনা বিধিতে না থাকায় তা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে নতুন গেজেট অনুযায়ী ‘শাপলা কলি’ প্রতীক তালিকায় যুক্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে নিবন্ধিত দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য প্রতীকের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে নতুন প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা কলি’ যুক্ত হয়।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী নির্বাচন কমিশনকে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং কমিশন’ বলে অভিহিত করে বলেন, “এখানে অনেক কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে। আমরা জনগণের স্বার্থে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে দেশে ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে, আর বিএনপির নেতৃত্বে চলছে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস। আমরা কারও সঙ্গী হব না।”
এনসিপি আশা করছে, দ্রুততম সময়ে তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন—যাতে তারা পূর্ণ প্রস্তুতিতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।
মন্তব্য করুন





