শাহরুখ খানের পাঁচ অবিস্মরণীয় চরিত্র
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিউডে রাজত্ব করছেন শাহরুখ খান। নব্বইয়ের দশকে চলচ্চিত্রে পা রেখে তিনি পেয়েছেন একের পর এক সাফল্য, অর্জন করেছেন ‘বলিউড বাদশাহ’, ‘কিং খান’ ও ‘রোমান্স কিং’-এর মতো উপাধি। রোমান্টিক হিরো থেকে প্রতিশোধপরায়ণ নায়ক—সব চরিত্রেই তিনি অনন্য। তবে তাঁর ক্যারিয়ারের পাঁচটি চরিত্র আজও ভক্তদের হৃদয়ে অমর হয়ে আছে।
অজয় শর্মা – বাজিগর
‘বাজিগর’ (১৯৯৩) সিনেমায় প্রতিশোধপরায়ণ অজয়ের চরিত্রে অভিনয় করে শাহরুখ খান প্রথমবারের মতো ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান। এই চরিত্রে তাঁর ঠাণ্ডা মাথার প্রতিশোধস্পৃহা প্রমাণ করে—নায়ক বা খলনায়ক, পর্দার রাজা একটাই নাম—শাহরুখ খান।

রাজ মালহোত্রা – দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেমের গল্পগুলোর একটি ‘ডিডিএলজে’। ছবিতে রাজের চরিত্রে শাহরুখের হাস্যরস, রোমান্স ও আবেগ মিলেমিশে তৈরি করেছে এক চিরকালীন নায়ক। জানা যায়, প্রথমে তিনি ছবিতে অভিনয় করতে রাজি ছিলেন না, পরে পরিচালক আদিত্য চোপড়ার অনুরোধে মত বদলান—আর তাতেই জন্ম নেয় এক অনন্ত প্রেমকাহিনি।

দেবদাস মুখার্জি – দেবদাস
সারাটাজীবন ভালোবাসা ও অভিমান নিয়ে লড়াই করা এক মানুষ—দেবদাস। পার্বতী আর চন্দ্রমুখীর মধ্যে দোদুল্যমান এই চরিত্রে শাহরুখের অভিনয় ছিল গভীর ও হৃদয়স্পর্শী। মৃত্যুর মুহূর্তে প্রিয়জনের দরজায় পৌঁছে গিয়েও তার স্পর্শ না পাওয়া—এই ট্র্যাজেডিই শাহরুখের দেবদাসকে অমর করে তুলেছে।

ডন – ডন (২০০৬) ও ডন ২ (২০১১)
অমিতাভ বচ্চনের কিংবদন্তি চরিত্র ‘ডন’-এর পুনর্জন্ম ঘটান শাহরুখ খান। ফারহান আখতারের পরিচালনায় ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডন’ এবং ২০১১ সালের সিক্যুয়েল ‘ডন ২’-এ তিনি আধুনিক, রোমাঞ্চকর রূপে হাজির হন। রহস্য, শক্তি আর স্টাইলের মিশেলে শাহরুখের এই ডন একেবারে নতুন মাত্রা যোগ করে বলিউডে।

বিক্রম রাঠোর ও আজাদ রাঠোর – জওয়ান
অ্যাটলির পরিচালনায় ‘জওয়ান’ (২০২৩) শাহরুখের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সাফল্য। এখানে তিনি অভিনয় করেছেন বাবা ও ছেলের দ্বৈত চরিত্রে—বিক্রম রাঠোর ও আজাদ রাঠোর। শক্তিশালী গল্প, আবেগ ও অ্যাকশনে ভরপুর এই সিনেমায় শাহরুখের বহুমাত্রিক পারফরম্যান্স দর্শকদের মুগ্ধ করে। এই ছবির জন্যই তিনি প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

তিন দশকের চলচ্চিত্রজীবনে শাহরুখ খান শুধু নায়ক নন, তিনি নিজেই এক প্রতিষ্ঠান—আর এই পাঁচটি চরিত্রই প্রমাণ করে কেন তাঁকে বলা হয় ‘বলিউড বাদশাহ’।
মন্তব্য করুন

