চার মাসে ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রেমিট্যান্স প্রবাহ
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রবাহ অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই–অক্টোবর) বাংলাদেশে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময়ে প্রবাসীরা মোট ১ হাজার ১৫ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৮৯৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরে বেড়েছে ১২১ কোটি ডলার, যা ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, গত অক্টোবর মাসে এক মাসেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২৫৬ কোটি ডলার। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় এটি প্রায় ১৭ কোটি ডলার বেশি, যদিও সেপ্টেম্বরের তুলনায় কিছুটা কম—প্রায় ১২ কোটি ডলার।
সরকার পতনের পর থেকে অর্থপাচারে কড়াকড়ি আরোপ করায় হুন্ডির প্রবণতা কমেছে। ফলে প্রবাসী আয়ের বড় অংশ আসছে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে। এতে করে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে। বর্তমানে ডলারের দর ১২২ থেকে ১২৩ টাকার মধ্যে রয়েছে।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি আয়ও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যেখানে গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ক্রমে বাড়ছে। বিপিএম৬ অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে, আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব অনুযায়ী তা ৩২ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার—যা গত ৩১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সময় রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে (বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী)।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশাবাদী, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং ডলারের দরে স্থিতিশীলতা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মূল্যস্ফীতি কমে আসার অন্যতম কারণ হিসেবেও ধরা হচ্ছে ডলার বাজারে এই ভারসাম্য ও আমদানিতে স্বস্তিকর পরিস্থিতিকে।
মন্তব্য করুন





