logo
  • বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২

এ মাসেই চূড়ান্ত হবে বিএনপির ২০০ আসনের প্রার্থী

অনলাইন ডেস্ক
  ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৫৪

অক্টোবরের মধ্যেই ২০০ আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে বিএনপি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীদের তালিকা নির্ধারণে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে দলটি। গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

দলীয় সূত্র জানায়, তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে পাঁচটি জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের মতামত নেওয়া হয়েছে। এসব বিবেচনায় প্রায় ১৫০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি আসনগুলোর ক্ষেত্রে কোন্দল ও একাধিক প্রার্থী থাকায় সাংগঠনিক উদ্যোগে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একাধিক নেতার পরামর্শে বিভ্রান্তি এড়াতে প্রার্থিতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাব উঠেছে। তারা মনে করছেন, এতে মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা স্পষ্ট হবে এবং কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ বাড়বে।

বিএনপি এখন গোপনীয়ভাবে আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দিচ্ছে। তবে এ প্রক্রিয়ায় অন্য প্রার্থীদের না জানানোয় কিছু এলাকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য নেতারা মনে করছেন, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলে মাঠপর্যায়ে বিভাজন কমবে।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উদ্যোগে তৈরি হওয়া “ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল” নিয়েও আলোচনা হয়। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, ওই তালিকার অনেক কর্মকর্তা ছাত্রজীবনে জামায়াতপন্থি ছিলেন। এতে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। তাই দলটি ইসিকে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিএনপি প্রতিনিধি দল।

বৈঠকে প্রশাসনে পক্ষপাতমূলক পদায়ন ও “জামায়াতীকরণ” নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন নেতারা। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে কিছু উপদেষ্টা প্রভাব খাটাচ্ছেন। এ বিষয়ে সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি নেতারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে আলোচনা করে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনী প্রচারণায় ধর্মকে ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিরোধিতা করবে বিএনপি। এ ক্ষেত্রে দলের নারী সংগঠনগুলোকে মাঠে নামানো হবে। তারা প্রচারে জানাবে, ধর্ম নয়—গণতন্ত্রই উন্নয়নের ভিত্তি।

জেন-জি প্রজন্মকে টানতে ছাত্র ও যুব সংগঠনকে সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তরুণদের চাহিদা বিবেচনায় দলীয় প্রচারণায় কর্মসংস্থান, কৃষক কার্ড ও অর্থনৈতিক সুযোগের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এক বছরের মধ্যে এক কোটি তরুণের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হবে।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খানসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
12