আগামী বছর ২৮ লাখ টন জ্বালানি তেল কিনবে সরকার

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে আগামী বছর ২৮ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দরপত্র ছাড়াই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডাইরেক্ট পারচেজ মেথড) এ তেল কেনা হবে।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) জানায়, ২০১৬ সাল থেকে জ্বালানি তেলের অর্ধেক জি-টু-জি (সরকারে সরকার) ভিত্তিতে এবং বাকি অর্ধেক আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের জন্য জি-টু-জি ভিত্তিতে আমদানির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে—
-
গ্যাস অয়েল: ১৯ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন
-
জেট এ-১: ৩ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন
-
গ্যাসোলিন (অকটেন): ১ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন
-
ফার্নেস অয়েল: ৩ লাখ মেট্রিক টন
-
মেরিন ফুয়েল: ৩০ হাজার মেট্রিক টন
মোট ৮টি দেশের ১০টি প্রতিষ্ঠান থেকে এসব তেল সরবরাহ করা হবে।
এছাড়া বৈঠকে ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রবর্তন’ প্রকল্পে ১ কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল এবং ৫৭ লাখ উন্নত বুকলেট কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। তাদের কাছ থেকেই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এসব উপকরণ কেনা হবে।
প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত। প্রস্তাবিত ক্রয়ের খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৯২ কোটি ৩২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
বৈঠকে জানানো হয়, ভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এ ধরনের প্রযুক্তিনির্ভর সেবা কিনলে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই ভেরিডোসের কাছ থেকেই ক্রয় করা যৌক্তিক হবে বলে কমিটি মত দিয়েছে।
মন্তব্য করুন