logo
  • রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর খুলনায় চালু হচ্ছে নতুন আধুনিক কারাগার

অনলাইন ডেস্ক
  ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৭
জাগতিক

দীর্ঘ ১৪ বছর অপেক্ষার পর অবশেষে খুলনায় চালু হতে যাচ্ছে নতুন জেলা কারাগার। আজ (১ নভেম্বর) ১০০ জন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। ধাপে ধাপে আরও বন্দিদের স্থানান্তর করা হবে।

খুলনা সিটি বাইপাস সড়কে প্রায় ৩০ একর জমির ওপর নির্মিত এ আধুনিক কারাগারের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১১ সালে একনেক অনুমোদনের পর। ২০১৬ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আটবার সময় বাড়ানো হয় এবং দুই দফা সংশোধনের পর প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৮৮ কোটি টাকায়।

নতুন কারাগারটি নির্মিত হয়েছে আধুনিক সংশোধনাগার হিসেবে। এখানে বন্দিদের শাস্তির পাশাপাশি সংশোধনের সুযোগও রাখা হয়েছে। কারাগারে রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, সুসজ্জিত মসজিদ, প্রশস্ত সড়ক ও প্যারেড গ্রাউন্ড, এবং নিরাপত্তা জোরদারে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ দেয়াল। বন্দিদের জন্য আলাদা ব্যারাক, ওয়াচ টাওয়ার, কারারক্ষীদের আবাসিক কোয়ার্টার, স্কুল, লাইব্রেরি, ডাইনিং, সেলুন ও লন্ড্রির ব্যবস্থা রয়েছে। নারী ও কিশোর বন্দিদের জন্য পৃথক ভবন, ৫০ শয্যার হাসপাতাল, মোটিভেশন সেন্টার, ওয়ার্কশেড এবং শিশু ডে-কেয়ার সেন্টারও নির্মিত হয়েছে।

কারা সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণাঙ্গ জনবল না পাওয়া পর্যন্ত আপাতত পুরুষ হাজতি, নারী ও কিশোরী বন্দিদের ব্যারাক চালু থাকবে। প্রথম পর্যায়ে সাজাপ্রাপ্ত ১০০ বন্দিকে সেখানে রাখা হবে। নতুন কারাগারে বন্দিদের স্থানান্তরের ফলে আদালতে আনা-নেওয়ার ঝামেলা কমবে বলে কর্মকর্তারা আশা করছেন।

খুলনা জেলার মুনীর হোসাইন জানান, নতুন কারাগারে প্রাথমিকভাবে ৭০ জন কারারক্ষী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ১ নভেম্বর বন্দিদের সঙ্গে আরও ২০ জনকে সেখানে পাঠানো হবে। বর্তমানে খুলনা কারাগারে এক হাজার ৪০০-এর বেশি বন্দি রয়েছে; নতুন কারাগার চালু হলে এ চাপ কিছুটা কমে যাবে।

গণপূর্ত বিভাগ–২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, মোট ৫৭টি স্থাপনার মধ্যে বন্দিদের থাকার ১১টি ভবনসহ সবকিছুই কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

খুলনা জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান জানান, দুটি কারাগার চালাতে ৬০০ জন জনবল প্রয়োজন হলেও বর্তমানে আছে মাত্র ২০৮ জন, সম্প্রতি আরও ৪৪ জন যোগ দিয়েছেন। আপাতত এই জনবল দিয়েই পুরোনো ও নতুন উভয় কারাগার পরিচালনা করা হবে। সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী পুরোনো কারাগারে থাকবে মহানগরীর বন্দিরা, আর নতুন কারাগারে থাকবে জেলার ৯ উপজেলার বন্দিরা।

নতুন এই কারাগারটি পুরোপুরি চালু হলে খুলনা জেল ব্যবস্থাপনায় নতুন যুগের সূচনা হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

তথ্যসূত্র- বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
12