নিউজিল্যান্ডের কাছে ধবলধোলাই ইংল্যান্ড, টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় লজ্জাজনক রেকর্ড
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো ইংল্যান্ড। ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত শেষ ম্যাচে ২ উইকেটে হেরে তিন ম্যাচের সিরিজে ৩–০ ব্যবধানে ধবলধোলাইয়ের শিকার হয়েছে দলটি। এই পরাজয়ের সঙ্গে বিব্রতকর এক রেকর্ডও গড়েছে ইংলিশরা।
শেষ ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ২২২ রানে অলআউট হয় ৪০.২ ওভারে। জবাবে নিউজিল্যান্ড ৪৪.৪ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ম্যাচে জাকারি ফোকস ও ব্লেয়ার টিকনারের অবিচ্ছিন্ন ৩০ রানের নবম উইকেট জুটি নিউজিল্যান্ডকে জয় এনে দেয়।
এই জয়ে ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল কিউইরা। প্রথমবার এমনটা ঘটেছিল ১৯৮৪ সালে।
এই সিরিজে ইংল্যান্ডের প্রথম চার ব্যাটসম্যান মিলে মোট রান করেছেন মাত্র ৮৪। পুরুষদের ওয়ানডে ক্রিকেটে অন্তত তিন ইনিংস খেলা কোনো দলের শীর্ষ চার ব্যাটারের এটাই সর্বনিম্ন সম্মিলিত রান। আগের রেকর্ড ছিল ১৯৮৮ এশিয়া কাপে, যেখানে বাংলাদেশের টপ অর্ডার করেছিল ৮৯ রান।
ইংল্যান্ডের ইনিংসে জেমি ওভারটন ব্যাট হাতে ৬৮ রান করেন ৬২ বলে, তিনিই দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার সঙ্গে কার্স করেন ৩৬ এবং জফরা আর্চার যোগ করেন ১৬ রান। বাকিদের ব্যর্থতায় ৫০ ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই অলআউট হয় দলটি।
বোলিংয়ে টিকনার নেন ৪ উইকেট এবং ডাফি ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ১২.৫ ওভারে ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রর ৭৮ রানের জুটিতে দুর্দান্ত শুরু পায়। তবে রানআউটে কনওয়ে (৩৪) ও পরে টম ল্যাথামও একইভাবে আউট হলে ম্যাচ জমে ওঠে। ইংল্যান্ডের ওভারটন ও স্যাম কারেন ২টি করে উইকেট নিয়ে কিউইদের ১৯৬ রানে ৮ উইকেট ফেলে দেয়।
তবে শেষ পর্যন্ত ফোকস ও টিকনারের সাহসী জুটিতে জয় ছিনিয়ে নেয় নিউজিল্যান্ড। ফাইনাল ম্যাচে টিকনার হন ম্যাচসেরা, আর পুরো সিরিজে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ড্যারিল মিচেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ২২২ (৪০.২ ওভারে) — ওভারটন ৬৮, কার্স ৩৬; টিকনার ৪/৬৪, ডাফি ৩/৫৬।
নিউজিল্যান্ড: ২২৬/৮ (৪৪.৪ ওভারে) — রবীন্দ্র ৪৬, মিচেল ৪৪; ওভারটন ২/৩২, কারেন ২/৪৬।
ফলাফল: নিউজিল্যান্ড ২ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: নিউজিল্যান্ড ৩–০ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ব্লেয়ার টিকনার।
সিরিজসেরা: ড্যারিল মিচেল।
মন্তব্য করুন





