“রাশিয়া কি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিজের দিকে আসতে দেখতে চায়? আমার মনে হয় না।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে টমাহক দীর্ঘ-পাল্লার ক্রজ ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছেন। তাঁর মতে, এটি রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে “নতুন আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ” হিসেবে কাজ করতে পারে।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “দেখা যাক... আমি হয়তো পাঠাতে পারি।”
সপ্তাহান্তে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় ফোনালাপের পর এই মন্তব্য আসে। আলাপের সময় জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা জোরদারে ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
রাশিয়া এর আগে সতর্ক করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র যদি কিয়েভকে দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে, তবে তা সংঘাত আরও তীব্র করবে এবং ওয়াশিংটন–মস্কো সম্পর্কের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে।
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ২,৫০০ কিলোমিটার (১,৫০০ মাইল), যা ইউক্রেনের হাতে গেলে মস্কো পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হবে।
ইসরায়েল যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, তিনি এই বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তাঁর ভাষায়, “আমি হয়তো রাশিয়াকে বলব—যদি যুদ্ধের সমাধান না হয়, তাহলে আমরা এটা করতে পারি, আবার নাও করতে পারি।”
তিনি যোগ করেন, “রাশিয়া কি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিজের দিকে আসতে দেখতে চায়? আমার মনে হয় না।”
ইউক্রেন বারবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দীর্ঘ-পাল্লার অস্ত্র চেয়ে আসছে, যাতে তারা সামনের যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে থাকা রাশিয়ার শহরগুলোতেও পাল্টা হামলা চালাতে পারে।
ট্রাম্প ও জেলেনস্কির ফোনালাপে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করা ও দীর্ঘ-পাল্লার অস্ত্র সংগ্রহের বিষয়েও আলোচনা হয়।
রাশিয়া এরই মধ্যে কিয়েভসহ বিভিন্ন ইউক্রেনীয় শহরে একের পর এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
গত মাসে ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিথ কেলগ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভেতরে গভীর পর্যন্ত হামলার অনুমোদন দিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, “এই যুদ্ধে নিরাপদ আশ্রয় বলে কিছু নেই।”
তবে রাশিয়া বলেছে, টমাহক বা অন্য কোনো ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধের গতিপথ বদলাতে পারবে না। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “টমাহক হোক বা অন্য অস্ত্র, এগুলো যুদ্ধের গতি পরিবর্তন করতে পারবে না।”
মন্তব্য করুন