জুলাই-আগস্টের ঘটনায় রাষ্ট্রপক্ষের জিরো টলারেন্স নীতি বহাল
জুলাই-আগস্টে ছাত্র ও সাধারণ মানুষের আন্দোলনে গুলি ও নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন জায়গায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামিরা নিম্ন আদালতে জামিন পেতে ব্যর্থ হয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এসব মামলায় আসামিদের জামিন প্রশ্নে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলো সাধারণ কোনো অপরাধ নয়। এতে সম্পৃক্তদের জামিন দিলে সমাজে ভুল বার্তা যাবে। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, এ ধরনের জামিনের মাধ্যমে মনে হতে পারে যে ওই সময়ের ঘটনায় কেউ প্রকৃত দোষী নয়। ফলে সামাজিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ হতে পারে।
সম্প্রতি উচ্চ আদালতে কিছু আসামি জামিন পেলেও আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে অনেকের জামিন স্থগিত করা হয়েছে।
সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী: হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও আপিল বিভাগ তা স্থগিত করেছে।
অভিনেত্রী শমী কায়সার: তার জামিন স্থগিত করে নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী: হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আপিল বিভাগ স্থগিত করেছে।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মেহেদী: তার জামিন স্থগিত রেখে লিভ টু আপিলের শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া জানিয়েছেন, তারা সব জামিনের বিরোধিতা করছেন না। তবে যারা সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের মুক্তি না দেওয়ার ব্যাপারে তারা সতর্ক।
এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষের কঠোর ভূমিকার কারণে চেম্বার আদালত ও আপিল বিভাগে অধিকাংশ জামিন স্থগিত রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই নীতির ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।
জাগতিক/ এ আর
মন্তব্য করুন





