সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে জামিন দিতে হাইকোর্টের রুল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলাসহ পাঁচটি মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এছাড়া বেআইনি রায় প্রদান ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের একটি মামলায়ও তার বিরুদ্ধে গ্রেফতার দেখানো হয়।
২০২৪ সালের ২৫ আগস্ট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী ভূঁইয়া বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি মামলায়ও সাবেক প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
চলতি বছরের ১১ আগস্ট হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চে একই মামলায় খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিল আবেদনের শুনানির সময় আওয়ামীপন্থি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তীব্র হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আদালত কক্ষের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে পড়ে।
আইনি বিশ্লেষকদের মতে, সাবেক প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় জামিন প্রশ্নে রুল জারি হাইকোর্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এখন আদালত পরবর্তী শুনানিতে মামলার আইনি ভিত্তি ও অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করবে।
মন্তব্য করুন
