সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা, ৩২টি ফ্রিজ উপহার দিল ওয়ালটন

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাফল্যের ধারায় যোগ হলো আরেকটি সংবর্ধনা। নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর থেকে সংবর্ধনা ও উপহারে ভাসছে সাবিনা-সানজিদারা। এবার তাদের জন্য বিশেষ আয়োজন করলো ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ।

আজ (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নারী ফুটবল দলের ৩২ জন সদস্যকে সম্মাননা জানানো হয়। দলটির খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং সাপোর্ট স্টাফ প্রত্যেকেই উপহার হিসেবে একটি করে ফ্রিজ পেয়েছেন।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, “আমরা চাই আমাদের পণ্যের মাধ্যমে ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিতে। এর আগেও আমরা তাদের টিভি উপহার দিয়েছি। নারী ফুটবলের যাত্রার শুরু থেকেই ওয়ালটন পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।”

উপহারগুলো দলের প্রত্যেক সদস্যের সুবিধামতো নিকটস্থ ওয়ালটন শোরুম থেকে সংগ্রহ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। কারো যদি ফ্রিজ প্রয়োজন না হয়, তবে তিনি এর সমপরিমাণ নগদ অর্থ নিতে পারবেন।

নারী ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আয়োজনের প্রতিশ্রুতি

অনুষ্ঠানে নারী ফুটবলের উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়। বাফুফে নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানান, “গত বছর ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আয়োজন করা সম্ভব হয়নি স্পন্সর জটিলতার কারণে। তবে এবার নতুন নেতৃত্বে আমরা দ্রুতই এটি আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। আশা করছি, শিগগিরই এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে।”

নারী লিগের মানোন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বড় ক্লাবগুলোকে নারী লিগে অংশগ্রহণে আমরা বরাবরই অনুরোধ করে আসছি। এবারও একই চেষ্টা করব। বড় দলগুলো এগিয়ে এলে লিগের মান আরও উন্নত হবে।”

নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ পিটার বাটলার তার বক্তব্যে সততা, নম্রতা ও শ্রদ্ধার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “ফ্রিজ বা অন্য উপহার কেনা সম্ভব, কিন্তু সততা বা শ্রদ্ধা বাজার থেকে কেনা যায় না। সবার উচিত মাটিতে পা রেখে কাজ করা।”

দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “ওয়ালটন সবসময় আমাদের পাশে থেকেছে। তাদের উৎসাহ আমাদের মোটিভেশন হিসেবে কাজ করে। আশা করছি, ভবিষ্যতেও তারা আমাদের সহযোগিতা করবে।”

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন ঘোষণা দেয়, ভবিষ্যতেও তারা নারী ফুটবলের সব পর্যায়ে সহযোগিতা করবে। এ আয়োজন নারী ফুটবল দলকে শুধু অনুপ্রাণিত করবে না, বরং দেশের ফুটবলের সামগ্রিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কর্মকর্তারা।

এই সংবর্ধনা নারী ফুটবল দলের প্রতি দেশব্যাপী কৃতজ্ঞতা ও গর্বেরই প্রতিফলন। এ ধরনের উদ্যোগ মেয়েদের আরও সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।