মাজারে হামলা সহ্য করা কষ্টকর, সমাজ সাংস্কৃতিক বিপর্যয়ের মুখে : মানজুর আল মতিন
কুরআনের নাম ব্যবহার করে মাজার ও দরবারে হামলা চালানো গভীর উদ্বেগজনক এবং মুসলমান হিসেবে তা সহ্য করা কঠিন—এ মন্তব্য করেছেন মানজুর আল মতিন। তিনি বলেন, “কুরআন এত সুন্দর, নির্মল ও পবিত্র। অথচ এর নাম ধারণ করে কেউ যদি সহিংসতা চালায়, তা ধর্মের বিকৃতি ছাড়া কিছু নয়।”
শনিবার রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবনের ডা. শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে ‘মাজার সংস্কৃতি: সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে সুফি ঐতিহ্য বিষয়ক সংগঠন ‘মাকাম: সেন্টার ফর সুফি হেরিটেজ’।
মানজুর আল মতিন বলেন, “এই সহিংসতার ফলে দেশের সমাজ ও সংস্কৃতি ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এই বিপর্যয় রোধ না করা গেলে বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংকট আরও গভীর হবে, যা কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাকামের মিজানুর রহমান। প্রবন্ধে বলা হয়, মাজার সংস্কৃতি বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি শুধু সুফি সমাজ নয়, বরং দেশের সাধারণ মানুষের জীবন, বিশ্বাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
প্রবন্ধে আরও উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে এই সংস্কৃতি ধারাবাহিকভাবে আক্রমণের শিকার হচ্ছে। মাজার ও দরবারে সহিংসতা শুধু ধর্মীয় সম্প্রদায় নয়, বরং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যের ওপরও এক গভীর আঘাত।
অনুষ্ঠানে ৫ আগস্টের পর সারাদেশে সংঘটিত মাজার–সম্পর্কিত সহিংসতা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। উপস্থিত বক্তারা বলেন, মাজার ও সুফি ঐতিহ্য বাংলাদেশের ইতিহাস, ধর্মীয় সহাবস্থান ও মানবিক সংস্কৃতির প্রতীক—এটিকে রক্ষা করা জাতীয় দায়িত্ব।
মন্তব্য করুন


