logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২

ইতিহাস গড়তে ৫ মিনিট সময় লাগল ১৭ বছর বয়সী ছেলেটির

অনলাইন ডেস্ক
  ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫০
ছবি: সংগৃহীত

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শেষ বাঁশি বাজতেই সাংবাদিকরা বায়ার্ন মিউনিখের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আলেক্সান্দার পাভলোভিচকে প্রশ্ন করেন—লেনার্ট কার্লকে এত ‘বিশেষ’ ভাবার কারণ কী? পাভলোভিচের জবাব ছিল সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর অর্থবহ,

“খুব সহজ কথা—তার ভেতর সাহস আছে, আর আজ রাতেও (গতকাল) সে সেটাই দেখিয়েছে। দুর্দান্ত ছেলে, অসাধারণ খেলোয়াড়।”

এই ‘সাহস’-এর কথা বুঝতে হলে তাকাতে হয় চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন বনাম ক্লাব ব্রুগের ম্যাচের স্কোরকার্ডে। বায়ার্নের ৪–০ গোলের জয়ে ম্যাচের মাত্র ৫ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন লেনার্ট কার্ল। যদিও একই ম্যাচে গোল করেছেন হ্যারি কেইন, লুইস দিয়াজ ও জ্যাকসনও, তবু কার্লের গোলটি আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে একটি কারণে—তার বয়স

মাত্র ১৭ বছর বয়সে চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্নের মূল একাদশে অভিষেক ম্যাচেই গোল করে ইতিহাস গড়েছেন এই তরুণ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। খেলার ৫ মিনিটে, মাঝমাঠে সেন্টারব্যাক জোনাথনের পাস পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ব্রুগের বক্সের কাছ থেকে বাঁ পায়ের শটে দারুণ গোল করেন তিনি। এই গোলের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্নের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে গোলদাতা হিসেবে নাম লেখান কার্ল—বয়স তখন মাত্র ১৭ বছর ২৪২ দিন। তিনি ভেঙে দেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালার রেকর্ড, যিনি চার বছর আগে লাৎসিওর বিপক্ষে গোল করেছিলেন কার্লের চেয়ে ১২১ দিন বেশি বয়সে। কাকতালীয়ভাবে, সেই ম্যাচে মুসিয়ালা পরেছিলেন ৪২ নম্বর জার্সি, যা এবার কার্লের গায়েও ছিল।

দূরপাল্লার শট, নিখুঁত বল নিয়ন্ত্রণ ও বুদ্ধিদীপ্ত পাসে গোল তৈরির ক্ষমতার জন্য কার্লকে ইতিমধ্যে অনেকে মেসুত ওজিল, টমাস মুলার ও বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগারের সঙ্গে তুলনা করছেন। বায়ার্নও তাঁকে ভবিষ্যতের ভরসা মনে করছে—তাই মুসিয়ালার পরই ৪২ নম্বর জার্সিটি তুলে দিয়েছে এই প্রতিভাবান তরুণের হাতে।

বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানিও কার্লকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। ম্যাচের পর ডিএজেডএনকে তিনি বলেন,

“আমি সাধারণত প্রচারণার ভক্ত নই, কিন্তু এবার সে (কার্ল) তা প্রাপ্য। আজ সে চমৎকার খেলেছে, সবাই জানে সে গোল করতে পারে।”

গোল ও রেকর্ডের পাশাপাশি কার্ল হয়েছেন ম্যাচসেরা। পুরস্কার হাতে সেলফি তুলেছেন, আর ম্যাচের পর বলেছেন,

“গোল আর পারফরম্যান্সে আমি খুশি। সবার সঙ্গে খেলাটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা, এখান থেকে অনেক কিছু শিখব। ম্যাচসেরা হয়েছি, কিন্তু এখানেই থামতে চাই না।”

গত জুনে ক্লাব বিশ্বকাপে বায়ার্নের মূল দলে অভিষেক হয় কার্লের। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে ক্লাবের হয়ে ১১ ম্যাচে তাঁর এটি প্রথম গোল। আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট ও বায়ার্নের বয়সভিত্তিক দলে খেলে ধীরে ধীরে উঠে এসেছেন মূল দলে। গত রাতের ম্যাচে ৬৯ মিনিট খেলে তিনটি শট, ৪৭ বার বল স্পর্শ৩৬ পাসের মধ্যে ৮৬ শতাংশ সফলতা অর্জন করে প্রমাণ করেছেন—বায়ার্নের ভবিষ্যৎ এখন থেকেই তৈরি হচ্ছে লেনার্ট কার্লকে ঘিরে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
12