logo
  • বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: সুপারিশের অপেক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলো

অনলাইন ডেস্ক
  ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:০৬

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মৌলিক ঐকমত্য থাকলেও এখনো মতপার্থক্য রয়ে গেছে তিনটি বিষয়ে—সনদের আইনি ভিত্তি কী হবে, গণভোট কবে হবে, আর যেসব প্রস্তাবে ভিন্নমত রয়েছে সেগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে। ফলে এখন সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের দিকে তাকিয়ে আছে দলগুলো।

কমিশন সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনার অভিজ্ঞতায় তারা মনে করছে, যেকোনো সুপারিশেই কেউ না কেউ অসন্তুষ্ট হবে। তবে সুপারিশ চূড়ান্ত করার আগে কমিশন এখনো অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত, সনদ বাস্তবায়নে সরকারেরই দৃঢ় অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন কমিশনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

গত শুক্রবার ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এ সই করেছে ২৪টি দল ও জোট। তবে সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না হওয়ায় এখনো এতে সই করেনি এনসিপি। একই কারণে বামধারার আরও চারটি দলও সনদে সই থেকে বিরত রয়েছে।

ঐকমত্য কমিশন এখন সনদ বাস্তবায়নের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ প্রস্তুত করছে, যা চলতি সপ্তাহের মধ্যেই (২৪ অক্টোবরের মধ্যে) সরকারের কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ, কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ অক্টোবর। কমিশনের আশা, সুপারিশ পাওয়ার পর সরকার অন্তত এক সপ্তাহ সময় পাবে একটি বিশেষ আদেশ জারির প্রস্তুতি নিতে, যা সনদের বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি তৈরি করবে।

এই বিশেষ আদেশে গণভোট আয়োজন ও পরবর্তী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা—সংবিধান সংস্কার পরিষদ এবং জাতীয় সংসদ—পালনের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আদেশের খসড়া তৈরির কাজ করছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অভিজ্ঞ আইনজীবীরা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘কমিশন এখন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও প্রস্তাব একত্র করে একটি পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ প্রস্তুত করছে। হতে পারে সেখানে বিকল্প প্রস্তাবও থাকবে। সে সুপারিশ পাওয়ার পরই আমরা মন্তব্য করব। এখন কিছু বলা উচিত নয়।’

উল্লেখ্য, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথনির্ধারণ মূলত কমিশনের কর্মপরিধির মধ্যে ছিল না। তবে ৩১ জুলাইয়ের পর কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দাবির প্রেক্ষিতে কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করে, যা শেষ হয় ৯ অক্টোবর। আলোচনায় গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়নে একমত হলেও, ভোটের সময়, আইনি ভিত্তি ও পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত রয়ে গেছে।

সবার চোখ এখন ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের দিকেই।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আরও পড়ুন
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে যা প্রয়োজন, তা করব: প্রধান উপদেষ্টা 
নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
আজ সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিএনপি
বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোর দাবিতে শিক্ষকদের আমরণ অনশন, সরকারের প্রতি দুই দিনের আলটিমেটাম
12