logo
  • সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

খুলনায় মাত্র দেড় মাসে ১৪টি হত্যাকাণ্ড এবং ৮টি অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক
  ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:০৫
ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটায় আবারও উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাত নামলেই শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভয় ও আতঙ্কের ছায়া নেমে আসে। বন্দুকের গুলি বা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, আহতদের তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে। গত দেড় মাসে খুলনা মহানগর ও জেলার ১৪টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর সঙ্গে আরও ৮ জনের মরদেহ রহস্যজনক মৃত্যুর পর উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। এলাকাবাসী আইনের কঠোর প্রয়োগ ও কার্যকর বাস্তবায়নের দাবি তুলেছেন। তবে পুলিশের দাবি, তারা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন।

পুলিশের তথ্যমতে, গত দেড় মাসে খুলনা মহানগর ও জেলায় ১৪টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। রহস্যজনক মৃত্যুর পর আরও ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। এসব নৃশংস ঘটনার পেছনে মূলত মাদক ব্যবসা, আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক কোন্দল বা পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। শিশু ঘুমানোর সময় জানালার বাইরে থেকে গুলি করে হত্যা করা, এমনকি পুত্রের হাতে পিতাকে হত্যা করা—এ ধরনের চাঞ্চল্যকর ঘটনা নগরে ঘটেছে।

থানার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৪টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ৭টিতে ১৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তবে বাকিদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। কয়েকটি হত্যার রহস্যও উদঘাটন করা যায়নি। খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। রাজনৈতিক বা অন্যান্য কারণে পুলিশ যথাযথভাবে কাজ করতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংস্কার প্রয়োজন, সঙ্গে মানুষের মানসিকতাতেও পরিবর্তন জরুরি।’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানিয়া সুলতানা বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আসা হত্যার খবরগুলো সামগ্রিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে কিছু মানুষ অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। শুধুমাত্র পুলিশের ওপর নির্ভর করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সচেষ্ট থাকতে হবে। অপরাধীদের থেকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শও জরুরি।’

অন্যদিকে, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, ‘এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য অপরাধের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।’

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সন্ত্রাস ও নৃশংসতা দমনের জন্য আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করা অত্যাবশ্যক।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আরও পড়ুন
জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী আটক
সোমবার থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের 'হাঙ্গার স্ট্রাইক' শুরু
নোয়াখালীতে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ, ৫০ জন আহত
সারাদেশে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ, কেপিআই স্থাপনায় নজরদারি জোরদার
12