বছরে মাত্র ৭৫০০ শরণার্থী নেবে যুক্তরাষ্ট্র, অগ্রাধিকার অগ্রাধিকার পাবেন কারা?
 
		
		
		
		
		২০২৬ অর্থবছরে মাত্র ৭ হাজার ৫০০ জন শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন জানিয়েছে, এই সীমিত কোটা মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ বংশোদ্ভূত নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। খবর আল জাজিরার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মার্কিন ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত প্রেসিডেনশিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “২০২৬-২৭ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারিত হয়েছে ৭ হাজার ৫০০।” নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সংখ্যা মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার আফ্রিকানার জনগোষ্ঠীর শ্বেতাঙ্গদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ ১৪২০৪ অনুযায়ী, “নিজ নিজ দেশে বেআইনি বা বৈষম্যের শিকার অন্য গোষ্ঠীর সদস্যরাও এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন,” তবে প্রধান অগ্রাধিকার দেওয়া হবে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ অভিবাসীদের।
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করছে, কৃষ্ণাঙ্গ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের ওপর বৈষম্য ও নির্যাতন চলছে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ও আফ্রিকান ইউনিয়নের শীর্ষ কর্মকর্তারা এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার অধীনে থাকা শরণার্থী সহায়তা কর্মসূচিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের শরণার্থী পুনর্বাসন কার্যালয়ে (Office of Refugee Resettlement) স্থানান্তরিত হবে।
এই সংখ্যা আগের বাইডেন প্রশাসনের সময় নির্ধারিত ১ লাখ ২৫ হাজারের তুলনায় প্রায় ৯৪ শতাংশ কম। ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, “মানবিক উদ্বেগ ও জাতীয় স্বার্থের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই” শরণার্থী প্রবেশ সীমা drastভাবে কমানো হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তে মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বিপদগ্রস্ত লক্ষাধিক মানুষের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরজা কার্যত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন






