ট্রাম্পের পর কানাডা ও জাপানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শি জিনপিং
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এপেক) সম্মেলনে মুখ্য ভূমিকা নিতে যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহাসিক শহর গিয়ংজুতে শুরু হওয়া এই সম্মেলনের ফাঁকে তিনি কানাডা ও জাপানের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। খবর রয়টার্সের।
এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শি জিনপিং। সেই আলোচনার পর চীন-মার্কিন বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। এই “বাণিজ্য যুদ্ধবিরতি”র অংশ হিসেবে চীনের রেয়ার আর্থ রপ্তানিতে ঘোষিত নতুন নিষেধাজ্ঞা আপাতত স্থগিত থাকবে।
এপেক সম্মেলনে ট্রাম্প অনুপস্থিত থাকায় নজর এখন শি জিনপিংয়ের দিকেই। তিনি প্রথমবারের মতো দেখা করবেন জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গে—যিনি দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। কট্টর জাতীয়তাবাদী অবস্থানের জন্য পরিচিত তাকাইচি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই চীনের প্রভাব রুখতে জাপানের প্রতিরক্ষা ব্যয় ও সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। দুই দেশের বৈঠকে চীনে আটক জাপানি নাগরিক, খাদ্যপণ্যের নিষেধাজ্ঞা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। দীর্ঘদিনের উত্তেজনার পর এই বৈঠককে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কানাডা তার প্রধান বাণিজ্য অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য দ্বন্দ্ব কমাতে বিকল্প বাজার খুঁজছে। চীন বর্তমানে কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হলেও, সম্পর্কের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চীনে কানাডীয় নাগরিকদের আটক, নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এবং ক্যানোলা ও বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর শুল্কারোপের মতো নানা বিতর্ক।
এপেক সম্মেলনের মূল অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। উদ্বোধনী পর্বে আলোচনার সভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং, যার মূল বিষয়—‘এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতার মনোভাব পুনরুদ্ধার’।
যদিও সদস্যদেশগুলোর মধ্যে এখনো যৌথ বিবৃতি নিয়ে মতভেদ রয়েছে, আয়োজক দক্ষিণ কোরিয়া আশাবাদী যে সম্মেলনের শেষ দিনে একটি ঐকমত্যভিত্তিক যৌথ ঘোষণা গৃহীত হবে।
মন্তব্য করুন
