logo
  • শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২

নীতিনির্ধারণে সময়োপযোগী সমন্বয় ও নাগরিক দায়িত্বের ওপর গুরুত্ব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
  ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:০৪

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নীতিনির্ধারণে সঠিক দিকনির্দেশনা, সময়োপযোগী সমন্বয় এবং নাগরিক দায়িত্ববোধই একটি দেশের অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত “জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫”-এর বিজয়ী দশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রফেসর ইউনূস বলেন, “তোমরা ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারক। আজকের এই অভিজ্ঞতা তোমাদের একদিন সত্যিকারের ক্যাবিনেট রুমে কাজে লাগবে।”

তিনি বলেন, “ভুল নীতির কারণে বড় বাজেট বা শক্তিশালী পরিকল্পনাও ব্যর্থ হতে পারে। নীতি যদি সঠিক হয়, তাহলে ফলাফলও ইতিবাচক হয়।”

নীতিনির্ধারকদের প্রেক্ষাপট বোঝার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যেমন একজন চিকিৎসক রোগীর অবস্থা জেনে ওষুধ দেন, তেমনি একজন নীতিনির্ধারককেও জানতে হয় সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে।”

পরিবর্তিত সময় ও পরিস্থিতির সঙ্গে নীতির সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “দুনিয়া বদলে গেলেও যদি আমরা পুরনো নীতিতে আটকে থাকি, তাহলে তা কোনো কাজে আসবে না। উদ্দেশ্য বদলালে নীতিও বদলাতে হবে।”

নাগরিক দায়িত্ব প্রসঙ্গে প্রফেসর ইউনূস বলেন, “নাগরিক মানে দেশের মালিক। মালিক হিসেবে আমাদের অধিকার আছে জানতে—নীতি সঠিক পথে যাচ্ছে কি না। ভুল হলে প্রতিবাদ করতে হবে। নাগরিক যদি চুপ থাকে, তাহলে কিছুই ঠিক পথে চলবে না।”

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা ও তাদের নীতি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। অংশগ্রহণকারীদের প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “অংশগ্রহণের মাধ্যমেই তোমরা ইতিমধ্যে গুণগত মানে অনেক এগিয়ে গেছো।”


মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
12