আসন সমঝোতায় সময় নিচ্ছে বিএনপি, শরিকদের জন্য ছাড় হতে পারে সর্বোচ্চ ৫০ আসন
 
		
		
		
		
		ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আসন সমঝোতা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে বিএনপি। দলটি ইতোমধ্যে ২০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। তবে বাকি ১০০ আসনে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এসব আসনের কিছুতে দলের ভেতরেই একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী, আবার কিছু আসনে জোটের শরিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ের জটিলতা শুধু দলীয় নয়, বরং জোটের মধ্যেও। যেসব আসনে কোন্দল বা দ্বন্দ্বের আশঙ্কা বেশি, সেখানে এখনই প্রার্থী ঘোষণা করছে না দলটি। সবমিলিয়ে প্রায় ১০০ আসনে এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
দলের ভেতরে আলোচনায় জানা গেছে, শরিক দলগুলোর জন্য সর্বোচ্চ ৫০টি আসন ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তবে সেটি নির্ভর করবে শরিকরা জেতার মতো শক্তিশালী প্রার্থী দিতে পারবে কিনা তার উপর।
অন্যদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে আসন চাওয়া আরও বেশি। মঞ্চের শীর্ষ নেতা সাইফুল হক বলেন, “আমরা ১৩৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছি। বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় হয়তো এখান থেকে ৫০ বা ৬০টি আসন নিয়ে শর্টলিস্ট তৈরি হবে।”
এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদ, ১২ দলীয় জোট, বিজেপি, এলডিপি প্রভৃতি দলের সঙ্গেও বিএনপির আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।
রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় রয়েছে—এনসিপিও বিএনপির সম্ভাব্য শরিক হতে পারে। যদিও দলটির সঙ্গে জামায়াতেরও যোগাযোগ চলছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আসন ভাগাভাগি নিয়ে এনসিপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি, তবে রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক যুগ্ম আহ্বায়ক জানান, বিএনপি চাইছে যেন এনসিপি জামায়াতের জোটে না যায়। এজন্য অন্তত ২০টি আসনে সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এমনকি সরকার গঠন হলে এনসিপিকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে এসব বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে খুব শিগগিরই।
 
 
 
মন্তব্য করুন







