logo
  • শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২

আবারও ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি ট্রাম্পের

অনলাইন ডেস্ক
  ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:০৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও দাবি করেছেন, গত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, সেটিতে তিনিই মধ্যস্থতা করেছিলেন। যদিও নয়াদিল্লি এই দাবি আগেও অস্বীকার করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতির অনুরোধ এসেছিল ইসলামাবাদের দিক থেকেই।

এশিয়া সফরের শেষ ধাপে বুধবার (২৯ অক্টোবর) দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তি খুব শিগগিরই স্বাক্ষর হতে পারে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, “মোদি দেখতে সবচেয়ে ভালো মানুষ, তবে তিনি কঠিন একজন নেতা।” তিনি দাবি করেন, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সম্ভাব্য যুদ্ধ তিনি থামিয়েছেন। “আমি মোদিকে বলেছিলাম, আমরা কোনো বাণিজ্য চুক্তি করতে পারব না, যদি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করেন।” ট্রাম্পের ভাষায়, “দুই দিন পর তারা আমাকে ফোন করে বলে, ‘আমরা বুঝেছি’, এবং এরপর যুদ্ধ থেমে যায়।”

ট্রাম্প এর আগেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংঘাতে মধ্যস্থতার কৃতিত্ব দাবি করেছেন। এমনকি ভারত–পাকিস্তানসহ সাতটি যুদ্ধ বন্ধে ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যৌক্তিকতাও তিনি তুলেছেন। তবে চলতি বছর শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার রাজনীতিক মারিয়া কোরিনা মাচাদো।

বাণিজ্য চুক্তি ও শুল্ক অগ্রগতি

ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তি এখন সময়ের অপেক্ষা। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের তেলবাণিজ্য ও আমদানি–রপ্তানি শুল্ক নিয়ে মতবিরোধে চুক্তির আলোচনা কয়েক মাস ধরে স্থগিত ছিল।

গত সপ্তাহে খবর আসে, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে ভারত রাজি হয়েছে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রও ভারতের পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর বিষয়ে সম্মতি দেয়। ট্রাম্প ও মোদির সাম্প্রতিক ফোনালাপের পর এই সমঝোতা হয় বলে জানা যায়, যদিও কোনো পক্ষই বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি।

এই সমঝোতার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ভুট্টা ও সয়াবিনের আমদানি ভারতে বাড়তে পারে। বিশেষ করে অ–জিনগতভাবে পরিবর্তিত ভুট্টা থেকে তৈরি ইথানল আমদানির বিষয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এসব শস্য কেবল জ্বালানি উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হবে, কৃষিবাজারে নয়।

চীনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের কারণে মার্কিন সয়াবিন এখন ব্যয়বহুল। ফলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের উদ্বৃত্ত সয়াবিন ভারতের বাজারে বিক্রির চেষ্টা করছে।

অন্যদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সম্প্রতি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে কোনো চুক্তিতে ভারতের ‘রেড ফ্ল্যাগ’ বা গুরুত্বপূর্ণ আপত্তি সম্মান করতে হবে—যার মধ্যে রয়েছে রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্কের বিষয়টি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আরও পড়ুন
ট্রাম্পের পর কানাডা ও জাপানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শি জিনপিং
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর
৩৩ বছর পর আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের
স্টিলের বাক্সে নদীপথে বাংলাদেশে ঢুকে ধরা পড়লেন ভারতীয় নাগরিক
12