WHO এর প্রধান
“খাদ্য আসলেও তা যথেষ্ট নয়, তাই দুর্ভিক্ষের প্রভাব অব্যাহত রয়েছে।”
গাজার মানবিক পরিস্থিতি “অত্যন্ত বিপর্যস্ত” বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা। গত দুই সপ্তাহে সেকারণে খাদ্য সরবরাহ অপর্যাপ্তই থেকে গেছে, এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো ইসরায়েলকে মানবিক সাহায্য সরবরাহে বাধা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
গাজায় সাহায্য আসলেও তা স্থানীয় জনগণের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী (WFP) জানিয়েছে, তাদের দৈনিক ২,০০০ টন খাদ্য সরবরাহের লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না। এখন প্রতিদিন গাজায় মাত্র ৭৫০ টন খাদ্য প্রবাহিত হচ্ছে। দুটি সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে সাহায্য পৌঁছাচ্ছে—কোরেম আবু সালেম এবং আল-কারারা—যেগুলো ইসরায়েল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা WHO এর প্রধান টেড্রোস অ্যাধানম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, “খাদ্য আসলেও তা যথেষ্ট নয়, তাই দুর্ভিক্ষের প্রভাব অব্যাহত রয়েছে।” গাজার প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষ, যার মধ্যে ১১,৫০০ গর্ভবতী নারীও রয়েছেন, খাবারের অভাবে ভুগছেন। জাতিসংঘের উপাদান সহায়তা সংস্থা UNFPA জানিয়েছে, বর্তমানে ৭০% নবজাতকই অপরিপক্ব বা কম ওজনের জন্ম নিচ্ছে।
অক্টোবর ১০ তারিখে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়, যার ফলে মানবিক সহায়তা প্রবাহিত হওয়ার কথা ছিল। তবে, কয়েকটি সীমান্ত ক্রসিংয়ের কারণে খাদ্য সরবরাহ এখনও সীমিত। খাদ্য সরবরাহের মধ্যে চকলেট, বিস্কুট ও সোডা প্রবাহিত হলেও, গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান যেমন শস্য, জলপাই এবং শাকসবজি আসছে না।
বিশ্বের ৪১টি সহায়তা সংস্থা, যেমন অক্সফাম ও নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (NRC), এক চিঠিতে অভিযোগ জানিয়েছে যে, ইসরায়েল সহায়তা প্যাকেটগুলো রোধ করছে। “অক্টোবর ১০ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে ৯৯টি আন্তর্জাতিক সহায়তার অনুরোধ বাতিল করা হয়েছে,” চিঠিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ) ইসরায়েলকে গাজার জনগণের “প্রাথমিক চাহিদা” পূরণের দায়িত্ব পালন করতে বলেছে। গাজার মানুষের জন্য যথাযথ খাদ্য সরবরাহের জন্য আরও সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানাচ্ছে মানবিক সংস্থাগুলো।
মন্তব্য করুন






