ফেসবুকে জামাত আমিরের সাথে ছবি
‘দুই দলের প্রতিই সমান ভালোবাসা’ - ইলিয়াস হোসাইন
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন বলেছেন, তিনি কখনোই জামায়াতকে তুলে ধরতে বা বিএনপিকে ছোট করতে কাজ করেননি।
শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
ইলিয়াস লিখেছেন, ১৫ বছরের কঠিন সময়ে বিএনপির বিরুদ্ধে তার মুখ থেকে একটি শব্দও বের হয়নি।
বিএনপি বা জামায়াত—যেকোনো দলের ওপর নির্যাতন হলে সেটা নিজের পরিবারের ওপর হামলার মতোই মনে হয়েছে।
তিনি বলেন, দুই দলের প্রতিই তার সমান ভালোবাসা আছে।
তারেক রহমানের কাছ থেকে সেই ভালোবাসার প্রতিদান তিনি পেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।
ইলিয়াসের দাবি, এখন “বসন্তের কোকিল”রা বিএনপির মালিক সেজে ভুল বোঝাচ্ছে।
বিএনপির কিছু নেতা–কর্মী তার অবদান ভুলে গিয়ে তাদেরই অনুসরণ করছেন।
তবু তার অবস্থান অপরিবর্তিত—কোনো দলের প্রতি বেশি বা কম নয়।
তিনি চান, জামায়াত ও বিএনপি সীমার মধ্যে থেকে রাজনৈতিক বিরোধিতা করুক।
সম্ভব হলে ক্ষমতায় পালাবদল হোক—বিএনপি পাঁচ বছর, জামায়াত পাঁচ বছর।
তবে বর্তমান বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মাঝেমধ্যে সংঘর্ষে রূপ নিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইলিয়াস বলেন, আওয়ামী লীগের ব্যাপারে বিএনপি জামায়াতের চেয়ে বেশি উদাসীন।
তাঁকে “ট্যাগ” দিয়ে লাভ নেই—কারণ তিনি নিজেই নিজেকে “স্বঘোষিত রাজাকার” বলে উল্লেখ করেন।
তার মূল সমস্যা কোনো দেশীয় দল নয়; তার সমস্যা “ভারতীয় আগ্রাসন”।
সেখানে ভুল করলে জামায়াত–বিএনপি কাউকেই ছাড়বেন না।
তিনি জানান, সম্প্রতি জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ তাহেরের সঙ্গে দেখা হয়েছে।
সেই সাক্ষাতে অভিযোগগুলো জানানো হয়েছে।
জামায়াতের এক অনুষ্ঠানে সন্তোষ শর্মাকে আনা নিয়ে আমিরকে কটাক্ষ করার জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।
একই ভুল যেন আর না হয়—সেটিও জানিয়ে দিয়েছেন।
সবশেষে ইলিয়াস লেখেন, বিএনপির সবাই তার শত্রু নয়।
ভারতপ্রীতি দেখালে সমালোচনা করবেন—সংশোধন হলে তিনি ক্ষমা চাইবেন।
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে দেখা হয়নি, কারণ তারা চায়নি; জামায়াত চেয়েছে, তাই দেখা হয়েছে।
ব্যক্তিগত ভালোবাসা বা ক্ষোভ—কোনোটাই কারও প্রতি নেই।
জনগণই শেষ কথা বলবে।
কিন্তু “ভারতপ্রীতি” ও “৭১ নিয়ে চুলকানি” দেখালে তিনি ছাড় দেবেন না—কথা পরিষ্কার।
মন্তব্য করুন


