logo
  • বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২

জয়-পুতুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করছে দুদক, অভিযোগ কর ফাঁকি ও অর্থ আত্মসাৎ

অনলাইন ডেস্ক
  ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১:০৪

জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)–এর বিরুদ্ধে কর মওকুফ, অনুদান গ্রহণ এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় সিআরআইয়ের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট আটজনের নাম রয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম।

মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন—

  • সিআরআইয়ের চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়
  • ট্রাস্টি সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
  • ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক
  • সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু
  • সিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক শাব্বির বিন শামস
  • জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য রওশন আরা আক্তার
  • সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া
  • সাবেক অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম. মোস্তফা কামাল

দুদকের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা পরস্পরের যোগসাজশে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪–এর বিধি লঙ্ঘন করে সিআরআইকে অবৈধভাবে কর মওকুফের সুবিধা দিয়েছেন, যদিও প্রতিষ্ঠানটি সমাজসেবা অধিদপ্তরে নিবন্ধিত নয়। এতে সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

তদন্তে আরও জানা গেছে, সংশ্লিষ্টরা তদবির ও চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করেছেন। সিআরআইয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২৩টি কোম্পানি থেকে মোট ৪৫ কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা অনুদান সংগ্রহ করা হয়। ২০১৩–১৪ থেকে ২০২৩–২৪ অর্থবছর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির অবৈধ আয় হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

অগ্রহণযোগ্য ব্যয় বাদ দিলে সিআরআইয়ের হিসাবে ৭০ কোটি ৮০ লাখ টাকা থাকার কথা থাকলেও প্রকৃত হিসাব পাওয়া গেছে ৫৫ কোটি ১১ লাখ টাকার, অর্থাৎ প্রায় ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।

তদন্তে আরও দেখা গেছে, সিআরআইয়ের নামে পরিচালিত ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ৪৩৯ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে জমা হয়েছে প্রায় ২৪৭ কোটি টাকা, আর উত্তোলন করা হয়েছে ১৯১ কোটি টাকার বেশি। একইসঙ্গে ৩৬ লাখ টাকার বেশি আয়কর পরিশোধ করা হয়নি, যা সরকারি কোষাগারের ক্ষতি করেছে।

দুদক জানিয়েছে, এই ঘটনায় মানিলন্ডারিং, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং দণ্ডবিধি–এর অধীনে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুদকের কর্মকর্তারা বলছেন, এটি একটি উচ্চপর্যায়ের মামলা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং প্রমাণাদি যাচাই শেষে দ্রুত অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আরও পড়ুন
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের ৪৬৯ একর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ
চট্টগ্রামে এসএওসিএলের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১১৯ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং মামলা
দুর্নীতিবাজদের মনোনয়ন না দেওয়ার আহ্বান দুদক চেয়ারম্যানের
নানা অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের
12