বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে ফজলুর রহমানের অঙ্গীকার: “এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখের অংশীদার হতে চাই”
কিশোরগঞ্জ–৪ আসনে (ইটনা–মিঠামইন–অষ্টগ্রাম) বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান। মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি বলেছেন, “আমার মতো একজন মুক্তিযোদ্ধাকে দল যেভাবে মূল্যায়ন করেছে, সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ। বাকিটা জীবন এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থেকে কাজ করতে চাই।”
গত সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। তার নাম ঘোষণার পর ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। সমর্থকেরা আনন্দমিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন।
ইটনা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মনির উদ্দিন বলেন, “ফজলুর রহমানের মনোনয়ন ঘোষণায় হাওরাঞ্চলে স্বস্তি ফিরেছে। এটি বিএনপি নেতৃত্বের একটি সঠিক সিদ্ধান্ত।”
উল্লেখ্য, গত আগস্টে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ফজলুর রহমানের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তখন তাঁর মনোনয়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে তিনি পরবর্তীতে দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলেন এবং মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় থাকেন।
কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতে ইতিমধ্যে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেছে। কিশোরগঞ্জ–২ (কটিয়াদী–পাকুন্দিয়া) আসনে জালাল উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ–৩ (করিমগঞ্জ–তাড়াইল) আসনে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এম ওসমান ফারুক, এবং কিশোরগঞ্জ–৬ (ভৈরব–কুলিয়ারচর) আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম মনোনয়ন পেয়েছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জানান, “প্রাথমিকভাবে চারটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তবে দল চাইলে পরিবর্তনের সুযোগ রাখছে।”
দলীয় সিদ্ধান্তে পুনরায় আস্থা পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, “আমি খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আমার এলাকার মানুষের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখব। ধানের শীষের জয় মানেই মানুষের জয়—এই বিশ্বাস নিয়েই আমি মাঠে নামছি।”
মন্তব্য করুন





