ভারত–ইসরায়েলের মধ্যে বৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তির সমঝোতা স্মারক সই
ভারত ও ইসরায়েল তাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একটি বৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রাথমিক ধাপে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ উন্নত সামরিক প্রযুক্তি বিনিময়, অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের যৌথ উন্নয়ন এবং উৎপাদন কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে পারবে।
গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ভারত–ইসরায়েল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই সমঝোতা দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে “আরও গভীর করবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার নীতিগত দিকনির্দেশনা” প্রদান করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারত–ইসরায়েল প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব বহুদিনের, যা গড়ে উঠেছে পারস্পরিক আস্থা ও অভিন্ন নিরাপত্তা স্বার্থের ভিত্তিতে।” মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এই নতুন চুক্তি দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা উদ্যোগে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
সমঝোতা স্মারকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—
- কৌশলগত সংলাপ ও প্রশিক্ষণ
- প্রতিরক্ষা শিল্পে যৌথ উদ্যোগ
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা ও উন্নয়ন
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং সাইবার নিরাপত্তা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহায়তা
- চুক্তি কার্যকর হলে দুই দেশ যৌথভাবে নতুন প্রতিরক্ষা পণ্য উদ্ভাবন, উন্নত প্রযুক্তি বিনিময় ও যৌথ উৎপাদনের সুযোগ পাবে।
জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে চলমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পর্যালোচনা করা হয়। প্রতিনিধিরা স্বীকার করেন, ভারত ও ইসরায়েল ইতোমধ্যেই একে অপরের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা থেকে উপকৃত হয়েছে। বৈঠকে ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনী প্রতিরক্ষা গবেষণা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এছাড়া, উভয় দেশ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার অভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েও আলাপ করে এবং এই বৈশ্বিক হুমকির বিরুদ্ধে যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি শুধু প্রতিরক্ষা নয়, বরং ভারত ও ইসরায়েলের সামগ্রিক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর ও কার্যকর করবে।
মন্তব্য করুন

