জনসমর্থনে শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন ‘আমজনতার দল’-এর তারেক রহমান

বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমজনতার দল’ জনসমর্থনের দিক থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন দলটির সদস্য সচিব তারেক রহমান।

বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশনের দ্বিতীয় দিনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে একই স্থানে তিনি অনশন শুরু করেন।

তারেক রহমান অভিযোগ করে বলেন, “ইসির কর্মকর্তারা আমাদের দলীয় কার্যালয় পরিদর্শনে এসেছিলেন। আমরা বসার জন্য টুল দিয়েছিলাম, কিন্তু সেটা তাদের পছন্দ হয়নি। আমাদের টিনের ঘরও ভালো লাগেনি, তারা পাকা ভবন দেখতে চেয়েছিলেন। আমরা একেবারে নিচ থেকে শুরু করেছি, কিন্তু আমাদের যেভাবে চেপে ধরা হচ্ছে তা অমানবিক।”

তিনি আরও বলেন, “ইসির প্রায় সব শর্ত আমরা পূরণ করেছি, তবুও তারা বলছে আমাদের চেনে না। অথচ দেশের মানুষ আমাদের চেনে। আমরা সত্য কথা বলি, তাই আমাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ওপর থেকে নির্দেশ এসেছে—আমজনতার দলকে নিবন্ধন দেওয়া যাবে না।”

সরকারের সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, “কথা ছিল উপদেষ্টারা নির্বাচনে অংশ নেবেন না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, তারা নিজেরাই প্রার্থী হতে চাইছেন। আবার নতুন দল গঠনের উদ্যোগও নিচ্ছেন, যেন আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকা যায়।”

তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম নিয়েও মন্তব্য করেন। তাঁর দাবি, “এনসিপির গাজী সালাউদ্দিন তানভীর বই ছাপানোর নামে ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সেই কারণে শিক্ষার্থীরা জানুয়ারির বদলে জুলাইয়ে বই পেয়েছে। এসব অনিয়মের কথা বলাতেই আমাদের দলকে টার্গেট করা হচ্ছে।”

দলের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “আমরা জানি, হয়তো বেশি ভোট পাব না, হয়তো জিতবও না। কিন্তু সামান্য সমর্থন নিয়েই মানুষের পাশে থাকতে চাই।”

অন্য দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে তিনি বলেন, “আমরা অন্য দলে যাব না, নিজের দলেই থাকব। আমরা ‘ঢেঁকি মার্কা’ চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটাও পাইনি।”

তিনি আরও জানান, আমজনতার দল রাজনীতি থেকে বঞ্চিত নয়, বরং জনমানুষের কথা বলার মঞ্চ হিসেবেই টিকে থাকবে—যত বাধাই আসুক না কেন।