logo
  • মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহৎ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

অনলাইন ডেস্ক
  ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ২০:০১
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

ঢাকা, ২৮ অক্টোবর — ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশে একটি বৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেযান। ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো এমন পরিকল্পনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাংলাদেশে ই ইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার মঙ্গলবার এই ঘোষণা দেন।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাতে মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এই ঘোষণা দেন।

তিনি জানান, এখনো চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক মিশনটি ১৫০ থেকে ২০০ সদস্যের হতে পারে। কিছু সদস্য নির্বাচনের প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে পৌঁছাবেন এবং বাকিরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে যোগ দেবেন।

“এটি ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মত ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে,” তিনি আরও বলেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভোটের সময় স্থানীয় পর্যবেক্ষকদেরও সাহায্য করবেন।

এক ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে উভয় পক্ষ শাসন ব্যবস্থা, সাংবিধানিক সংস্কার, নির্বাচনের প্রস্তুতি, বিচার ব্যবস্থা এবং শ্রম আইন সংস্কার, বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক, এবং দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত মিলার জুলাই মাসের জাতীয় চার্টারকে “একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ” দলিল হিসেবে প্রশংসা করেছেন। গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের যা জন্য সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি অনুমোদিত শ্রম আইন সংস্কার এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা শক্তিশালীকরণের উদ্যোগগুলোকে “গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য” হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইউ দূত।

“এগুলি সব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ,” তিনি বলেন, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন কমিশনের প্রচেষ্টায় সুষ্ঠু, ন্যায্য এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

মিলার আসন্ন নির্বাচনকে “দেশটির খ্যাতি পুনরুদ্ধারের একটি সুযোগ” হিসেবে বর্ণনা করেন।

রাষ্ট্রদূত মিলার বাংলাদেশের এলডিসি (কম্বক্ষীয় উন্নয়নশীল দেশ) থেকে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে সুষ্ঠু উত্তরণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

উভয় পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। তন্মধ্যে একটি অর্থনৈতিক পার্টনারশিপ চুক্তি, বিমান চলাচল ও শিপিং খাতে নতুন সুযোগের সন্ধান অন্তর্ভুক্ত ছিল। তারা মানবপাচার ও অবৈধ অভিবাসন মোকাবেলার জন্য আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ আশা করছে যে বিশ্বের শীর্ষ শিপিং কোম্পানি এ.পি. মোলার–মার্স্কের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া টার্মিনাল উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

রাষ্ট্রদূত মিলার উল্লেখ করেন যে, ডেনিশ কোম্পানি প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে পরিকল্পনা করছ।

উভয় পক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ, প্রার্থীর যোগ্যতা, এবং ভোটের আগে মানবাধিকার রক্ষায় যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোচনা করেছেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
12