logo
  • সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

অস্কারের পথে সৌদি নারী নির্মাতা শাহাদ আমিনের ‘হিজরা’

অনলাইন ডেস্ক
  ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০১

সৌদি আরবের সিনেমাকে আন্তর্জাতিক পরিসরে পৌঁছে দিয়েছেন নারী নির্মাতা শাহাদ আমিন। ২০১৯ সালে তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘স্কেলস’ মুক্তির পর থেকেই তিনি বিশ্ব চলচ্চিত্র অঙ্গনে পরিচিত নাম। এ বছর তাঁর নতুন সিনেমা ‘হিজরা’ আবারও এনে দিয়েছে ব্যাপক আলোচনার ঝড়।

‘হিজরা’-র বিশ্বপ্রিমিয়ার হয়েছে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে, যেখানে এটি সেরা এশিয়ান চলচ্চিত্র হিসেবে জিতেছে নেটপ্যাক পুরস্কার। বিশ্বজুড়ে সমালোচক ও দর্শকের প্রশংসা কুড়ানো এই সিনেমাটিই এখন সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ৯৮তম অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।

এর আগেও সৌদি আরব নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র অস্কারে পাঠিয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটি মোট ৮টি সিনেমা পাঠিয়েছে অস্কারে, যার মধ্যে চারটি নারী নির্মাতার কাজ। সৌদি সিনেমার অস্কারযাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালে—সেই বছর পাঠানো হয়েছিল হাইফা আল-মানসুরের ‘ওয়াজদা’। ২০১৯ সালেও হাইফা আল-মানসুরের ‘দ্য পারফেক্ট ক্যান্ডিডেট’ অস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়।

যদিও আগের সিনেমাগুলো অস্কারে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আনতে পারেনি, সৌদি ফিল্ম কমিশন মনে করছে, এবার পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। আন্তর্জাতিক পরিসরে ‘হিজরা’ যেমন প্রশংসা পাচ্ছে, তাতে এটিকে অনেকেই সৌদি সিনেমার ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে দেখছেন।

ছবি: filmalula

ছবিটির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে তিন নারীর জীবনের চারপাশে। ১২ বছর বয়সী জান্নাত, তার দাদি ও বড় বোন সারাহ একসঙ্গে হজ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কার পথে রওনা হয়। পথে সারাহ হারিয়ে গেলে জান্নাত ও দাদি তাকে খুঁজতে বের হয়, আর সেই যাত্রায় ধীরে ধীরে প্রকাশ পায় দাদির অতীতের গল্প।

নির্মাতা শাহাদ আমিন বলেন,

“চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আমি সবসময় চেষ্টা করি সমাজের কণ্ঠগুলোকে তুলে ধরতে। হিজরায় আমি আমার সংস্কৃতি ও সমাজের এমন কিছু গল্প বলতে চেয়েছি, যা আন্তর্জাতিক দর্শকের কাছে নতুন। আমি দেখাতে চেয়েছি, ভিন্ন প্রজন্মের নারীরা স্বাধীনতাকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করেন।”

তিনি আরও বলেন,

“একজন আরব ও নারী নির্মাতা হিসেবে আমি যেমন অনেক প্রশংসা পেয়েছি, তেমনি অনেক ভুল ধারণারও মুখোমুখি হয়েছি। অনেকে মনে করেন, আগের প্রজন্মের সৌদি নারীরা স্বাধীন ছিলেন না—কিন্তু বাস্তবে তারা ছিলেন প্রাণবন্ত, দৃঢ়চেতা ও অনুপ্রেরণার উৎস। আমার সিনেমা সৌদির সব প্রজন্মের নারীদের গল্প বলে, তাদের স্বাধীনতার ভিন্ন ভিন্ন দিক তুলে ধরে।”

জেদ্দায় জন্ম নেওয়া শাহাদ আমিন চলচ্চিত্র বিষয়ে পড়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট লন্ডনে, আর নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমি থেকে শিখেছেন চিত্রনাট্য রচনা। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি নির্মাণ করেছেন বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য কাজ, যেমন—‘আওয়ার ওন মিউজিক্যাল’, ‘লায়লাস উইন্ডো’, এবং ‘আই অ্যান্ড মারমেইড’। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে তিনি নিয়মিতভাবে সৌদি সিনেমার প্রতিনিধিত্ব করে চলেছেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আরও পড়ুন
আমি নিখুঁত নই: সামান্থা
জয়া আহসান অভিনীত সিনেমা ‘নকশীকাঁথার জমিন’ আসছে ওটিটিতে
১৩শ ইহুদিসহ ইসরায়েলি মন্ত্রীর আল আকসায় প্রবেশের নিন্দা সৌদি আরবের
২২ সেপ্টেম্বর এফডিসিতে পরিচালক বদিউল আলম খোকনের ‘তছনছ’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেন ববি
12