চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯টি কন্টেইনারভর্তি বিপজ্জনক পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ১৯টি বিপজ্জনক পণ্যসমৃদ্ধ কনটেইনার পরিবেশবান্ধব উপায়ে ধ্বংস করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ২৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এসব পণ্য ধ্বংস করা হয়। ধ্বংস কার্যক্রমে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার বাহিনী এবং স্থানীয় বন্দর থানা পুলিশের সদস্যরা সহায়তা প্রদান করেন।
ধ্বংস করা পণ্যের মধ্যে ছিল ১৬টি কনটেইনারে আনকোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, একটি কনটেইনারে অরেঞ্জ ইমালশন, একটি কনটেইনারে সুইট হুই পাউডার এবং একটি কনটেইনারে স্কিমড মিল্ক পাউডার। এনবিআর জানিয়েছে, এসব কনটেইনার দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পড়ে থেকে জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল এবং বন্দরের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছিল।
এনবিআর আরও জানায়, নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক পণ্য ধ্বংসের লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা কমিটির তত্ত্বাবধানে এ ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালিত হয়। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে পরিচালিত এই কার্যক্রমে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ডিজিএফআই, এনএসআই, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবর মাসে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে ১৪ বছর ধরে বন্দরে পড়ে থাকা চারটি অতি দাহ্য পণ্য সফলভাবে অপসারণ ও ধ্বংস করেছিল। কনটেইনার জট কমাতে এনবিআর ইতোমধ্যে ৬ হাজার ৬৯টি কনটেইনারের ইনভেন্টরি সম্পন্ন করে দ্রুত নিলাম কার্যক্রম শুরু করেছে, যার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কনটেইনার বিক্রি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা বিপজ্জনক পণ্যগুলো পর্যায়ক্রমে ধ্বংসের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছে এনবিআর।
মন্তব্য করুন





