logo
  • সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২

কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে তৈরি পোশাক খাতে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি

অনলাইন ডেস্ক
  ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৪

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে তৈরি পোশাক খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর (BGMEA) হিসাব অনুযায়ী, এই ঘটনায় ৫১৬টি পোশাক কারখানার স্যাম্পল বা নমনা পুড়ে গেছে। এতে প্রায় আট মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সংগঠনটি জানিয়েছে, ১৮ অক্টোবরের অগ্নিকাণ্ডের পর সদস্য কারখানাগুলোর কাছ থেকে অনলাইনে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নেওয়া হয়। গতকাল পর্যন্ত ৫১৬টি কারখানা তথ্য দিয়েছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮০ লাখ ডলার বা স্থানীয় মুদ্রায় ৯৬ কোটি টাকা। ডলারের বিনিময় হার ১২০ টাকা ধরে এই হিসাব করা হয়।

তবে বিজিএমইএর ধারণা, প্রকৃত ক্ষতি এক হাজার কোটি টাকার কম নয়। কারণ এখনো সব কারখানা তাদের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব জমা দেয়নি। এছাড়া সরবরাহ চেইন ব্যাহত হওয়ায় রপ্তানি কার্যক্রম অন্তত এক মাস পিছিয়ে পড়বে।

বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ জানায়, যেসব কারখানার ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি) সংশোধন দরকার, তাদের দ্রুত সেবা দেওয়া হচ্ছে। কারণ রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী কাঁচামাল আমদানির জন্য এই সনদ অপরিহার্য।

কার্গো ভিলেজ কেবল পোশাক খাতের নয়—ওষুধ, কৃষিপণ্য ও অন্যান্য পচনশীল দ্রব্য রপ্তানিকারকেরাও ব্যবহার করে থাকেন। এ অগ্নিকাণ্ডে ওই সব খাতের পণ্যেরও ক্ষতি হয়েছে, যদিও সঠিক হিসাব এখনো জানা যায়নি।

বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান বাবলু বলেন, ক্ষতির হিসাব আরও বাড়তে পারে। তাঁর নিজের কারখানা ‘অনন্ত অ্যাপারেলস’-এর ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার ডলার। তিনি জানান, আগুনে মূল রপ্তানি পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও স্যাম্পল, কাপড়ের মান যাচাইয়ের উপকরণ এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।

গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুন লাগে। সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে আনসার বাহিনীর ২৫ জনসহ মোট ৩৫ জন আহত হন। রপ্তানিকারকদের অনেকেই ধারণা করছেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত নাশকতা হতে পারে। কারণ, স্পর্শকাতর এমন স্থানে এভাবে আগুন লাগার কোনো যৌক্তিক কারণ পাওয়া যায়নি।

অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্‌ঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
12