অবশেষে আসিয়ানের সদস্য হলো পূর্ব তিমুর
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান (ASEAN)-এর আনুষ্ঠানিক সদস্য হলো এশিয়ার নবীনতম দেশ পূর্ব তিমুর। রোববার (২৬ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আয়োজিত আসিয়ানের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে পূর্ব তিমুরকে সংস্থার ১১তম সদস্যদেশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
সম্মেলনের মঞ্চে পূর্ব তিমুরের পতাকা উত্তোলনের সময় দীর্ঘ করতালিতে মুখরিত হয় সভাকক্ষ। এই মুহূর্তকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানানা গুসমাও “একটি ঐতিহাসিক অধ্যায়” বলে উল্লেখ করেন।
গুসমাও বলেন, “এটি শুধু একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন নয়, বরং আমাদের নতুন যাত্রার সূচনা। এই সদস্যপদ আমাদের জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে অসীম সুযোগ তৈরি করবে।”
প্রায় ১৪ বছর অপেক্ষার পর অবশেষে আসিয়ানে যুক্ত হলো পূর্ব তিমুর। দেশটির জনগণের কাছে এটি দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষিত অর্জন।
পূর্ব তিমুর, যা তিমুর-লেস্তে নামেও পরিচিত, এশিয়ার অন্যতম দরিদ্র ও নবীন রাষ্ট্র। এর জনসংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। দেশটি তিন শতাব্দী ধরে পর্তুগিজ শাসনের অধীনে ছিল। ১৯৭৫ সালে পর্তুগিজরা সরে গেলে ইন্দোনেশিয়া দেশটি দখল করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ২০০২ সালে পূর্ব তিমুর স্বাধীনতা লাভ করে।
দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক হোসে রামোস-হোর্তা এই স্বীকৃতিকে একটি প্রতীকী বিজয় হিসেবে দেখছেন। তিনি ১৯৭০-এর দশকেই পূর্ব তিমুরের আসিয়ান সদস্যপদের ধারণা দেন এবং আঞ্চলিক সংহতির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার পথ খোঁজেন।
১৯৯৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত রামোস-হোর্তার মতে, আসিয়ান সদস্যপদ পূর্ব তিমুরকে আঞ্চলিক কূটনীতি, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন এক যুগে নিয়ে যাবে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আসিয়ানে যোগ দিয়ে পূর্ব তিমুর এখন নতুন আশার দিগন্তে পা রাখল।
মন্তব্য করুন


