logo
  • শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ৫ জেলায় ‘স্তব্ধ রংপুর’ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
  ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:১১

উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি—তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন। বন্যা ও খরায় অতিষ্ঠ তিস্তাপাড়ের মানুষ এবার আরও জোরালো আন্দোলনে নেমেছেন। তাদের দাবিতে আগামী ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলায় পালিত হবে ‘স্তব্ধ রংপুর’ কর্মসূচি।

এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। তাদের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ওইদিন সকাল ১১টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত রংপুর বিভাগের সর্বস্তরের মানুষ—শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক—নিজ নিজ স্থানে দাঁড়িয়ে নীরব প্রতিবাদ জানাবেন। অফিস-আদালত, দোকানপাট ও যানবাহন চলাচলও এ সময় বন্ধ থাকবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও থাকবে প্রতীকী বিরতি। শিক্ষকরা ক্লাস নেবেন না, শিক্ষার্থীরাও শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন। একইভাবে চালকরা মোটরসাইকেল, ট্রাক, বাসসহ সব ধরনের যানবাহন থামিয়ে অবস্থান করবেন ১৫ মিনিট।

আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, “যদি সরকার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আগামী নভেম্বরের মধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু না করে, তবে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। অচল করে দেওয়া হবে গোটা উত্তরাঞ্চল।”

তিনি আরও বলেন, “তিস্তা নদী শুধু একটি নদী নয়—এটি আমাদের জীবন, জীবিকা ও সংস্কৃতির প্রতীক। প্রায় দুই কোটি মানুষের ভাগ্য জড়িয়ে আছে এই নদীর পুনরুজ্জীবনের সঙ্গে। তাই ৩০ অক্টোবরের ‘স্তব্ধ রংপুর’ হবে আমাদের ন্যায্য অধিকারের প্রতীকী প্রতিবাদ।”

আন্দোলন কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ১৫ মিনিটের নীরবতা হবে তিস্তাবাসীর সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিধ্বনি—যার বার্তা, “তিস্তা বাঁচলে উত্তরবঙ্গ বাঁচবে, তিস্তা বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে।”

এর আগে, তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় একাধিক কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে তিস্তার তীরে ১১টি পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি হয়, ৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হয়, আর ১৬ অক্টোবর তিস্তার দুই তীরে ১৩০ কিলোমিটারজুড়ে একযোগে মশাল প্রজ্বালন করেন লাখো মানুষ।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। তাদের বিশ্বাস—যদি তিস্তা খনন ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়, তাহলে উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি বদলে যাবে এবং তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবনে আসবে নতুন প্রাণ।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আরও পড়ুন
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি
12