logo
  • রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

শিরোনাম

  •     ১৯৪৭ থেকে আজ পর্যন্ত কারও কষ্টের জন্য বিনা শর্তে ক্ষমাপ্রার্থী” — টকশোতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
  •     আমীর খসরু নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি
  •     ছলছুতোয় রাজধানীর সড়ক অবরোধ করলেই অ্যাকশন
  •     ‘যুদ্ধের ইতি আমরাই টানব’ - ট্রাম্পকে কড়া হুশিয়ারি ইরানের
  •     ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প

আর কত জীবন দেবে এ দেশের মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
  ০৫ জুলাই ২০২৫, ১৫:২৯
সংগ্রহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, “ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গণঅভ্যুত্থান, নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলন—এসব ঐতিহাসিক মুহূর্তে এ দেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে। এত ত্যাগের পরও আজও দেশে অসংগতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে—এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

শনিবার (৫ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ কতটুকু সুরক্ষা দেয়?’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান আক্ষেপ করে বলেন, “আর কত জীবন দেবে এ দেশের মানুষ? উন্নয়ন মানে তো ধাপে ধাপে সামনে এগিয়ে যাওয়া। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক, তারপর উচ্চ মাধ্যমিক—এভাবেই তো মানুষের অগ্রগতি ঘটে। কিন্তু আমাদের অবস্থা সাপ-লুডুর মতো—একটু এগোলেই আবার পেছনে পড়ে যাই। এটা কি গ্রহণযোগ্য?”

তিনি বলেন, দেশের শ্রম আইনে স্পষ্ট বলা আছে—প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র দিতে হবে। অথচ বাস্তবতায় ২০-২৫ শতাংশ শ্রমিকও তা পায় না। তাদের গ্র্যাচুইটি বা অন্যান্য আইনি সুবিধা থেকেও বঞ্চিত করা হয়। যারা শ্রমিকের প্রাপ্য অধিকার দেয় না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো কার্যকর প্রক্রিয়া নেই।

আইনের প্রয়োগে বৈষম্যের প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম বলেন, “দেশে নারী, শিশু, শ্রমিক, যুবক—সব শ্রেণির মানুষের জন্য আইন আছে। কিন্তু তারা কি আইনের সুফল ভোগ করতে পারেন? তারা কি জানেন কীভাবে আইনের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করতে হবে?” তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানান সাধারণ মানুষের মধ্যে আইন বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে।

আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা ক্ষমতায় আছেন, যারা সংবিধান-স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বে আছেন, তারা যদি দায়িত্বে গাফিলতি করেন কিংবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনগণের ওপর অন্যায় করেন, তাহলে তাদের শাস্তির বিধান আইনে থাকা উচিত। একজন সাধারণ মানুষ তো রাষ্ট্রের বড় ক্ষতি করতে পারে না, কিন্তু যারা বড় পদে আছেন, তারা তো পারে। তারা দায়মুক্ত থাকতে পারেন না।”

তিনি আরও বলেন, “আইনের ভাষা যত সুন্দরই হোক, যদি বাস্তবে তার প্রয়োগ না হয়, যদি জনগণের কল্যাণে কাজ না করে, তাহলে সেসব আইন শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে।”

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। এতে আরও অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ও বিশিষ্টজনেরা।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
12